২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার গণতন্ত্রের রক্ষাকবজ

দীঘর্ ১৪ বছর পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের পযের্বক্ষণে বলা হয়, রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় প্রকাশ্য দিবালোকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটানো হয়। এই হামলা ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা। বিরোধী দলের নেতাদের হত্যা করে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক ফায়দা অজর্ন করা মোটেই গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ নয়। জনগণ এ রাজনীতি চায় না।

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০

নিতাই চন্দ্র রায়
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নিমর্মভাবে হত্যা, ওই একই সালের ৩ নভেম্বরে জাতীয় চার নেতাকে জেলখানার ভেতর নৃশংসভাবে হত্যা এবং ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলাÑ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে পৈশাচিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা, যা হিটলারের নাড়কীয় ঘটনাকেও হার মানায়। ওই জঘন্য ঘটনায় ব্যবহারের জন্য আজের্স গ্রেনেড আনা হয়েছিল পাকিস্তান থেকে। কারণ সৃষ্টিলগ্ন থেকেই পাকিস্তানের নেতারা মুখে গণতন্ত্রে কথা বললেও মনেপ্রাণে তা বিশ্বাস করতেন না। তার প্রমাণ পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের বিরোধী দল আওয়ামী লীগ সম্পকের্ উসকানিমূলক বক্তব্য। তিনি বলতেন, ‘যো আওয়ামী লীগ করেগা উসকো শের কুচাল দেগা।’ আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বাস করতেনÑ একথা একমাত্র ডিকটেটর ছাড়া কোনো গণতন্ত্রে বিশ্বাসী লোক বলতে পারে না। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অনেকগুলো রাজনৈতিক দল থাকতে পারে এবং আইনে এটা থাকাই স্বাভাবিক। দুঃখের বিষয় লিয়াকত আলী খানের উদ্দেশ্য ছিল যাতে অন্য কোনো রাজনৈতিক দল পাকিস্তানে সৃষ্টি হতে না পারে। আজীবন মুসলীম লীগ পাকিস্তানের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকে। শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে গণতন্ত্র চলতে পারে নাÑ এটা শ্বাশত সত্য। কিন্তু পাকিস্তানি ভাবধারায় বিশ্বাসী বিএনপি-জামায়াত সরকার তা বিশ্বাস করত না। তারা বিশ্বাস করত তাদের পূবর্সূরি লিয়াকত আলী খানের কথা। ২০০১ সালের নিবার্চনের পর তাদের কমর্কাÐ সেটাই প্রমাণ করে। তা না হলে কেন তাদের সময় এএসএম কিবরিয়া জঙ্গিদের গেনেড হামলার শিকার হয়ে মারা যাবেন। গাজীপুরের প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসান আলী মাস্টারকে কেন প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষের সামনে গুলি করে হত্যা করা হবে? কেন সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নিমর্ম নিযার্তন হবে? গত ১০ অক্টোর, পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে অস্থায়ী বিশেষ আদালত ঢাকা দ্রæতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলার মামলার রায় ঘোষণা করেন। চাঞ্চল্যকর ওই মামলার রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদÐ এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদÐ দেয়া হয়। অন্যদিকে ওই মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিসহ ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় সন্ত্রাস ও বোমা হামলার বিরুদ্ধে এক বিশাল গণসমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশ উপলক্ষে মানুষের ঢল নামে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে। জনসমুদ্রে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। সভা শেষে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করার কমর্সূচি থাকায় কেন্দ্রীয় কাযার্লয়ের সামনে একটি ট্রাককে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। শেখ হাসিনা ঠিক ৫টা ২২ মিনিটে ‘ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে বক্তব্য শেষ করে ট্রাক থেকে নামার সিঁড়ির কাছে গেলে মুহূতের্ই শুরু হয় নাড়কীয় গ্রেনেড হামলা। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে থাকে গ্রেনেড। মুহূতের্ই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে একটার পর একটা বৃষ্টির মতো গ্রেনেড বি¯েফারণ ঘটায় হামলাকারীরা। কিছু বুঝে উঠার আগেই ১৩টি শক্তিশালী গ্রেনেড বিস্ফোরণের বীভৎসতায় মুহূতের্র মধ্যেই রক্ত-মাংসের স্তূপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। বিষয়টি অঁাচ করতে পেরে ট্রাকে অবস্থারত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও শেখ হাসিনার নিরাপত্তা কমর্কতার্রা তাৎক্ষণিক মানবডাল রচনা করে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও বাঙালি জাতির সব আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক শেখ হাসিনাকে। ওই হামলায় দলের তৎকালীন কেন্দ্রীয় মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ নিহত হন ২৪ জন নেতাকমীর্। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। আহত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রবীণনেতা আমীর হোসেন আমু, প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক, প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও সাঈদ খোকনসহ শতাধিক নেতাকমীর্। শেখ হাসিনাকে আড়াল করে বুলেটের সামনে দঁাড়িয়ে জীবন উৎসগর্ করেন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা প্রহরী করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান। নাড়কীয় এই হামলায় বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচÐ শব্দের কারণে শেখ হাসিনার বাম কান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেশ-বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার পরও এখন পযর্ন্ত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। পরিকল্পিত হামলায় মৃত্যুর হাত থেকে শেখ হাসিনা রক্ষা পেলেও ওই ভয়ঙ্কর গ্রেনেড হামলায় স্পিøন্টারের আঘাতে শত শত মানুষের হাত-পাসহ মানবদেহের বিভিন্ন ছিন্নভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এক বীভৎস পরিবেশের সৃষ্টি করে সমাবেশস্থলে। রক্তে ভিজে লাল হয়ে যায় পিচঢালা পথ। অস্থায়ী সভামঞ্চ ট্রাকের চারপাশে রক্তের আলপনা, প্রাণ বঁাচানোর জন্য মুমূষুের্দর আকুতি, শত শত মানুষের চিৎকারে এক বিভীষিকাময় দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। সেদিন যদি ঘাতকদের নিক্ষিপ্ত গ্রেনেড জনসভার জন্য ব্যবহৃত ট্রাকে বিস্ফোরিত হতো তবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের কোনো জ্যেষ্ঠ নেতাই প্রাণে বঁাচতেন না। নেতাশূন্য হয়ে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হতো জনগণের প্রত্যাশা পূরণ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী দলটি। ঘাতকদের মূল পরিকল্পাও ছিল তাই। দীঘর্ ১৪ বছর পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের পযের্বক্ষণে বলা হয়, রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় প্রকাশ্য দিবালোকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ঘটানো হয়। এই হামলা ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা। বিরোধী দলের নেতাদের হত্যা করে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক ফায়দা অজর্ন করা মোটেই গণতান্ত্রিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ নয়। জনগণ এ রাজনীতি চায় না। ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তি এ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালাতে থাকে। পরাজিত শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিকে রোধ করে। জাতির পিতাকে হত্যার পর চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে না গিয়ে বহমান থাকে। পযের্বক্ষণে আরও বলা হয় দেশীয় জঙ্গি সংগঠনের কতিপয় সদস্য আন্তজাির্তক জঙ্গি সংগঠনের সহায়তায় প্রকাশ্য দিবালোকে বিশেষায়িত মারণাস্ত্র আজের্স গ্রেনেড বিস্ফোরণের মাধ্যমে ঘটনা ঘটানো হয়। আদালত পযের্বক্ষণে প্রশ্ন রেখে বলেন, কেন এই মারণাস্ত্রের ব্যবহার? রাজনীতি মানেই কি বিরোধী দলের ওপর পৈশাচিক আক্রমণ? শুধু আক্রমণই নয়, দলকে নেতৃত্বশূন্য করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা। রাজনীতিতে অবশ্যম্ভাবীভাবে ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের মধ্যে শত বিরোধ থাকবে। তাই বলে নেতৃত্বশূন্য করার প্রয়াস চালানো হবে? এটা কাম্য নয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যে দলই থাকুক, বিরোধী দলের প্রতি তাদের উদারনীতি প্রয়োগের মাধ্যমে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করার সবার্ত্মক প্রচেষ্টা থাকতে হবে বলে আদালত মন্তব্য করেন। সাধারণ জনগণ যে কোনো রাজনৈতিক দলের সভা, সমাবেশে যোগ দিয়ে সেই দলের আদশর্ ও পরিকল্পনা সম্পকের্ সম্যক জ্ঞানলাভ করতে চায়। আর সেই সভা-সমাবেশে আজের্স গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ জনগণকে হত্যার এ ধারা চালু থাকলে পরবতীর্ সময়ে দেশের সাধারণ জনগণ রাজনীতি বিমুখ হয়ে পড়বে। পযের্বক্ষণে আদালত প্রত্যাশা করেন, সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর দরগা শরিফের ঘটনা, সাবেক অথর্মন্ত্রী এএসএম কিবরিয়ার ওপর নৃশংস হামলা, রমনা বটমূলে সংগঠিত বোমা হামলা এবং ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নৃশংস ববের্রাচিত গ্রেনেড হামলার পুনরাবৃত্তি না হোক। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি আওয়ামী লীগ। মামলার অন্যতম আসামি তারেক রহমানের ফঁাসি না হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে দলটি। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রায়কে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছে আওয়ামী লীগের নেতা-কমীর্রা। অন্যদিকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি বলছে, এটি ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নোংরা প্রকাশ। এটা সরকারের ফরমায়েশি রায়। বিএনপি-জামায়াত সরকার এ মামলাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ‘জজমিয়া’ নামের নাটক সাজায়। দায়সারাগোছের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার প্রয়াসে প্রতিবেশী একটি দেশের প্রতি সন্দেহের তীর নিক্ষেপ করে। বিএনপি মুখে যাই বলুক, এই মামলার রায়ে দলটি সন্ত্রাসের ইন্ধনদাতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কাছে ও আন্তজাির্তক অঙ্গনে দলটির ভাবমূতির্ দারুণভাবে ক্ষুণœ হয়েছে। প্রমাণিত হয়েছে বিএনপি জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দাতা। এতে দলটি একটি বড় রকমের ধাক্কা খেল বলে মনে করেন দেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক নেতারা। এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠার জন্য দলটি ড. কামাল হোসেন, একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, আ স ম আ রব ও নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নার সাথে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। কামাল হোসেনদের কি জানা নেই? যাদের নীতি-আদশের্র সাথে মিল নেই, তাদের সাথে মিলে সাময়িকভাবে কোনো ফল পাওয়া যেতে পারে, তবে ভবিষ্যতে ঐক্য থাকতে পারে না। তাতে দেশের উপকার হওয়ার চেয়ে ক্ষতিই হয় বেশি। (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা-২৪৫)। প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড বিস্ফোরণের মাধ্যমে বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাপ্রচেষ্টা, ২৪ জন আওয়ামী লীগের নেতাকমীের্ক নিমর্মভাবে হত্যা এবং পঁাচ শতাধিক নেতাকমীের্ক গ্রেনেডের স্পিøন্টারে আহত করার মতো নৃশংস ঘটনার বিচার না হলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বাংলাদেশের বিকাশমান গণতন্ত্রকে সূযর্গ্রহণের মতো একেবারে গ্রাস করে ফেলত। দেশে সন্ত্রাসী কমর্কাÐ বৃদ্ধি পেত। জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের স্বগর্রাজ্যে পরিণত হতো বাংলাদেশ। স্বাধীনতার স্বপ্ন ভ‚লুণ্ঠিত হতো। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের সাথে বেইমানি করা হতো। দেশে কেউ আর স্বাধীনতাযুদ্ধের কথা, মুক্তচিন্তার কথা, বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা উচ্চারণ করতে পারত না । মুক্তিযুদ্ধের সকল অজর্ন ধূলিসাৎ হয়ে যেত। মানুষের কাছে মূল্যহীন হয়ে যেত আব্রাহাম লিংকনের সেই মহান উক্তিÑ জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য জনগণের সরকার এই পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাবে না। সেই দৃষ্টিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারকে অবশ্যই আমাদের গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ বলতেই হবে। নিতাই চন্দ্র রায়: কলাম লেখক হবঃধরৎড়ু১৮@ুধযড়ড়.পড়স