বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
পাঠক মত

শিশু-কিশোরকে সঠিক আলোয় আলোকিত করা জরুরি

নতুনধারা
  ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

একজন শিশু দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। এই শিশুদের একটু মমতায় ধরে রাখলে আমাদের সমাজটা বদলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। একটু সচেতনতা বদলে দিতে পারে সমাজের চিত্র। আশপাশে শিশু-কিশোর কর্তৃক ছোটখাটো দুর্নীতি, ছোট-খাটো অপরাধ হয়ে থাকে যেমন- রাস্তা মার্বেল খেলা, স্কুলের সময়ে রাস্তার মোড়ে আড্ডা দেওয়া, কোনো গলির কোণে তাস খেলা। কৌতূহল মেটাতে ২-৩ জন মিলে বিড়ি ফুকা, টিনেজারদের উদ্দেশ্য করে সিটি বাজানো, টিটকারী করা ইত্যাদি ইত্যাদি। ইচ্ছা করলেই আমি, আপনি এ সব উঠতি বয়সের শিশুসন্তানদের আন্তরিক চেষ্টায় ওইসব খারাপ কাজ থেকে বিরত বা রক্ষা করতে পারি। আপনি-আমি যে দলই বা যে ধর্ম পালন করি না কেন। যে পেশাজীবীর হই না কেন- সর্বোপরি আমরা এ সমাজের সুধীজন। এই শিশু-কিশোররা ছোট ছোট দোষ করতে করতেই সমাজে বড় রকমের অপরাধ করে বসে। কেউ টাকার জোরে, আবার কেউ ক্ষমতার জোরে পার পেয়ে যায়। বর্তমানকালে 'অপরাধ' বিশেষজ্ঞদের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে- তৃণমূল পর্যায়ে মাত্র ০৫% মানুষ অপকর্ম করে। আর এই অপকর্মকে নীরবে ০৭% পার্সেন্ট সাপোর্ট করে। আর ০৪% মানুষ সেই অপকর্মগুলোকে সামাজিকভাবে কাগজ-কলমে প্রতিষ্ঠিত করে। বাকি ৮৪% মানুষই সুশৃঙ্খল। আর এমন অপরাধকে পুঁজি করে সমাজের এক শ্রেণির মানুষ লাভবান হয়ে থাকে। সামাজিক শিষ্ঠাচার সম্পন্ন একজন শিশু ও কিশোররা একেকটি পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। সে যে বাবারই সন্তান হউক না কেন- বাবার পেশাগত পরিচয়ে শিশুদের মূল্যায়ন করবেন না। এদের দরকার একটু ভালোবাসা এরাই সমাজের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। একটু ভালোবাসার আচরণ প্রয়োগ ঘটালেই অথবা যত্ন করে বোঝালেই শিশুদের সব দুষ্টামি, শিশু অপরাধ মোকাবেলা সম্ভব- সংশোধন করা সম্ভব। স্নেহ-মমতা-ভালোবাসা দিয়ে শিশু-কিশোরকে সঠিক আলোয় আলোকিত করা, সহযোগিতা করা সুনাগরিকের কর্তব্য। আপনার-আমার ভালো মানসিকতা ও সহমর্মিতা দিয়ে তৈরি হউক- একটি সুখী সুন্দর সমাজ।

লিমন আহমেদ

শিক্ষার্থী-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে