আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২১

সাক্ষরতা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় করণীয়

মনে রাখতে হবে, শুধু প্রাথমিক শিক্ষায় সব শিশুর ভর্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন একটি দুরূহ কাজ। কারণ, আমাদের দেশে এখনো উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী পাঁচ বছরের শিক্ষাচক্র শেষ করার আগেই বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে।

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

তপন কুমার দাশ
মানুষের মানবিক, সামাজিক ও নৈতিকতার উন্নয়নসহ সার্বিক জীবনমান উন্নয়নের একটি অন্যতম মাধ্যম হলো শিক্ষা। এ কারণেই বর্তমান বিশ্বে শিক্ষা একটি অন্যতম মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃত। শিক্ষার প্রক্রিয়া বা পদ্ধতিগত দিকে তারতম্য থাকলেও পৃথিবীর প্রতিটি দেশই জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা সত্য, এ অঞ্চলে প্রাচীন সমাজে শিক্ষার এ সর্বজনীন রূপ ছিল না। তখন শিক্ষা ছিল শুধু অভিজাত ও ধনিক শ্রেণির করায়ত্তে। নিম্নবর্ণের মানুষের জন্য শিক্ষা ছিল আইনের দ্বারা নিষিদ্ধ। আশ্চর্যজনক হলেও এটা সত্য, বেদ-বেদান্ত পাঠ করার অধিকার ছিল শুধু ব্রাহ্মণ সমাজের। শূদ্র শ্রেণির মানুষের এসব গ্রন্থ পাঠ করা দূরে থাক, স্পর্শ করার অধিকারও ছিল না। বরং তা ছিল শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অনেকটা একই অবস্থা বিদ্যমান ছিল পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশ বা অঞ্চলে। সে সময়কালে ইতিহাসের পাতায় পাতায় চিত্রিত হয়েছে রাজন্যবর্গের বীরত্বগাথা আর পুরোহিত শ্রেণির উপদেশ বাণী। ভূমিকর্ষণ কিংবা অপরাপর শারীরিক পরিশ্রমের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ মানুষ সেখানে উপেক্ষিত হয়েছে। শিল্প বিপস্নবের পরবর্তী সময়ে ইউরোপিয়ান সমাজে শ্রমিক শ্রেণির কল্যাণের দিকটি বিবেচনার দাবি উত্থাপিত হয় এবং এ বৃহত্তর শ্রেণির পরিবার-পরিজন বিশেষ করে তাদের সন্তান-সন্ততিদের জন্যও শিক্ষার দাবি উত্থাপিত হয়। এতে উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রমের সম্প্রসারণ ঘটে এবং শ্রমিক শ্রেণিও শিক্ষা কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ লাভ করে। কিন্তু পেছনেই পড়ে থাকে আফ্রিকা ও সাব-সাহারা অঞ্চলের দেশগুলোসহ দীর্ঘদিনের শোষণ-বঞ্চনার বেড়াজালে আবদ্ধ থাকা দরিদ্র দেশগুলোর সাধারণ জনগোষ্ঠী। কালক্রমে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। আধুনিক যুগের সূচনায় শিক্ষার ওপর সব মানুষের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু তখনও নানা অঞ্চলে শিক্ষার অধিকার অর্জনের মতো যোগ্যতা থেকে বঞ্চিত থেকে যায় দরিদ্র মানুষ। ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি শিক্ষার আদলে গড়ে ওঠা বিদ্যালয়গুলো মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের জন্যই শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করে। ওই সময়েও এ উপমহাদেশে দরিদ্র মানুষের শিক্ষা আটকে থাকে মক্তব ও পাঠশালার মধ্যে। ধীরে ধীরে পাঠশালাগুলোও বন্ধ হয়ে যায় এবং দরিদ্র মানুষের সন্তানের শিক্ষার নিবুনিবু দীপটিও নিভে যায় একসময়। পাকিস্তান আমলেও একই অবস্থা বিরাজমান থাকে। শিক্ষার ক্ষেত্রে সব মানুষের অধিকার স্বীকৃতি পেলেও কার্যত এ সময়েও সমাজের বৃহত্তর শ্রেণি অর্থাৎ দরিদ্র শ্রেণির সন্তানরা শিক্ষার সুযোগ পেল না, তারা নিরক্ষরই থেকে গেল। শিক্ষা কার্যক্রমের সুফল ভোগ করল জনগোষ্ঠীর মাত্র ২০ ভাগ মানুষ। সে সময়ে একই অবস্থা বিদ্যমান ছিল এশিয়া, আফ্রিকাসহ সাব-সাহারার প্রায় প্রতিটি দেশে। এসব দেশে কখনই সব মানুষের জন্য কল্যাণকর কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষার আত্মপ্রকাশ ঘটেনি। শিক্ষাক্রম, শিক্ষাপদ্ধতি, ভৌত সুবিধা সব কিছুই ছিল দরিদ্র মানুষের জীবন বহির্ভূত কিংবা নাগালের বাইরে। ফলে দেশের অধিকাংশ মানুষ অর্থাৎ দরিদ্র জনগণ বিমুখ থাকে বিদ্যালয়ের প্রতি। তারা নিরক্ষরই থেকে যায় যুগ যুগ ধরে। এ দরিদ্র জনগোষ্ঠী ব্যাপক নিরক্ষরতার কারণে নানা বিষয়ে সচেতনতাও অর্জন করতে পারেনি। সামাজিক দুর্নীতি ও অবক্ষয়ের স্বীকার হয়ে তারা পর্যুদস্ত হয়েছে আজীবন। শোষণ-বঞ্চনার করাল গ্রাসে তারা হয়ে যায় মূক ও বধির। ক্ষমতায়ন প্রক্রিয়ার কেন্দ্রবিন্দুতে তো নয়ই, এ জনগোষ্ঠী ক্ষমতার কাছাকাছিও আসতে পারেনি কখনো। পাওলো ফ্রেইরি, ইলিচ, ম্যাক্সিম গোর্কি প্রমুখ মানবতাবাদী দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ এদের এ অবস্থাকে 'নিস্তব্ধতার সংস্কৃতি' বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং এ সংস্কৃতিকে মুখর করার জন্য নানারূপ প্রক্রিয়া অবলম্বনের মাধ্যমে এদের ব্যবহারিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। যাতে এর ফলে একদিকে যেমন লাভবান হতে পারে ব্যক্তি-গোষ্ঠী, আরেক দিকে লাভবান হতে পারে সমাজ ও দেশ। এ বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সার্বিক কল্যাণ সাধনের জন্য তাদের সাক্ষর করার প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয় বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। ইউনেস্কোসহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা এ লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ করে এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে 'সবার জন্য সাক্ষরতা' কর্মসূচি গ্রহণ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬৫ সালে ইউনেস্কোর উদ্যোগে ইরানের রাজধানী তেহরানে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব শিক্ষা সম্মেলন। বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী এ সম্মেলনে যোগ দেন এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিজ নিজ দেশে অধিকাংশ মানুষকে সাক্ষর করে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। একই সম্মেলনে প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর প্রত্যেক দেশে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালনের সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। মূলত সেই থেকেই বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর পালিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। বছর বছর সাক্ষরতা দিবস পালনের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে, সাক্ষরতার প্রসারে নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে উদ্দীপ্ত করা এবং একই সঙ্গে বিশেষ কোনো কারণে বিশেষভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিখন চাহিদা মেটানোর জন্য বিশেষ শিক্ষা ও সাক্ষরতা কর্মসূচি গ্রহণে সংশ্লিষ্ট নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। এ বিষয়টি বিবেচনা করেই তথ্য-উপাত্তের উপর ভিত্তি করে প্রতি বছর ইউনেস্কো সাক্ষরতা দিবসের একটি থিম বা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করে এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সেই প্রতিপাদ্য অনুসারে সাক্ষরতা কার্যক্রমে নতুনমাত্রা যোগ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে। বিগত বছরগুলোতে নারী উন্নয়ন, বহুভাষিক সাক্ষরতা, দক্ষতা উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তিগত শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে থিম হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাপী বর্তমান সময়ের অন্যতম স্বাস্থ্যগত সমস্যা কোভিড মহামারি থেকে মানুষকে মুক্ত রাখা এবং এ অতিমারিকালে সাক্ষরতা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনলাইন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। এ গুরুত্বের আলোকেই এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের থিম নির্ধারণ করা হয়। বাস্তবিক পক্ষেই বর্তমান সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যার নিরিখে সাক্ষরতা দিবসের এ থিম বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এ কোভিডকালে সারা পৃথিবীতেই বন্ধ হয়ে যায় সব বিদ্যালয়, বন্ধ থাকে এক বছরেরও অধিক সময়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শতশত মিলিয়ন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীই হয়তো আর লেখাপড়ায় ফিরে আসতে পারবে না, বা শিক্ষায় মনোনিবেশ করতে পারবে না। এ বিষয়টি বিবেচনায় এনে অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও চালু করা হয়েছে অনলাইন শিখন প্রক্রিয়া। তবে এ অনলাইন শিক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক শিক্ষার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। অনলাইন শিক্ষায় কোনোভাবেই অন্তর্ভুক্ত করা যায়নি উপানুষ্ঠানিক পদ্ধতিতে পরিচালিত কৈশোর শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা এবং অব্যাহত শিক্ষা বা সামাজিক শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের। এসব শিক্ষা কেন্দ্রগুলো ইতোমধ্যে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে বলেই প্রতীয়মান হয়। একই সঙ্গে স্থগিত হয়ে গেছে উপানুষ্ঠানিক স্তরে পরিচালিত দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমগুলোও। ফলে আবারও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হলো উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কেন্দ্রে ভর্তিকৃত শত শত সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে গৃহীত নানাবিধ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হলো জীবনমান উন্নয়নের জন্য পরিকল্পিত আয়-বর্ধক কর্মসূচিগুলোও। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হলো সুবিধাবঞ্চিত নারী সমাজ। এ অবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন। বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির শিখন চাহিদা এবং জীবনমান উন্নয়নের বিষয়টিও বিবেচনায় আনা প্রয়োজন। এজন্য অনতিবিলম্বে স্থগিত হয়ে যাওয়া শিশু শিক্ষা, কৈশোর শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা এবং অব্যাহত শিক্ষাকেন্দ্রগুলো পুনরায় চালু করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে এসব শিক্ষাকেন্দ্রগুলোকেও অনলাইন প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। এসব শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষার্থীরাও যাতে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারে সেজন্যও তাদের সক্ষমতা বিনির্মাণ করা প্রয়োজন। সব শিক্ষার্থীই যাতে অন্তত একটি ডিজিটাল ডিভাইস, ট্যাব বা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারে সেটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রয়োজনে কম দামে বা নামমাত্র মূল্যে তাদের হাতে একটি স্মার্ট ফোন তুলে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এগিয়ে আসতে পারে। অর্থাৎ সুবিধাবঞ্চিত মানুষও যাতে অনলাইন শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এতেই ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে বৈষম্য কমে আসতে পারে। এটাই এ বছরের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের অন্যতম প্রতিপাদ্য। সবশেষে বলা যেতে পারে, বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার প্রায় ৭৫ ভাগে উন্নীত হয়েছে। এজন্য আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সুনামও বেড়েছে। তবে এখনো প্রায় ২৫ ভাগ মানুষই নিরক্ষর। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের মূল অঙ্গীকারই হওয়া উচিত দেশে বিদ্যমান ৩ থেকে ৩.৫ কোটি নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতা ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা। মনে রাখতে হবে, শুধু প্রাথমিক শিক্ষায় সব শিশুর ভর্তি নিশ্চিত করার মাধ্যমে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জন একটি দুরূহ কাজ। কারণ, আমাদের দেশে এখনো উলেস্নখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী পাঁচ বছরের শিক্ষাচক্র শেষ করার আগেই বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে। \হসুতরাং বলা চলে, প্রাথমিক শিক্ষা, কৈশোর শিক্ষা, বয়স্ক শিক্ষা এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার যুগপৎ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমেই অর্জিত হতে পারে শতভাগ সাক্ষরতা। সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সততা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও দেশপ্রেম জাগ্রত করে সবাইকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই হবে এ সময়ের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠনগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দাতা সংস্থাগুলোকেও এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে ও উপর্যুক্ত লক্ষ্যে সহযোগিতার হস্ত প্রসারিত করতে হবে। এতে করেই সহজ হতে পারে সাক্ষর সমাজ গঠন ও দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন। সহজতর হতে পারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তপন কুমাব দাশ : সাক্ষরতা ও উন্নয়ন কর্মী, উপ-পরিচালক, গণসাক্ষরতা অভিযান