পাঠক মত

মাদকের ছোবল থেকে বঁাচাও মাতৃভ‚মিকে

প্রকাশ | ০৪ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ। নানান সমস্যায় জজির্রত আমাদের এই প্রিয় মাতৃভ‚মি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মাদক। যুব সমাজকে ধ্বংস করার অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে এই মাদক। আমাদের এই বাংলাদেশে মাদকের ভয়াল ছোবলে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক যুবক। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অনেক পরিবার। এই মাদকের ভয়াল ছোবলের কাছে কি পরাজিত হবে আমাদের লক্ষ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগে অজির্ত প্রিয় মাতৃভ‚মি। নাকি প্রিয় বাংলাদেশ মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দঁাড়াবে? মাদককে না বলবে। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্ঠি করবে। মাদকের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে আমাদের যা করা যেতে পারে আমাদের দেশে মাদকে আক্রান্ত হয় সাধারণত ১৪ থেকে ২০ বছরের ছেলে মেয়ে। তাই এই বছরের ছেলে মেয়েদের ওপর পরিবারের নজরদারি রাখা দরকার। ছেলে-মেয়ে কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছেÑ এটা নজর রাখতে হবে মা-বাবা কিংবা বড় ভাই-বোনদের। খারাপ ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে যদি আপনার পরিবারের মানুষটি মিশে তাহলে আপনার সন্তান কিংবা ভাই-বোনকে বোঝান। প্রয়োজনে শাসন করুন। মাদকের কুফল সম্পকের্ বোঝান যে, মাদকের থাবা কত ভয়াবহ। নজর রাখুন আপনার সন্তান কিংবা ভাই-বোনের প্রতি । তারা বিষণœতায় ভোগছে কিনা। কারণ, অনেক সময় বিষণœœতায় ভোগার কারণে আপনার সন্তানটি মাদকের ছোবলে পড়তে পারে। মাদকের বিরুদ্ধে স্কুল, কলেজে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কমর্কাÐ করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাসে মাদকের কুফল সম্পকের্ বোঝাতে হবে। তাদের স্কুল-কলেজ থেকে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের ক্লাসে মনোযোগী করে তুলতে হবে। সামাজিকভাবে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দঁাড়াতে হবে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন গণসচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। যুবকদের বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করাতে হবে। লেখাপড়ায় মনযোগী হতে হবে। লেখা-পড়ায় মনোযোগী হলে মাদকের কুফল সম্পকের্ জানতে পারবে। মাদকের সবর্নাশা ছোবল যে কত ভয়াবহ সেই সম্পকের্ জানতে পারবে। একজন যুবকের মাদক গ্রহণের ফলে আথির্কভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার পরিবার। সামাজিকভাবে হেয় হয় তার পরিবার। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সাধারণ মানুষদের জেগে উঠতে হবে। কারণ সাধারণ জনগণ যদি মাদকের বিরুদ্ধে সচেতন হয় সরকারের ও সহজ হবে মাদকমুক্ত দেশ গঠন করতে। কারণ সরকার আইন করল আর সাধারণ জনগণ মানল না। তাহলে আইন কতটুকু বাস্তবায়িত হবে। একটি দেশের উন্নতির জন্য সাধারণ জনগণের জেগে উঠা জরুরি। তাই মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে বঁাচতে আমাদের সাধারণ জনগণকে জেগে উঠতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। মাদক কোন দিক থেকে আসতেছে? মাদকের ব্যবসা কারা করছে তা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানাতে হবে। মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে বঁাচাতে হবে আমাদের পরিবার, সমাজ, প্রিয় মাতৃভ‚মিকে। মাদকের বিরুদ্ধে দুবার্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে??? আমরা সাধারণ জনগণ মাদকের বিরুদ্ধে যদি না দঁাড়াই তাহলে কিভাবে মাদকের ছোবল থেকে বঁাচবে বাংলাদেশ? সাধারণ জনগণের পাশাপাশি সরকারকে মাদকের বিরুদ্ধে জাগতে হবে। সীমান্তে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যারা আছেন তাদের সীমান্তে কড়া নজরদারি রাখতে হবে। যাতে মাদক আমাদের দেশে ঢুকতে না পারে। সরকারকে কঠোর আইন করতে হবে এবং তা বাস্তবায়িত করতে হবে। মোদ্দাকথা, মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। ফলে মাদকের ছোবল থেকে বঁাচবে বাংলাদেশ। জেগে উঠ প্রিয় বাংলাদেশ। মাদকের ছোবল থেকে বঁাচাও মাতৃভ‚মিকে। তোমাকে নিয়ে আমরা অনেক স্বপ্ন দেখি হে প্রিয় জন্মভ‚মি। আলী ফজল মোহাম্মদ কাওছার এমসি কলেজ, সিলেট