বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
পাঠক মত

প্রসঙ্গ :আত্মহত্যা

মো. মিজানুর রহমান শিক্ষার্থী, লোকপ্রশাসন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

সরকারি হিসাব মতে, করোনাকালে বিগত এক বছরে সারা দেশে আত্মহত্যা করেছে প্রায় ১৪ হাজার ৪৩৯ জন মানুষ; যাদের মধ্যে অধিকাংশই স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী এবং বেকারদের একাংশ। পড়াশোনা নিয়ে হতাশা, মানসিক চাপ, আত্মবিশ্বাসের অভাব, আর্থিক সংকট, পারিবারিক জটিলতা, প্রেম ও বিয়ে নামক সম্পর্কে টানাপড়েন- এসবই মূলত আত্মহত্যার প্রধান কারণ। উন্নত বিশ্ব সম্ভাবনাময় নতুন নেতৃত্বকে স্বাগত জানায়। চায় একটি যোগ্য নেতৃত্বের। যার হাত ধরে বিশ্ব হবে শঙ্কামুক্ত। দূর হবে সমস্যানামক কৃষ্ণকায় বিষবাষ্প। তবে একুশ শতকের এ যুগে এসেও বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার হার যেভাবে আশঙ্কাজনকভাবে ঊর্ধ্বমুখী, সেখানে সমৃদ্ধ নেতৃত্ব তৈরি পথ অনেকটাই প্রতিবন্ধকতাপূর্ণ। আত্মহত্যা নামক এ ঘৃণিত কর্মযজ্ঞ সর্বত্রই চলমান। প্রতিবছর এর করাল থাবায় ধ্বংস হচ্ছে অঙ্কুরিত সম্ভাবনা।

এই সম্ভাবনাগুলোকে সফলতায় পৌঁছে দিতে সর্বাগ্রে যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হচ্ছে পারিবারিক সচেতনতা ও ঐক্যবদ্ধ কর্মপ্রচেষ্টা। আত্মহত্যাকে আত্মমুক্তির পথ ভেবে ভুল করতে দেওয়া যাবে না। যাবে না এই অপার সম্ভাবনাগুলোকে অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে। তাই আসুন, পরিবারের সবার মনোভাবকে বুঝতে চেষ্টা করি। পরিস্থিতি বুঝে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারি। জীবনকে উপভোগ করি। নিজে সচেতন হই, অন্যকেও সচেতন করি। প্রয়োজনে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিই। তাছাড়া আরেকটি উপায় হলো- একাকিত্ব ভালো না লাগলে যেন ভ্রমণে বের হয়ে পড়ি। কে জানে, হয়তো ঘুরতে ঘুরতে প্রকৃতির মাঝেই খুঁজে পেতে পারে মানুষ আত্মমুক্তি নামক জীবনের অর্থ!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে