আরও ৫ পিলারের নকশা চ‚ড়ান্ত

সুষ্ঠুভাবে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হোক

প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, সেতুর ৮, ১০, ১১, ২৬, ২৭ নম্বর পিলারের নকশাও চ‚ড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। বনানী সেতু ভবনে অনুমোদনের পর বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নকশা চ‚ড়ান্ত হয়ে আসে। বাকি ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের নকশা শিগগিরই আসবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। এ ছাড়া জাজিরা প্রান্তে রেলওয়ে বক্স ¯øাব স্প্যানের ওপর বসানোর কাজ চলছে। বলা দরকার, মাটির গঠনগত বৈচিত্র্য ও গভীরতার তারতম্যের কারণে পদ্মা সেতুর মাঝনদী ও মাওয়া প্রান্তের এসব পিলার নিয়ে বেশ জটিলতায় পড়ে এ প্রকল্প। তবে নকশা চ‚ড়ান্ত হওয়া পঁাচটি পিলারে স্ক্রিন গ্রাউটিং করে সমাধান মিলেছে। প্রসঙ্গত আমরা উল্লেখ করতে চাই, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয়েছিল পদ্মা সেতু। এরপর এ বছরের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর খুঁটিতে বসানো হয় দ্বিতীয় স্প্যান। গত ১১ মাচর্ ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির ওপর বসে তৃতীয় স্প্যান। এরপর ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর খুঁটির ওপর চতুথর্ স্প্যান বসানো হলে সেতুর ৬০০ মিটার দৃশ্যমান হয়। ২৯ জুন নদীর দক্ষিণপ্রান্তে ৪১ ও ৪২ নম্বর খুঁটির ওপর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়। ১৫০ মিটার দীঘর্ সেই স্প্যানটি ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের (খুঁটি) ওপর বসানো হওয়ায় পদ্মা সেতুর ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না, একটা সময়ে পদ্মা সেতু নিয়ে নানা ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হলেও আজ আর এই সেতু স্বপ্নে আটকে নেই, যা সামগ্রিকভাবেই ইতিবাচক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। সঙ্গত কারণেই সাবির্ক পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার, যথাসময়েই সেতুর কাজ যেন শেষ করা সম্ভব হয় সেই প্রচেষ্টাকে সামনে রেখে কাযর্কর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখা। আমরা বলতে চাই, সেতুর কাজ এগিয়ে চলেছেÑ ফলে সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার, কোনোভাবেই কাজে যেন ধীরগতি বা বাধাগ্রস্ত না হয়। কেননা তা হলে ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির আশঙ্কা থাকে, যা কাম্য নয়। কাযর্কর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সঠিক ব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে পদ্মা সেতুর কাজ যথাযথভাবে শেষ হবে এমনটি কাম্য। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও এই সেতু নিয়ে নানা ধরনের বিলম্ব প্রক্রিয়া চলতে থাকে। ২০১১ সালে দুনীির্তর অভিযোগ তোলে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের দেখাদেখি অন্য দাতাসংস্থাগুলো এক এক করে মুখ ফিরিয়ে নেয়। সৃষ্টি হয় নানা ধরনের আশঙ্কা। কিন্তু সব আশঙ্কা দূর করে এবং বাধাকে মোকাবেলা করে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বরে ১১টা ১৬ মিনিটে মুহুমুর্হু করতালির আওয়াজের সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রলিক হ্যামারে নদীর তলদেশে গভীর থেকে গভীরে প্রোথিত হতে থাকে পদ্মা সেতুর মূল পাইল। এর পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি, এগিয়ে চলেছে পদ্মা সেতুর নিমার্ণ কাজ। সবোর্পরি আমরা বলতে চাই, পদ্মা সেতুর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সামগ্রিক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখতে হবে। মানে রাখা দরকার, সেতুটির নিমার্ণ কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে সরাসরি যুক্ত হবে রাজধানী ঢাকা। যা সামগ্রিক সমৃদ্ধি অজের্নর পথে অত্যন্ত তাৎপযর্পূণর্ প্রভাব রাখবে বলেই আমরা মনে করি। সঙ্গত কারণেই যথাযথ ব্যবস্থাপনা ও কাযর্কর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যদিয়ে সেতুর কাজ সুষ্ঠুভাবে শেষ হবে এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।