আবারও দুর্ঘটনায় প্রাণহানি

সড়ক নিরাপদ করতে হবে

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। অন্যদিকে এই মহামারি কালেও সড়ক দুর্ঘটনা ও দুর্ঘটনায় মৃতু্য থেমে নেই। বলা দরকার, এই মহামারি কালেও যখন একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা ও দুর্ঘটনায় মৃতু্যর ঘটনা ঘটছে- তখন পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করা জরুরি। সম্প্রতি প্রকাশিত খবরে জানা গেল, সিরাজগঞ্জের উলস্নাপাড়া, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এবং নড়াইলে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আর এই দুর্ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে জানা যাচ্ছে যে, ট্রাক চাপায় ব্যাটারিচালিত অটোযান, প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এবং কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে মোটর সাইকেল আরোহীর। আমরা বলতে চাই, যখন একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ, তখন পরিস্থিতি কতটা ভীতিপ্রদ তা আমলে নিতে হবে। কখনো গাড়ি উল্টে, কখনো মুখোমুখি সংঘর্ষ, আবার কখনো বা অতিরিক্ত গতি, কখনো বা নিয়ন্ত্রণ হারানোসহ নানা কারণে একের পর এক সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে এবং বাড়ছে লাশের সংখ্যা। সঙ্গত কারণেই সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে এর ভয়াবহতা আমলে নিতে হবে। একইসঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের এটা মনে রাখা দরকার, প্রতিনিয়ত নানাভাবে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে, একের পর এক ঝরে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ। ফলে সড়ক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করা বিকল্প থাকতে পারে না। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, যখন প্রতিনিয়ত নানাভাবে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে, তখন এর পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। শুধু এবারে নয়, এর আগেও নসিমন উল্টে, মুখোমুখি সংঘর্ষসহ নানা কারণে সড়কে প্রাণ হারিয়েছে মানুষ। এছাড়া রাস্তা সংস্কার না হওয়াসহ দুর্ঘটনার নানাবিধ কারণও আলোচনায় এসেছে। সঙ্গত কারণেই দুর্ঘটনার কারণগুলো আমলে নিয়ে সর্বাত্মক উদ্যোগ অব্যাহত রাখা জরুরি। এছাড়া ভুলে যাওয়া যাবে না, সড়ক দুর্ঘটনায় নানান শ্রেণিপেশার মানুষ যেমন প্রতিনিয়ত চলে যাচ্ছে না ফেরার দেশে, তেমনি অনেক সম্ভাবনার মৃতু্য হচ্ছে অকালেই। যখন সড়কে একের পর এক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে তখন সার্বিক পরিস্থিতি এড়ানোর সুযোগ নেই। সংশ্লিষ্টদের বিবেচনায় নেওয়া দরকার, বিভিন্ন সময়েই দুর্ঘটনার কারণ আলোচনায় এসেছে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনা; বিপজ্জনক ওভারটেকিং; রাস্তাঘাটের ত্রম্নটি; ফিটনেসবিহীন যানবাহন; যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা; চালকের অদক্ষতা; চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেডফোন ব্যবহার; মাদক সেবন করে ড্রাইভিং; রেলক্রসিং ও মহাসড়কে হঠাৎ ফিডার রোড থেকে যানবাহন উঠে আসা; রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা; ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ এবং ছোট যানবাহন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণ উঠে এসেছে। আমরা মনে করি, সার্বিক বিষয়গুলো আমলে নিয়ে সর্বাত্মক উদ্যোগ করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। আমরা মনে করি, সড়ক দুর্ঘটনার ভয়াবহতা অনুধাবন করা অপরিহার্য। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলে দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশেষ করে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতু্যর বিভীষিকা থেকে কিছুতেই যেন রক্ষা পাচ্ছে না মানুষ। ফলে এ থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজতে হবে এবং দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিবহণ বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, সড়ক-মহাসড়কের ত্রম্নটি, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অদক্ষ চালক, মানুষের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর দুর্বলতাসহ বিভিন্ন কারণে দেশে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমছে না। ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া অপরিহার্য বলেই প্রতীয়মান হয়। সর্বোপরি বলতে চাই, সড়ক দুর্ঘটনায় লাশের সংখ্যা বাড়ছে। সঙ্গত কারণেই একের পর এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা কেন ঘটছে তা আমলে নিতে হবে এবং এর জন্য দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলো বিবেচনায় নিয়ে যত দ্রম্নত সম্ভব সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, কিন্তু যদি যাতায়াতের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হয় তবে তার চেয়ে পরিতাপের আর কী হতে পারে! সড়কে মৃতু্যর বিভীষিকা এমন, যেন সড়ক পথ একটা মৃতু্যর ফাঁদ! ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে দুর্ঘটনার কারণগুলো সামনে রেখে সেই মোতাবেক যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত হোক এমনটি কাম্য।