স্বাধীনতার ৫০ বছর :প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা
স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের পেছনে ফিরে তাকানোর কোনো সময় নেই। সময় এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধি করতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা, জবাব দিহিতা নিশ্চিত করা।
প্রকাশ | ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
মোহাম্মদ নজাবত আলী
মানুষ স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। একাত্তরে বাঙালি জাতি স্বপ্ন দেখেছিল পরাধীনতার শিকল ভাঙার। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। মুক্তির স্বপ্ন। স্বাধীনতা মানুষের জন্মগত অধিকার। এ অধিকার কেউ কেড়ে নিতে ও খর্ব করতে পারে না। বিখ্যাত ফরাসি দার্শনিক রুশো বলেছেন, 'মানুষ স্বাধীন হয়ে জন্মায়, কিন্তু জীবনের সর্বত্র সে থাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ'। তাই একাত্তরে বাঙালি জাতি জন্মগত অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে পাকিস্তানিদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিল বাঙালি জাতি। এ শিকল ভাঙার গান শুনিয়ে ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। মূলত মুজিবের নির্দেশিত পথে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করে।
গত বছর ছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটির সার্থক রূপকার বঙ্গবন্ধু। কিন্তু যে স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা হৃদয়ে ধারণ করে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল সে স্বপ্ন আজও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৫০ বছর পূর্ণ হলো। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এ দীর্ঘ ৫ দশকে ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা তথা গণতান্ত্রিক সরকার ছিল না। বারবার সামরিক শাসন হত্যা, রক্তপাতের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতা দখল এ বিষয়গুলোর গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ধারাবাহিকতা ব্যাহত করেছে। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দেশি-বিদেশি, ষড়যন্ত্রকারীদের অপতৎপরতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পন্থিরাও আজ দ্বিধা বিভক্ত। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন ছিল একটি শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে উঠবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্যের অবসান ঘটবে। দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, জননিরাপত্তা, মানবিক মূল্যবোধ, মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠিত হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে উঠবে। তার কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে। আজ আত্মবিশ্লেষণের দিন, আত্ম উন্মেষণের দিন। আত্ম বিশ্লেষণে একটি জাতিকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। অনেক রক্ত আর লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা। আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনে স্বাধীনতার চেতনা যেমন গভীর তেমনি তাৎপর্যপূর্ণ। আজ স্মরণ করি, সেসব শহীদের কথা, সেসব অসীম সাহসী বীর যোদ্ধার কথা- যারা তাদের আত্ম বলিদানের জন্য অমর হয়েছেন। তারাই আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন চিরকাল'। তারা প্রাণের মায়া ত্যাগ করে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে স্বাধীনতার লাল পতাকা ছিনিয়ে এনেছেন।
বিগত বছরে আমরা স্বাধীনতার ৫০ তম দিবস সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছি। স্বাধীনতা মানে আত্মমর্যাদা। আত্মমর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকা। সব ধরনের অনাচার, বৈষম্য, শোষণ, নির্যাতনের বিপরীতে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, সুষম বণ্টন, অর্থনৈতিক মুক্তি, মানবিক মূল্যবোধ, অসাম্পদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এইগুলোই আমাদের আত্মমর্যাদা ও একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। একটি স্বাধীন জাতি আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ পরাধীন জাতির কখনো আত্মমর্যাদা থাকে না এবং আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতেও পারে না। এক সময় দিলিস্নর সম্রাট পঞ্চম জজ ভারতের কংগ্রেস নেতা গোখেলকে একটি প্রশ্ন করেছিলেন, তোমরা স্বাধীনতা চাও কেন? গোখেল সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলেন, আমরা স্বাধীন হয়ে আত্মমর্যাদা ফিরে পাব। সম্রাট পাল্টা প্রশ্ন করলেন, তোমাদের আত্মমর্যাদা কি করে হবে? কারণ তোমরা তোমাদের নারীদের যে অধস্তন অবস্থায় রেখেছ তাতে তোমরা স্বাধীন হলেও আত্মমর্যাদা ফিরে পাবে না। গোখেল তখন সরাসরি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে স্বাধীনতার সঙ্গে আত্মমর্যাদার সম্পর্ক যে অতি ঘনিষ্ঠ তা বলার চেষ্টা করেন। প্রকৃত পক্ষেই স্বাধীনতা না থাকলে কোনো জাতির আত্মমর্যাদা থাকে না। তবে সম্রাট পঞ্চম জজ নারীদের ব্যাপারে যে ইঙ্গিত করেছিলেন সেক্ষেত্রে নারীদের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে, নারী শিক্ষার প্রসার ও ক্ষমতায়ন হলেও তারা এখনো বিভিন্নভাবে শারীরিক, মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।
বিজয়ের পঞ্চাশ বছরে শিক্ষায় দেশ এগিয়ে গেলেও বেসরকারি শিক্ষকরা আজ নানা বৈষম্যের শিকার। আমরা জানি যে, শিক্ষা এমন একটি খাত যে খাতের সঙ্গে দেশের উন্নয়নের সম্পর্ক জড়িত। কারণ শিক্ষা ছাড়া কোনো দেশ ও জাতি উন্নয়ন করতে পারে না- যা নতুন করে বলার কোনো অবকাশ নেই। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। এ পরিবর্তনের ধারার সঙ্গে শিক্ষক সমাজই সম্পৃক্ত। শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। তাই সমাজের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে অনেকেই শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়ে একটি সম্মানজনক অবস্থান থেকে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এখনো পর্যন্ত বেসরকারি শিক্ষকরা নানা বৈষম্যের শিকার। গোটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরকারি ও বেসরকারি এ দু'ভাগে বিভাজন করা হয়েছে। একই পাঠ্যক্রমের আওতায় পাঠদান করেও বেসরকারি শিক্ষকরা অবহেলিত। অথচ দেশের প্রায় ৯০ ভাগ বেসরকারি শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন। বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন শতভাগ করলেও ঈদ বোনাস শতভাগ করা হয়নি। চিকিৎসা, বাড়িভাড়া স্কেলের আওতায় আনা হয়নি। এখনো বেসরকারি শিক্ষকরা দুটো টাইম স্কেলের প্রাপ্য হলেও একটা পেয়েছেন। অনেকের চাকরি শেষ হয়ে অবসরে গেছেন, কেউ প্রায় শেষের দিকে তবুও ২য় টাইম স্কেল থেকে বঞ্চিত। সুতরাং বেসরকরি শিক্ষকদের হাজারো সমস্যা। এ কারণে মেধাবীরা সহসা এ পেশায় আসতে চান না। শিক্ষা ক্ষেত্রে নানা বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ জরুরি। আগামী ২০২৩ সালে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর আগেই শিক্ষা জাতীয়করণ করা হোক। শিক্ষকদের মূল্যায়ন করে বঞ্চনা থেকে মুক্তি দেয়া হোক।
প্রকৃত অর্থেই বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। তাই বাংলাদেশ কোনো দিক থেকে আর পিছিয়ে নেই। উন্নতি সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে। কিন্তু তবুও কিছু সমস্যা রয়েছে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি আমাদের প্রধান শত্রম্ন। সন্ত্রাসী দুর্বৃত্ত চক্র লুটেরা আমাদের অর্থনীতির গতিকে মন্থর করছে। দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের শৃঙ্খল ভাঙতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে সমতা ভিত্তিক সমাজ। প্রান্তিক চাষি, হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম উঠেছে। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নির্দিষ্ট মান অতিক্রম করায় বিজয়ের ৫০ বছরের শুভক্ষণে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ পায়। এ অর্জন অবশ্যই আমাদের গর্ব করলেও এখনো দারিদ্র মানুষের সংখ্যা রয়েছে। এই সংখ্যাকে শূন্যের কোঠায় নামাতে হবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙা করতে হবে। বাংলাদেশকে প্রকৃত অর্থে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। একাত্তরে লাখো শহীদের স্বপ্ন একটি উন্নত ও ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন পূরণে আরো এগোতে হবে।
একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল গণতন্ত্র। সেই গণতন্ত্রকে সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। গণতন্ত্রের চর্চা, সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভিত্তি, সে ভিত্তি হিসাবে আজও গণতন্ত্রকে দাঁড় করানো যায়নি। প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা প্রায়শ বলে থাকি স্বাধীনতার ৫০ বছরের কথা। কিন্তু এটা স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স হলেও প্রকৃত গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বয়স নয়। এ দীর্ঘ সময়ে সামরিক শাসন, আধা সামরিক শাসনের আবদ্ধ ছিল দেশ। ফলে জাতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ঘটেনি। মজুতদার, অবৈধ ব্যবসায়ী, পেশি শক্তি, কালো টাকা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত রাজনীতি এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে না উঠার কারণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ পূর্ণতা পায়নি। তবুও বিজয়ের ৫০ বছরে প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার মধ্যে আমরা ইতোমধ্যেই অনেক কিছু অর্জন করেছি। স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়েছে। কৃষিতে বৈল্ববিক পরিবর্তন এসেছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন, গড় আয়ু অনেক বেড়েছে। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন আর মঙ্গাপীড়িত দেশ বা তলাবিহীন ঝুড়ি নয়। বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমরা একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণ করতে পারিনি। মুক্ত প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে না উঠার কারণে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি আজ দানা বেঁধেছে। ফলে দুর্নীতি সর্বব্যাপী রূপ নিয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে ঠিকই কিন্তু নারী নির্যাতন বন্ধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। শিক্ষায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আসলে আমাদের রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে রাষ্ট্রের সর্বত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব, সংঘাত, হানাহানি, অনৈক্যের কারণে রাজনীতি হয়েছে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিনির্ভর- যা স্বাধীন দেশ হিসেবে তা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। স্বাধীনতার ৫০ বছরে এ দেশের রাজনীতিবিদরা যতটুকু দেশের উন্নয়নে আত্ম নিয়োগ করেছে তার চেয়ে বহুগুণে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য প্রয়োজন একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক ঐক্য। এটা গড়ে না উঠার কারণে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলো শুধু নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে চলেছে। আমরা যতক্ষণ নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে না পারব ততক্ষণ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে পারব না। তাই আসুন আমরা শপথ নিই একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলার। দেশকে ভালো বাসি এবং শোষণ দুর্নীতিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের পেছনে ফিরে তাকানোর কোনো সময় নেই। সময় এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধি করতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, স্বচ্ছতা, জবাব দিহিতা নিশ্চিত করা।
সর্বপরী রাজনৈতিক নেতৃত্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। সবচেয়ে বড় বিষয়টি হলো সমগ্র জনতাকে এ লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। দুর্নীতি রোধ, সুশাসন একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই লাখো শহীদের স্বপ্ন পূরণ হবে।
মোহাম্মদ নজাবত আলী : শিক্ষক ও কলামিস্ট