আবারও খুন

কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রকাশ | ০৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
একের পর এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছেই। অথচ খুন, ধষর্ণ, ছিনতাই থেকে শুরু করে নানা ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটতে থাকলে তা সামগ্রিক অথের্ ভয়ানক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। পত্রপত্রিকার পাতা উল্টালেই এমনসব ঘটনা পরিলক্ষিত হয়, যেন এর ভয়াবহতা আদিম ববর্রতাকেও হার মানায়। আমরা মনে করি, একটি স্বাধীন সাবের্ভৗম রাষ্ট্রে এই ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল যে, পাবনা সরকারি এডওয়াডর্ কলেজ মাঠে মোবাইলে দুবৃর্ত্তরা ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে আহমেদ মিশকাত মিশু নামে একজনকে খুন করেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য, মিশু সরকারি এডওয়াডর্ কলেজের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বষের্র ছাত্র এবং তার বাবা পাবনা কলেজের সহকারী অধ্যাপক। উল্লেখ্য, এই ঘটনা নিহতের বাবা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাবনা শহরের রাধানগর এলাকায় প্রাইভেট পড়াতে যান আহমেদ মিশকাত মিশু। এ সময় তাকে মোবাইল ফোনে পাবনা সরকারি এডওয়াডর্ কলেজের ভিতরে ডেকে নিয়ে যায় দুবৃর্ত্তরা। পরে মিশকাতকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। এরপর স্থানীয়রা মিশুর চিৎকারে ওই স্থান থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভতির্ করলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেলে স্থানান্তর করলে রাজশাহীতে নেয়ার পথে সে মারা যায়। প্রসঙ্গত আমরা বলতে চাই, এরকম বেদনাদায়ক এবং ভয়াবহ ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়েই কলেজ শিক্ষাথীর্ খুনের শিকার হয়েছে। এ ছাড়া অপহরণ করে খুন, ফিল্মি স্টাইলে দিনে দুপুরে কুপিয়ে হত্যা থেকে শুরু করে নানাভাবে দুবৃর্ত্তরা মানুষ খুন করেছে। এমনকি নিরপরাধ শিশুকেও চলে যেতে হয়েছে না ফেরার দেশে। সঙ্গত কারণেই আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার এ ধরনের পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ করা এবং সেই মোতাবেক যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। মনে রাখতে হবে, এরকম ঘটনা ঘটলে তা জননিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। আর জননিরাপত্তা বিঘিœত হলে তা সাবির্কভাবেই নেতিবাচক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমরা বলতে চাই যে, এ ধরনের ঘটনাগুলো আমলে নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে এবং গবেষণা জরুরিÑ কেন প্রতিনিয়ত এভাবে মানুষ হত্যাকাÐের শিকার হচ্ছে, দুবৃর্ত্তরা কেন এমন হিংস্র হয়ে উঠছে! একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এটা ভুলে যাওয়া যাবে না, অপরাধীরা পার পেয়ে গেলে তারা আরও বেশি অপরাধপ্রবণ হয়ে উঠতে পারে। ফলে যে কোনো ধরনের অপরাধমূলক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। এবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ঘটনার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মাথা ও পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। হত্যার কারণ জানা যায়নি। যদিও পূবর্শত্রæতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আমরা বলতে চাই, এই হত্যাকাÐের পরিপ্রেক্ষিতে সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং অপরাধীর সাজা নিশ্চিত হোক। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আমলে নেয়া জরুরি যে, দেশের বিভিন্ন স্থানেই অপহরণ, হত্যাকাÐসহ নানা ধরনের ঘটনা ঘটছে যা ভীতিপ্রদ। এমনকি আইনশৃক্সক্ষলা বাহিনীর পরিচয় দিয়েও একশ্রেণির ঘৃণ্যচক্র নিজেদের স্বাথর্ উদ্ধারে মানুষকে জিম্মি করে নানা অপরাধ করছে এমন অভিযোগও আছে। সঙ্গত কারণেই সামগ্রিক পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ হোক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।