শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার সাফল্যের মুকুট

একসময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ বিশ্বের একটি উলেস্নখযোগ্য অবস্থানে উজ্জ্বলভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এর পুরোটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃতিত্ব। তার এই অনন্য কৃতিত্বে গর্বিত বাংলাদেশ, গর্বিত বাঙালি জাতি।
রেজাউল করিম খোকন
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
আপডেট  : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:৪৫

টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের অর্জনের জন্য 'এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড' পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউ ইয়র্কে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে এ পুরস্কার নেন প্রধানমন্ত্রী। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলু্যশন নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন), গেস্নাবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ ইনস্টিটিউট ও সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট যৌথভাবে শেখ হাসিনাকে এ পুরস্কার দেয়। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলু্যশনস নেটওয়ার্ক দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা ও সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কারে ভূষিত করা করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই অনন্য অর্জন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। জাতিসংঘের মহাসচিবের অধীনে ২০১২ সালে এসডিএসএন প্রতিষ্ঠা করা হয়। টেকসই উন্নয়নের জন্য বাস্তবভিত্তিক সমাধানে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করে এসডিএসএন। এসডিএসএন জাতিসংঘের সংস্থাগুলো, বহুপাক্ষিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, প্রাইভেটরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্জনের জন্য এসডিএসএনসহ কয়েকটি সংস্থা প্রধানমন্ত্রীকে পুরস্কৃত করেছে। সংস্থাগুলো বাংলাদেশের অবস্থা বিশ্লেষণ করেছে এবং মূল্যায়ন করে দেখেছে- বাংলাদেশ বিস্ময়কর সাফল্য অর্জন করছে। এ পুরস্কার দেশের জনগণকে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ পুরস্কার এসডিজি অর্জনে আমাদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি। এসডিজির মূল বিষয় হচ্ছে কেউ পেছনে থাকবে না। আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব, যাতে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির যাত্রায় কেউ পেছনে না থাকে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলু্যশন নেটওয়ার্কের (এসডিএসএন) প্রেসিডেন্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক জেফরি ডি. স্যাক্সকরোনা পরিস্থিতির মধ্যেও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে তাকে 'জুয়েল ইন দ্য ক্রাউন অব দ্য ডে' হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য একটি বৈশ্বিক রোডম্যাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি থেকে স্থায়ীভাবে উত্তরণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, আমাদের এসডিজি'র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে ফিরে যাওয়ার জন্য একটি সাহসী ও উচ্চাভিলাষী বৈশ্বিক রোডম্যাপ প্রণয়ন করা প্রয়োজন- যাতে কেউ পেছনে পড়ে না থাকে। এসডিজি অর্জনে একটি সাহসী ও উচ্চাভিলাষী রূপরেখা তৈরির প্রস্তাবনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নিউ ইয়র্কে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির আগেই অনেক দেশ এসডিজি অর্জনের পথ থেকে ছিটকে পড়ে। এই মহামারি তাদের আরও পেছনে ফেলে দিয়েছে। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোকে ফিরিয়ে আনতে আমাদের একটি সাহসী ও উচ্চাভিলাষী বৈশ্বিক রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে, যাতে কেউ পেছনে পড়ে না থাকে। তিনি বলেন, কোনো দেশ একা এসডিজি অর্জন করতে পারে না। এই এজেন্ডাকে এগিয়ে নিতে আমাদের বৈশ্বিক সহযোগিতা ও সংহতি প্রয়োজন। এসডিজি অর্জনের পথে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোকে সামনে আনতে শেখ হাসিনা পাঁচটি প্রস্তাবনা পেশ করেন।

প্রথম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি অর্জনের সফলতা নির্ভর করছে মহামারি থেকে টেকসই উত্তরণের ওপর। এ সময়ে সত্যিকারের জরুরি বিষয় হলো- সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় প্রস্তাবে ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নে সম্পদের বিশাল ব্যবধান কমিয়ে আনার কথা বলেন তিনি। তৃতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারির আঘাতে ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক দারিদ্র্য নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক সুরক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। চতুর্থ প্রস্তাবনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতি মোকাবিলায় পদক্ষেপগুলোর সমন্বয় করে কোভিড-১৯ থেকে পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। পঞ্চম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী এসডিজি বাস্তবায়নে মনিটরিং ও সহায়তা বাড়ানোর কথা বলেন। এসজিডি বাস্তবায়নে জাতিসংঘকে সমন্বয় বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। ২০৩০ এজেন্ডাকে একটি বৈশ্বিক চুক্তি হিসেবে উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি টেকসই বৈশ্বিক উন্নয়নের একটি বস্নু-প্রিন্ট। কোনো দেশ একা এই এজেন্ডা অর্জন করতে পারবে না। এই এজেন্ডা অর্জনে আমাদের বৈশ্বিক সহযোগিতা ও সংহতি বাড়াতে হবে। আমরা সবুজ উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধি অর্জন, লবণাক্ততা সহিষ্ণুতা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে প্রাধান্য দিয়ে 'মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি পস্ন্যান' গ্রহণ করেছি। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এসডিজি সূচকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে প্রথম পাঁচটি দ্রম্নত অর্থনৈতিক অগ্রগতির দেশের মধ্যে অন্যতম ও জিডিপিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৪১তম বলে জানান তিনি। জাতিসংঘ এ বছর বাংলাদেশকে এসডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের স্বীকৃতি দিয়েছে উলেস্নখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম-আয়ের দেশে ও ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ-আয়ের দেশে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে সরকার। ডেল্টাপস্ন্যান ২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপক বদ্বীপ তৈরি করে যেতে চাই। বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্রের মতো মেগা অবকাঠামো প্রকল্প চালু করেছি। ডিজিটালাইজেশন ও সংযোগে বাংলাদেশের বিনিয়োগ ডিজিটাল অর্থনীতি, তরুণদের নেতৃত্বে উদ্ভাবন ও রূপান্তরমূলক আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনকে উৎসাহিত করেছে। এটি এখন আমাদের কোভিড-১৯ মহামারিকে আরও ভালোভাবে মোকাবিলা করতে সহায়তা করছে। আমাদের তরুণদের সংখ্যা অনেক। ডিজিটাল অর্থনীতি ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সর্বাধিক সুবিধা পেতে তাদের সহায়তার জন্য আমরা শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশে প্রচুর বিনিয়োগ করেছি। এ সময় বিগত বছরগুলোতে টেকসই উন্নয়নসহ বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এ সবই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অসাধারণ দূরদর্শিতা। তিনি বরাবরই দেশের সার্বিক উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বিচক্ষণ পদক্ষেপ গ্রহণে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন- সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নেও নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্য অর্জনের তালিকা দিনে দিনে দীর্ঘ হচ্ছে। এবারও বদলে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য আরেক অর্জন যুক্ত হলো। নিঃসন্দেহে এই পুরস্কার বাংলাদেশ, দেশের জনগণ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য একটি বিরাট স্বীকৃতি। এসডিজির সাফল্য এখন নির্ভর করছে করোনা মহামারি থেকে উত্তরণের ওপর।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ ৫০ বছর পূর্তি করেছে। মহান স্বাধীনতা অর্জনের পরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সাহায্য করতে গিয়ে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেছিলেন তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। এরপর দারিদ্র্যের কষাঘাতে ধুঁকতে ধুঁকতে ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার যোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর একযুগ আওয়ামী লীগের একটানা ক্ষমতাকালে সেই বাংলাদেশ এখন অন্য দেশকে সাহায্য, সহযোগিতা করছে। উন্নয়নের মহাসড়কে ছুটে চলা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ এখন সাহায্য গ্রহীতা নয়, সাহায্য দাতার কাতারে উঠে এসেছে। ৭৫ বছর আগে স্বাধীন হওয়া পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে এমনকি ভারতকেও ছুঁয়ে ফেলেছে প্রায়। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস অভিঘাতে বিপর্যস্ত বিশ্বে বাংলাদেশ চলতি অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ার জিডিপির সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে যাচ্ছে বলে খোদ বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশ অর্থনীতি ও সামাজিক সূচকে যে পর্যায়ে উন্নতি করেছে তা দক্ষিণ এশিয়ায় সবার চেয়ে এগিয়ে। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন অর্জনের পেছনে জনগণের সঙ্গে থেকে অধ্যবসায়ের সঙ্গে যে মানুষটি নিরলস শ্রম ও মেধা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দীক্ষা কল্যাণময় যে কারণে উন্নয়নের ব্রত সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন সর্বক্ষণ। দেশের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, দৃঢ়চেতা, অদম্য মনোভাবের, বিচক্ষণ, সাহসী এই জননেত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এগিয়ে যাবে আরো সাফল্য এবং সমৃদ্ধির লক্ষ্যে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের মুকুটে আরও একটি নতুন পালক যুক্ত হলো। আরও একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে এক অনন্য রোল মডেল। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনেও তার সাফল্য আকাশ ছোঁয়া। বিশ্বের সর্বোচ্চ রাষ্ট্র নেতাদের আসরে তার অসাধারণ কৃতিত্ব ও সাফল্যে প্রশংসার

জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে- যাতে আমরা সবাই ভীষণভাবে গর্ববোধ করছি।

আজ জাতির সামনে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাড়াও সম্ভবত স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় অর্জন মাথা তুলে সবার সামনে দৃশ্যগোচর হয়েছে। সেটি পদ্মা সেতু, এটির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন প্রায় এক রূপকথার কাহিনী বিশ্বব্যাংক-এডিবির মতো শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবন্ধকতা দূর করে বাংলাদেশ এত বড় কাজটি নিজের অর্থে সম্পন্ন করতে চলেছে। এ সেতু বাংলাদেশের মাথা উঁচু করেছে, আর এই দৃশ্যমান স্থাপনা দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাথা হেট করেছে। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব যে সত্যি সত্যিই বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়- পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে এ দেশের মানুষ সেটা টের পেয়েছে। এখন তারা নেত্রীর জন্য যে কোনো বিজয় ছিনিয়ে আনতে প্রস্তুত। অনেক বাধা বিপত্তি, প্রতিকূলতা, ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে বাংলাদেশ দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে। সেই অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে এর পাশাপাশি নতুন নতুন লক্ষ্য অর্জন ও টেকসই উন্নয়নের জন্য দেশের সবাইকে আন্তরিক হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

একসময়ের তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ বিশ্বের একটি উলেস্নখযোগ্য অবস্থানে উজ্জ্বলভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। এর পুরোটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃতিত্ব। তার এই অনন্য কৃতিত্বে গর্বিত বাংলাদেশ, গর্বিত বাঙালি জাতি।

তার যোগ্য নেতৃত্বে সব সংকট মোকাবিলা করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আজকের বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দন। তার ৭৫তম জন্মদিনে আন্তরিক শুভেচ্ছা। তিনি দীর্ঘজীবী হোন, তার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।

রেজাউল করিম খোকন : অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার, কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে