পাঠক মত

ভুয়া চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

আহমেদ দুলাল ঢাকা
হাসপাতাল ভাংচুর কিংবা ডাক্তারের ওপর চড়াও হওয়ার মতো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রায়ই আমরা পত্রিকায় দেখে থাকি। এছাড়া এক ধরনের ভুয়া ডাক্তারদের অপচিকিৎসার শিকার হয়ে অসহায় রোগী বা রোগীর লোকজন দেশের সম্পদের ওপর আক্রোশ ঢেলে ক্রোধ নিবারণের চেষ্টা করে। এর জন্য দায়ী কে? চিকিৎসা প্রদানকারী ডা. কদম আলী (ডিগ্রি নাই), নাকি চিকিৎসা গ্রহণকারী রোগী? কতৃর্পক্ষের কাছে এর সঠিক এবং স্থায়ী জবাবদিহিতা থাকা প্রয়োজন। পত্রিকায় তথা দেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ডাক্তারদের এমন অপকমের্র নমুনা প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়। যেমন- অপারেশন করে গজ কঁাচি পেটে রেখে সেলাই করার ঘটনা কয়েকবার ঘটেছে, টনসিল কাটতে গিয়ে আলাজিহŸা কেটে ফেলা হয়েছে, পেটে সামান্য ব্যথা অনুভব হলেই অ্যাপেন্ডিসাইড অপারেশন করা হচ্ছে। সিজার সম্পকের্ আর নতুন কিছু বলার নেই, হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে গেলেই ছুরি চালানো শুরু হয়ে যায়। এছাড়া বাম হাতে অতিরিক্ত উৎকোচ না দিলে গভর্বতী মহিলাকে বারান্দায় ফেলে রাখা, মহিলা পরিচ্ছন্নকমীর্ দ্বারা বাচ্চা প্রসব করানো, ঘুষ না পেয়ে ডাক্তার ও নাসের্দর অবহেলায় টয়লেটের কমোডে বাচ্চা প্রসবিত হয়ে তার অভ্যন্তরে হারিয়ে যাওয়া, নাসর্ দিয়ে অপারেশনের কাজ চালিয়ে নেয়ার ঘটনাও শোনা যায়। এটা অত্যন্ত দুভার্গ্যজনক ও দুঃখজনক। সত্যিকারের পাস করা শিক্ষিত ডিগ্রিধারী অভিজ্ঞ ডাক্তাররা কখনোই এমনটি করতে পারে না। শিক্ষিত ব্যক্তি কখনো বিবেকহীন হয় না, হতে পারে না। যদি কারো মাঝে অশিক্ষা কুশিক্ষা কিংবা সামাজিক স্বীকৃতির অভাব থাকে তাহলে তাদের পক্ষেই এ ধরনের হিংস্রতা সম্ভব। এদেশের আনাচে-কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো অসংখ্য ডাক্তারখানা ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে যাদের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। উচ্চ শিক্ষিত তো নয়ই, এমনকি প্রশিক্ষণও নেই এবং অনেকেই আছে ফাইভ পাস ডাক্তার। খুচরা কিংবা পাইকারি ওষুধ বিক্রয়ের নামে দিনের পর দিন মানুষকে তারা অপচিকিৎসা দিয়ে আসছে। অনেকে এনজিও থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ডাক্তারখানা খুলে ডাক্তারি করে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ মহাখালী থেকে ফামাির্সস্ট ট্রেনিং নিয়ে ডাক্তার সেজে বসে গেছে, যারা অনেক মেজর বিষয়ে চিকিৎসা দিতেও পিছপা হয় না। এসব ভুয়া ডাক্তারদের গতিরোধ করতে হবে। তা নাহলে এদেশের চিকিৎসার প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে না, ডাক্তারদের প্রতি বিশ্বাস থাকবে না।