দুর্নীতি ও উন্নয়ন

দুর্নীতি শুধু রাষ্ট্রের উন্নয়নের ব্যাঘাত ঘটায় না ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার বড় অন্তরায়। এ বৃত্ত থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। নইলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।

প্রকাশ | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

মোহাম্মদ নজাবত আলী
কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি একসঙ্গে চলতে পারে না। এ দু'টোই আমাদের উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। বর্তমান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি। দুর্নীতির কারণে বিগত বছরগুলোতে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন্ন হয়েছে। জাতিগত দিক থেকে আমাদের মর্যাদা ও সম্মানকে কলঙ্কিত করেছে। তাই দুর্নীতি সমাজ উন্নয়নে সম্ভাবনাকে শুধু বাধাগ্রস্তই করে না, দুর্নীতি সুশাসন প্রতিষ্ঠার বড় ধরনের অন্তরায়। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ আমাদের কাম্য। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো দুর্নীতিমুক্ত হয়নি। বিশ্বের মধ্যে দুর্নীতির ধারণা সূচকে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৩তম (সর্বনিম্ন থেকে) যা গতবার ছিল ১২তম। দুর্নীতির এই সূচক বা স্কোরের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনো অগ্রগতি হয়নি। বাংলাদেশের স্কোর ২৬, গতবারও একই ছিল। বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) পরিচালিত দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০২১ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের দুর্নীতির ব্যাপকতা উদ্বেগজনক। এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতির এই ধারণা সূচকের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখানোর রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকলেও সেটা ঠিকমতো কার্যকর হচ্ছে না। কারণ, যাদের হাতে এই দায়িত্ব তাদের একাংশ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশের স্কোর বাড়েনি, কমেওনি।' সরকার দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন অনেক আগেই। প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে ও একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সমাজের অধিকাংশ মানুষই সমর্থন করেন। কারণ অনেকেই আছেন যারা দলের নাম ভাঙিয়ে দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আবার কিছু নেতা আছেন যারা আগের মতোই অর্থাৎ তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। এসব নেতা যে কোনো দলের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টিকে নজরে আনেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিষয়ে কাউকে ছাড় দেবেন না। তবে আমরা আশা করব, জনগণের আস্থা অর্জনে সরকার কাজ করে যাবে। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এ নেতিবাচক কর্মকান্ড যে কোনো সরকারের জনপ্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়। তাই বর্তমান সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের যেমন উন্নতি হয়েছে তেমনি বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতায় আসায় দেশের উন্নতি অগ্রগতি হয়েছে এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কৃষি, শিল্প, শিক্ষা যোগাযোগসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য চোখে পড়ার মতো। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে এর কোনো বিকল্প নেই। দেশ স্বাধীন হয়েছে সার্বিক দিক থেকে দেশ ও জনগণের উন্নয়নের জন্য, দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য, পেছনে ফেরার জন্য নয়। দুর্নীতির জন্য নয়। কোনো রাষ্ট্রে যদি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব থাকে অর্থাৎ দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো কর্মকান্ডের জবাবদিহিতা করতে না হয়- তাহলে স্বাভাবিকভাবে সে রাষ্ট্রে দুর্নীতি নামক বিষবৃক্ষ যেমন শাখা-প্রশাখা বিস্তার লাভ করবে তেমনি সেক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। দুর্নীতি অবশ্যই আমাদের উন্নতির প্রধান প্রতিবন্ধক। সঙ্গত কারণেই প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন। সরকারি অফিস আদালত বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হচ্ছে কিনা তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার। তবে প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে দুর্নীতির সঙ্গে যে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলে দুর্নীতি দমন কঠিন হবে। প্রধানমন্ত্রী বারবার কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, দুর্নীতির সঙ্গে যারাই জড়িত হোক না কেন এমন কি নিজ দল বা আত্মীয়স্বজন জড়িত থাকলেও তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্নীতিবিরোধী এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ করে একটি সমৃদ্ধ ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশে উন্নয়ন হয়েছে। দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এটা যেমন সত্য তেমনি দুর্নীতি ও থেমে নেই। টিআইবি রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টর ও প্রশাসনে দুর্নীতির সূচক তুলে ধরেন তা সম্পূর্ণ অসত্য বা অযৌক্তিক নয়। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এটা যেমন দৃশ্যমান তেমনি দুর্নীতি যে আছে এটাও অস্বীকার করা যাবে না। একদিকে উন্নয়ন অন্যদিকে দুর্নীতি। তবে দুর্নীতির কারণে যে কোনো রাষ্ট্রের উন্নয়ন ধীর গতি ও বাধাগ্রস্ত হয়। তবুও এরই মাঝে বাংলাদেশের উন্নয়ন থেমে নেই। দুর্নীতি এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যে এর লাগাম আশানুরূপ টেনে ধরা যাচ্ছে না। দুর্নীতি থেকে অবশ্যই আমাদের বেড়িয়ে আসতে হবে। দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চলছে ও অনেকেই ধরাও পড়ছে। যারা ধরা পড়ছে তাদের অধিকাংশই শিক্ষত ও উচ্চশিক্ষিত। বঙ্গবন্ধু তার এক ভাষণে বলেছিলেন, 'এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষতো দুর্নীতি করে না। দুর্নীতি করে সমাজের উপর তলার মানুষ'। বঙ্গবন্ধুর এই কথাটি আজও প্রমাণিত। আগেই উলেস্নখ করা হয়েছে বাংলাদেশ অন্যান্য রাষ্ট্রের চেয়ে দুর্নীতির ব্যাপকতা কম নয়। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন অফিসে দুর্নীতি যেন ওপেন সিক্রেট। ঘুষ না দিলে ফাইল এক টেবিল আরেক টেবিলে যায় না। এমনকি অফিসারের স্বাক্ষর নিতেও ঘুষ দিতে হয়। আমাদের মনে রাখা দরকার- দুর্নীতি, ন্যায়বিচার, সুশাসনের ঘাটতি এ বিষয়গুলো যে কোনো রাষ্ট্রের উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। তবে, আশার কথা এই যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। যার বড় প্রমাণ সরকারের দুর্নীতিবিরোধী চলমান অভিযান। এটাও আমাদের স্মরণ রাখা দরকার যে, দেশের উন্নয়ন ও পদ্মা সেতুর মতো বড় বড় প্রকল্পগুলো নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে- যা আমাদের রাষ্ট্রের গৌরব। বিশেষ করে পদ্মা সেতু নিজ অর্থায়নে নির্মাণ করা প্রধানমন্ত্রী এ সাহসী উদ্যোগ বিশ্ববাসীর প্রশংসা অর্জন করেছে। জনগণের টাকাই পদ্মা সেতুর মতো একটি বৃহৎ প্রকল্প বাস্থবায়নের পথে সে রাষ্ট্রে দুর্নীতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অস্বীকার করা যায় না যে, স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হলে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের অনেক সুবিধা হবে, ভাগ্যের দুয়ার খুলে যাবে। তবে দেশে সমতাভিত্তিক উন্নয়ন, গ্রামীণ ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন, দরিদ্রতা কমাতে, কৃষি পণ্যের নায্যমূল্য নিশ্চিতকরণসহ বিপুল জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের দেশে শিক্ষা, পুলিশ প্রশাসন, চিকিৎসাসহ রাষ্ট্রে যন্ত্রের বিভিন্ন সেক্টরে যে দুর্নীতি রয়েছে তা সুশাসন দিয়ে রোধ করতে না পারলে দুর্নীতি নামক বিষবৃক্ষের শিকড় শাখা- প্রশাখা আরো বিস্তার লাভ করবে। দেশের বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন দেশ ও জনগনের উন্নয়নের জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই দুর্নীতি রোধ বা কমিয়ে আনতে দলীয় পরিচয়ের ঊর্ধ্বে থেকে দলমতনির্বিশেষে সমভাবে আইনের প্রয়োগ ঘটানোর কোনো বিকল্প নেই। তাহলে আমাদের সমাজ থেকে দুর্নীতি অনেকাংশে হ্রাস পাবে। আমরা জানি যে, পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রই শতভাগ দুর্নীতি মুক্ত নয়। কিন্তু বাংলাদেশে এর ব্যাপকতা বেশি। তাই দুর্নীতি রোধ করতে বা কমাতে হবে। দুর্নীতি রোধ কল্পে আমাদের যে, লক্ষ্য রয়েছে সে লক্ষ্যে নির্লোভভাবে পৌঁছতে না পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হবে না। তাই আইনের প্রয়োগ ও সুশাসন দিয়ে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন একটি সুখী সমৃদ্ধশালী ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। আগেই উলেস্নখ করা হয়েছে, দুর্নীতি যে কোনো রাষ্ট্রের উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের অভাবে এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ আছেন- যারা রাজনীতিকে এক ধরনের ব্যবসা মনে করেন। লুটপাট ক্ষমতার অপব্যাপারে তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হন। রাজনীতিতে সততা আদর্শের জলাঞ্জলি দিয়ে কিছু রাজনীতিক আছেন নামে-বেনামে অঢেল সম্পদের অধিকারী। জনস্বার্থকে বির্সজন দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের বিচারের আওতায় আনা আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির ব্যাপারে কাউকে ছাড় না দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়কণ্ঠে ব্যক্ত করেছেন। এমনকি বড় বড় প্রকল্পগুলেতে কোনো দুর্নীতি হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও সরকারকে নজর দেওয়া দরকার। দুর্নীতি রোধের ব্যাপারে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন এবং কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেই সঙ্গে সঙ্গে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। কারণ দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান বা দুর্নীতি রোধ করতে না পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে পাকিস্তান আমল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ের নাম কিছুটা পরিবর্তনের মধ্যে বর্তমানে তা দুর্নীতি দমন কমিশন যা সংক্ষেপে দুদক নামে পরিচিত। আমরা মনে করি, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে এ প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু তা অনেকটা ক্ষমতাসীনদের ওপর নির্ভর করে। তবে দুদক পরিপূর্ণ স্বাধীন ভাবে দুর্নীতিবাজ যারা আছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার বা অবৈধভাবে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের সনাক্ত করছে। এতে করে দুর্নীতি অনেকটা দমনও সম্ভব। তাই আমরা মনে করি, দুর্নীতি দমনে দুদকের স্বাধীনতা রয়েছে। বর্তমান সরকার মন্ত্রী বা প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা দুদকের ওপর কোনো প্রভাব বিস্তার করছে বলে মনে হয় না। পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত নয় একথা সত্য। কিন্তু আমাদের দেশে এর ব্যাপকতা বেশি। ক্রমবর্ধমান দুর্নীতির কারণে দেশে আইনের শাসন সুশাসন প্রতিষ্ঠা যেমন সম্ভব হচ্ছে না তেমনি জনগণ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আইনের শাসন ন্যায়বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা সর্বোপরি দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু করেছেন- যা দেশবাসী স্বাগত জানায়। \হদুর্নীতি শুধু রাষ্ট্রের উন্নয়নের ব্যাঘাত ঘটায় না ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার বড় অন্তরায়। এ বৃত্ত থেকে আমাদের অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। নইলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। দুর্নীতির কারণে জনস্বার্থ উপেক্ষিত হয়। বৈদেশিক বিনিয়োগ হ্রাস পায়। সরকারের ভাবমূর্তি যেমন নষ্ট হয়, তেমনি সরকারেরও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ওপর মানুষের আস্থা দিন দিন কমে যায়। এমতাবস্থায় দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে এ চক্র থেকে বেরিয়ে আসা অত্যাবশ্যক। প্রধানমন্ত্রী যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান ও সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জাতির জন্য মঙ্গল জনক। মোহাম্মদ নজাবত আলী : কলাম লেখক