সকালেই যে বার্তা এলো

নতুন গড়ে ওঠা এসব বসতি কেড়ে নিয়েছে কৃষি জমি ও জলাভূমি। নগরায়নের এই প্রক্রিয়ায় শহরের বাইরে দ্রম্নতগতিতে অপরিকল্পিতভাবে নতুন বসতি গড়ে উঠেছে। সুপেয় পানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সড়ক যোগাযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবার অপ্রতুলতা রয়েছে। শহরের প্রতিটি এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন একটা লাগেনি।

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

রণেশ মৈত্র
সংবাদপত্রকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। সমাজের সেই স্বীকৃত দর্পণ বিগত ৯ জানুয়ারি (যেদিন নিবন্ধটি লিখতে বসেছি) যে যে বার্তা ভোর বেলায় বহন করে আনলো তার শিরোনামগুলো এবং তার প্রেক্ষিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংক্ষিপ্ত আলোচনা এই নিবন্ধে তুলে ধরছি। একটি পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠার যে শিরোনামগুলো চোখে পড়ল সেগুলোর শিরোনাম: এক. যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা : নির্বাচনী সংঘাতে আরও তিনজন নিহত, পঞ্চম ধাপের ভোটে প্রাণ গেল ১৩৩; দুই. ২০২১ সালে সড়কে প্রাণ গেছে ৬২৮৪ জনের; তিন. নিয়োগ পরীক্ষাই হয়নি, খরচ ২ কোটি ২১ লাখ টাকা; চার. রাজধানীতে প্রকাশ্যে গুলি আহত ৩; পাঁচ. নিয়ন্ত্রণ হারালো বাস, দুই পথচারীর মৃতু্য, আহত ১২; ছয়. নিখোঁজদের সন্ধান মিলছে না-নদীপাড়ে স্বজনদের বিক্ষোভ; অপর একটি পত্রিকার শিরোনাম এক. গুড় খায় পিঁপড়ায়:সবজি উৎপাদক ও ভোক্তার মাথায় হাত। দুই. ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে মাদক সিন্ডিকেট; তিন. মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ, সেই সুরাইয়ার পাশে কেউ নেই; চার. টাকা ফেরত চেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা পদ হারালেন-মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ; পাঁচ. চলন্ত বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে হত্যার চেষ্টা; ছয়. ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ১০ ডাক্তারকে উদ্ধার করলো পুলিশ; সাত. হত্যার হুমকি মুরাদের:দু'দিন পর বাসায় ফিরলেন স্ত্রী-সন্তান; অপর একটি পত্রিকার শিরোনাম এক. পথচারীর চলতে ভয়; দুই. টাকা না পেয়ে পুলিশ হেফাজতে যুবককে হত্যার অভিযোগ; তিন. তিতাসের সাবেক কর্মকর্তার কোটি কোটি টাকার সম্পাদ; চার. ডা. মুরাদের স্ত্রী নির্যাতনের ঘরোয়া সুরাহা চায় পুলিশ; অন্য একটি পত্রিকা এক. কাপ্তান বাজারে আগুনে পুড়ে ছাই ৭০ দোকান, এক জনের মৃতু্য; অপর পত্রিকা এক. তৈমূরের শক্তির পিছনেও ওসমান পরিবার; দুই. বেপরোয়া হাতি, সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে; তিন. ময়মনসিংহে দুই গারো কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৬, মূল আসামি রিয়াদ জেল থেকে বেরিয়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে; চার. রোগী ও স্বজনদের জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় চলছিল আগে থেকেই (শ্যামলীর আমার বাংলাদেশ হাসপাতালে); পাঁচ. পদ্মা ব্যাংকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ে 'অনৈতিক' সুবিধা দেওয়ায় টিআইবির উদ্বেগ; ছয়. রসিকে প্রকল্পের অর্থ জালিয়াতি তৃতীয় দফা তদন্ত করেও প্রতিবেদনে গরমিল; প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হলেও আমলে নেওয়া হচ্ছে না। অন্য একটি পত্রিকা এক. বেড়েছে অজ্ঞান পার্টি সহ ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম-ঝামেলার ভয়ে অভিযোগ করেন না অনেকেই। এখানেই শেষ। আমি মাত্র সাতটি দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠার শিরোনাম উলেস্নখ করলাম। বাদ-বাকি অসংখ্য দৈনিক আমার হাতের নাগালে নেই। থাকলে সেগুলো থেকে শিরোনামের উদ্ধৃতি দিলে হয়তো ছোট-খাটো একটা পুস্তিকা প্রকাশ করতে হতো। কেউ কেউ হয়তো অভিযোগ করবেন- আমি শুধুমাত্র নেতিবাচক খবরের শিরোনামগুলোর উলেস্নখ করলাম-ইতিবাচক খবরগুলো এড়িয়ে। উত্তরে বলি, হঁ্যা, ইচ্ছে করেই জনগণের দুর্দশা, অসহায় মৃতু্য, দুর্নীতি, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির বিষয় এবং আইনের শাসনের খবর আমাদের দেশের সংবাদপত্রগুলোর হাতে একদিনেই এসে পৌঁছেছে জনগণের স্বার্থে, জনগণের সামনেই তা তুলে ধরার প্রয়াস পেয়েছি মাত্র। ১২-১৬ পৃষ্ঠা থাকে এক একটি পত্রিকায়। তার মধ্যে সাতটি পত্রিকার মাত্র দুটি করে পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরের শিরোনাম উলেস্নখ করেছি। বাদবাকি বহুসংখ্যক পৃষ্ঠাতেও রয়েছে এ জাতীয় অনেক খবর যা প্রকাশ করা থেকে স্থানাভাবে বিরত থেকেছি। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে দৃষ্টি আকর্ষণ যোগ্য অনেক মারাত্মক খবর প্রকাশিত হয়েছে। এবারে সংক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি খবর নিয়ে আলোচনা করা যাক। মন্ত্রিসভা থেকে সম্প্রতি অজস্র নারী নির্যাতন সংক্রান্ত খবর ও ভিডিওতে অশ্লীল আলোচনা এবং তা ব্যাপক প্রচারের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর ডা. মুরাদ দুটি দেশে গোপনে গিয়েও সে দেশ দুটিতে প্রবেশাধিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে দেশে ফিরে এসে কোথায় এতদিন ছিলেন জানা যাচ্ছিল না। হঠাৎ যখন তার স্ত্রী ঐ ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে ৯৯৯-এ ফোন করে জানালেন এবং পরপরই থানায় জিডি করলেন তখনই তাঁর সন্ধান এবং সাম্প্রতিক খবর জানা গেল। সহজে কোনো নারী স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে না- তারপর সমাজে মর্যাদাশীল পরিবারের হয় তবে তো কথাই নেই। তাই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, সহ্যের সীমা অতিক্রম করাতেই ডা. মুরাদের স্ত্রী থানা পর্যন্ত দৌড়াতে বাধ্য হয়েছেন। আর থানা কী করছে? ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে ঘরোয়াভাবে ঘটনাটির পারিবারিক সুরাহা চাইছেন। এমন কোনো আইন আছে কি? থাকে যদি তবে প্রথমে নারী নির্যাতন হলে গ্রাম্য সালিশের মীমাংসাকে বে-আইনি বলে পুলিশ অভিহিত করে কেন সালিশকারীদের বহু ক্ষেত্রে বিচারের সম্মুখীন করা হয় কেন? দেশে আইনের শাসন এবং আইন প্রয়োগে বৈষম্যের এটি একটি জ্বলন্ত নজির। যে স্বামী বহু নারীর সঙ্গে অবৈধ ঘটনা ঘটাল- সেই স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর ঘরোয়া মীমাংসা চাইল পুলিশ? এতে কি ডা. মুরাদকে প্রকারান্তই "এড় ধযবধফ" বলা হলো না? আর একটি খবরে জানা যায়, লালমনিরহাটে হাতীবান্ধায় সাবিত্রী রানী নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃতু্যর পর পুলিশ হেফাজতে তাঁর স্বামী হিমাংশু চন্দ্র বর্মণের মৃতু্য হয়েছে। পুলিশ হিমাংশুর মৃতু্যকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছে। তবে পরিবারের দাবি, স্ত্রীর মৃতু্যর পর স্বামীকে থানায় নিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। পরে পুলিশই তাকে মেরে ফেলেছে। প্রশ্ন হলো পুলিশ যে হিমাংশু বর্মনের আত্মহত্যার কথা বলছে-তাহলে স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর কোনো অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজনের আত্মহত্যার সরঞ্জামাদি মওজুদ ছিল? আত্মহত্যার সময় (যদি দাবিটিকে সত্যি বলে ধরা হয়) পুলিশ কি চোখ বুজে ছিল এবং সে কারণে ঘটনা দেখতে না পাওয়াতে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করতে পারেনি? সত্য উদ্‌ঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও কর্মকর্তাদের চাকরিচু্যত বা বহুদূরে বদলি করে নিরপেক্ষ তদন্ত করা প্রয়োজন। তিতাসের সাবেক কর্মকর্তা :দুর্নীতি দুর্নীতিতে বাংলাদেশ অনুন্নত বিশ্বের টপ অর্ডারে আছে- এ খবর সবারই জানা। ৯ জানুয়ারি প্রকাশ পেল তিতাসের সাবেক কর্মকর্তার কোটি কোটি টাকার সম্পদের কাহিনী। তাতে বলা হয়েছে, দুদক ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ পেয়েছে তাতে বলা হয়, শাহাদাত হোসেন কর্মরত অবস্থায় থাকাকালে গ্যাস সংযোগ দিয়ে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। ঢাকার মীরপুর ডেমরা, গাজীপুর, সাভার, রূপগঞ্জসহ নানা এলাকায় হোটেল, মিল-কারখানাসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক, আবাসিক ভবন, বাসাবাড়িতে সংযোগ দিয়েছে। সূত্র জানায়, শাহাদাত হোসেন ডেমরার হাজিনগরে বসবাস করেন। সেখানে "ক্ষণিক নীড়" নামে তার একটি পাকা বাড়ি আছে। আর কোনো সম্পদ নেই বলে তিনি জানান। অপরপক্ষে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগে পস্নট, পাকা বাড়ি, একাধিক মার্কেটে তার নামে দোকানসহ বহু স্থানে নানা ধরনের সম্পদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। দুদক এ ব্যাপারে কতদূর অগ্রসর হয় দেখা যাক। কিন্তু যখন তিনি কর্মরত ছিলেন এবং এখনও যারা কর্মরত আছেন তাদের মধ্যেও তো সম্ভবত শাহাদাতের অভাব নেই। শুধুই বা তিতাস গ্যাস কার্যালয় কেন, সড়ক-সেতু নির্মাণ, সরকারি অর্থে ছাপানো অসংখ্য বই-পুস্তক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ কত জায়গায় যে দুর্নীতি নামক বিষবৃক্ষটি বিশাল আকারে গড়ে উঠেছে-তার কতটুকু হিসাব রাখে দুদক? হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যাংকলুট করে যারা বিদেশে পাচার করে সেখানে বাড়ি, গাড়ি, বিপণী কেন্দ্র গড়ে তুলেছেন, সরকার সংশ্লিষ্ট বলেই কি তারা রেহাই পেয়ে যাবেন? দুর্নীতি দমন আইনের হাত কি এতই খাট? মানুষে মানুষে বিভাজন-বৈষম্য ৯ জানয়ারি যে সাতটি দৈনিক আমি দেখেছি তার মধ্যে এই খবরটিই আমাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে। খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের শহরগুলোতে ধর্ম, উপার্জনের সক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধাসহ নানা ধরনের বিষয়কে ঘিরে গত দশ বছরে আশঙ্কাজনক বিভাজন লক্ষ্য করা গেছে। একই সঙ্গে শহরতলিতে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত বসতি স্থাপনের ফলে শ্রেণি বৈষম্য বাড়ছে। আটটি দেশের নয়টি সংস্থা এই বৃহৎ প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ পস্ন্যাসগো মূল অর্থদাতা প্রতিষ্ঠান। সেন্টার ফর সাসটেইনেবল, হেলদি অ্যান্ড লার্নিং সিটিজ অ্যান্ড নেবারহুড্‌স্‌। আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের প্রকল্পটির কাজ চলছে সাতটি উন্নয়নশীল দেশে। এর জন্যে প্রতিটি দেশের দুটি করে ছোট ও বড় শহর বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং নগরায়নের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে বেছে নেওয়া হয়েছে সেগুলোর টেকসই সমাধানে গত চার বছর ধরে কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত আছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপিস্নন। গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকা শহরে আশঙ্কাজনক হারে নগরায়ন হচ্ছে। বর্তমানে ঢাকা শহরের আয়তন ৩০৭ বর্গ কিলোমিটার। গত ৩০ বছরে ঢাকার আশপাশে ২৫৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে বসতি গড়ে উঠেছে। একই সময়ে খুলনায় বেড়েছে ১৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা, মোট আয়তন ৫৬ বর্গ কিলোমিটার। ঢাকায় গড়ে প্রতি বছর ৮ শতাংশ হারে নগরায়ন হচ্ছে, খুলনায় হচ্ছে ৫০ শতাংশ হারে। নতুন গড়ে ওঠা এসব বসতি কেড়ে নিয়েছে কৃষি জমি ও জলাভূমি। নগরায়নের এই প্রক্রিয়ায় শহরের বাইরে দ্রম্নতগতিতে অপরিকল্পিতভাবে নতুন বসতি গড়ে উঠেছে। সুপেয় পানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সড়ক যোগাযোগের মতো গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবার অপ্রতুলতা রয়েছে। শহরের প্রতিটি এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া তেমন একটা লাগেনি। সামাজিক বিভাজন-ঢাকা এবং খুলনা উভয় শহরেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান শহর জুড়ে বাস করে। তবে সনাতন ও খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারীরা নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় যেমন পুরান ঢাকা ও খুলনার বড় বাজার এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাসের হার মূল শহরের তুলনায় যথাক্রমে দশগুণ ও দ্বিগুণের বেশি। ধর্মের এই প্রান্তিকতা বাড়তে থাকলে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার সময় ভর্তুকি বহুগুণ বড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে। ধর্ম ছাড়াও ঢাকা শহর সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিভাজিত। নগরীর কিছু জায়গা অভিজাত সম্প্রদায়ের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত। আয়ের ভিত্তিতে ঢাকা শহর ৮ এবং খুলনা শহর ৫ শ্রেণিতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। উভয় শহরেই নাগরিক সুবিধা প্রান্তির ক্ষেত্রে স্থানিক বৈষম্য বেড়ে চলেছে। ঢাকার ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশ বাড়িতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই। খুলনায় এই চিত্র আরও ভয়াবহ। ঢাকা শহরে গত ২০ বছরে সরকারি উদ্যোগে কোনো বিদ্যালয় গড়ে ওঠেনি। বেশিরভাগ মধ্য ও নিম্ন আয়ের এলাকায় প্রয়োজনের তুলনায় মানসম্মত স্কুল অপ্রতুল। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উভয় শহরে নাজুক। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্লিনিক, ফার্মেসি ইত্যাদি গড়ে ওঠায় যানজট সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার প্রান্তিক এলাকায় মানুষদের এ সুবিধা নিতে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। দেশের নীতি-নির্ধারকরা এই ক্রমবর্ধমান সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে তার সমাধানে এগিয়ে আসবে এই প্রত্যাশা। এই হলো আমার ৯ জানুয়ারি সাতটি পত্রিকার প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরগুলোর পর্যালোচনা। রণেশ মৈত্র :সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত