বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
পাঠক মত

নদী দখল

মো. সায়েদ আফ্রিদী শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজ
  ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

নদীমাতৃক বাংলাদেশ। দেশের বৃহৎ একটা জায়গাজুড়ে বিস্তৃত নদী। নদীর আবার রয়েছে শাখানদী, উপনদী। সেগুলো আবার বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট জলাশয়, খালে রূপান্তরিত হয়েছে। দিন দিন ক্ষমতাসীন এবং প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে নদী এবং খালগুলো। কৃত্রিমভাবে চর তৈরি করে নির্মাণ করা হচ্ছে বাড়িঘর, কল-কারখানাসহ নানান স্থাপত্য।

এ ছাড়া নিত্যদিন ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন ময়লা-আবর্জনা ইচ্ছেমতো।

যার ফলে নদীর নাব্য দিন দিন কমে যাচ্ছে। ছোট ছোট খাল এবং জলাশয়গুলো ভরে যাচ্ছে ময়লা-আবর্জনায়। একটা পর্যায়ে নদী, খালের মূল যে আয়তন সেটাই দৃষ্টিগোচর হয়ে যায়। কিছুদিন পরপরই কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে উচ্ছেদ অভিযান করা হয় এমন অবৈধ স্থাপনা। যেগুলো করতে এসে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয় উদ্ধারকারীদের। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় উচ্ছেদ শেষে জমি আবার আগের মতোই অযত্নে পড়ে থাকে। কোনো তদারকি তখন আর চোখে পড়ে না নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলদের।

ফলে আবার প্রভাবশালী মহল এগুলো বিক্রি করে, ইজারা দেয়। বারবার একই কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটে।

ফলে যারা এসব জমি কোটি কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নেয় তাদের আবার লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। সরকারের আবার উচ্ছেদ করে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হয়। মাঝপথে ক্ষমতাসীন এবং প্রভাবশালী যারা আছে তাদের লাভ হচ্ছে। দিনশেষে ফলাফল জিরো। সুতরাং উচ্ছেদ অভিযান শেষে দায়িত্বশীলদের এসব এরিয়া নিয়ে কাজ করতে হবে।

যাতে আবার কেউ দখলে নিতে না পারে সে বিষয়ে কড়া নজরদারি রাখতে হবে। এবং সরকারিভাবে এ সব এরিয়া কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেগুলো নিয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা খোলা মাঠের মতো এভাবে জমি পড়ে থাকলে বরাবরের মতোই এগুলো দখলে নিয়ে যাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে