জাপান বাংলাদেশ সম্পর্ক বন্ধুত্ব ও আস্থার
আশা করা যায়, বন্ধুত্ব, বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্কের এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ ও জাপান আগামী বছরগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতার সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অংশীদারিত্বকে দৃঢ় করার জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে এগিয়ে যাবে।
প্রকাশ | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
অভিজিৎ বড়ুয়া অভি
বৈচিত্র্যে ভরপুর সূর্য উদয়ের দেশে 'মমিজি মাতসুরি' বা রঙিন পাতা দেখার উৎসবের দিন, গাছের পাতার রঙ বদলে গাঢ় লাল বা হলুদ যেন রঙের স্বর্গ, তরুণ জাপানি ভদ্রলোকের বঙ্গীয় স্ত্রী শ্রীমতি হরিপ্রভা মলিস্নক সর্বপ্রথম বাঙালি মহিলা ঢাকা থেকে পৌঁছালেন জাপান, চোখ ভরা বিস্ময় নিয়ে। তখন ব্রিটিশ ভারতের আমল ১৯১২ সাল, লিখলেন বাংলা ভাষায় জাপানের ওপর প্রথম বই 'বঙ্গো মহিলার জাপান যাত্রা', জাপান আর বাংলার ভালোবাসা, প্রেম, বন্ধুত্ব, বিশ্বাস আর আস্থার গল্প। বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ক অত্যন্ত প্রাচীন। বাংলা আর জাপানের প্রাচীন সভ্যতাগুলো বন্ধুত্ব ও জ্ঞান চর্চার বন্ধনে আবদ্ধ। জাপানের আধ্যাত্মিক গুরু বোধিসেন ৭৫২ অব্দে ভারত সফরে আসেন। যার মাধ্যমে জাপানে বৌদ্ধধর্মের প্রচার পায়। ব্রিটিশ আমলে এবং ১৯৪৭ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় বাংলাদেশ ও জাপানের সম্পর্ক সমস্যায় পড়ে। তা ১৯৫০ সালের মাঝামাঝি সময়ে উন্নত হয় যখন ঢাকায় জাপানের কনসু্যলার মিশন (সিএমজে) জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন শুরু করে। ভারত ও জাপানের সম্পর্ক উন্নত করার জন্য বাংলার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির অবদান অবস্মরণীয়, তারা হলেন- স্বামী বিবেকানন্দ, নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং বিচারপতি রাধা বিনোদ পাল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তেনশিন ওকাকুরা বিশিষ্ট জাপানি চারুকলা পন্ডিত এবং তাইকান ইয়োকোয়ামা, জাপানি চিত্রশিল্পের মাস্টার, একে অপরকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিলেন। বাংলার এই আলোকিতদের প্রত্যেকেই বাংলা ও জাপানের বন্ধুত্বকে দৃঢ় করার ক্ষেত্রে বিশাল প্রভাব রেখে গেছেন। তাছাড়া তাদামাসা ফুকিউরা মুক্তিযুদ্ধের ওপর অসাধারণ বই লিখেছেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জাপানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু জাপানে সদ্য জন্ম নেওয়া বাংলাদেশের সঙ্গে তার সংযোগ স্থাপনে ছিল কৌশলী। জাপান ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রম্নয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। মূলত তখন থেকেই দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ১১ ফেব্রম্নয়ারি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ টোকিওতে দূতাবাস এবং জাপান বাংলাদেশে দূতাবাস খোলে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পরপরই জাপান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রম্নয়ারি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু হয়। এমনকি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশকে সাহায্য করতে, জাপানি শিক্ষার্থীরা তখন তাদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল। স্বাধীনতার পরপরই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাপানের সঙ্গে সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করতে জাপান সফর করেন। পরবর্তীকালে বাংলাদেশের অন্যান্য সরকারের আমলেও বাংলাদেশ জাপানের সুসম্পর্ক বজায় ছিল। বাংলাদেশের প্রত্যেক সরকারপ্রধান জাপান সফর করেছেন।
স্বাধীনতার পরবর্তী কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর ধীরে ধীরে বাংলাদেশের একটি বড় দাতা দেশে পরিণত হয়েছে জাপান। স্বাধীনতা-উত্তরকালে জাপান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনে কাজ করতে শুরু করে, অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত সহযোগিতা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে। জাপান বিগত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সহযোগিতা করে গেছে। যার ফলে দুই দেশের মধ্যে একটি ফলপ্রসূ ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক গড়ে উঠে। জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার এবং সহায়তার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস, কারণ জাপান বাংলাদেশকে ২০২৬ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে উলেস্নখযোগ্যভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। এই সহায়তাগুলো আমাদের অর্থনীতি এবং অবকাঠামো পুনর্গঠনে সাহায্য করেছে? বাংলাদেশকে দেওয়া সমস্ত ঙউঅ ঋণের মধ্যে বাংলাদেশে ঔঙঈঠ প্রোগ্রামটি খুবই প্রশংসনীয়। এটি উভয় দেশের সাধারণ মানুষের জন্য একসঙ্গে কাজ করার এবং পরস্পরের প্রজ্ঞা ও দক্ষতা বিনিময়ের সুযোগ করে দিয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের তরুণদের নিজ নিজ কারিগরি ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হতে এবং উন্নত পেশাদার হিসেবে গড়ে উঠতে সক্ষম করেছে। ২০২০ সালের আগস্টে, বাংলাদেশ জাপান থেকে টঝ$ ৩.২ বিলিয়ন মূল্যের বার্ষিক উন্নয়ন সহায়তা ঋণ পেয়েছে। যমুনা রেলওয়ে সেতু এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণসহ সাতটি বড় প্রকল্পের উন্নয়নে এই ঋণ দেওয়া হয়। তাছাড়া ৫ আগস্ট ২০২০ সালে, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি ভাইরাসের আর্থ-সামাজিক প্রভাবগুলো প্রশমিত করার জন্য এবং ঈঙঠওউ-১৯ সংকট ব্যবস্থাপনার জন্য ৩৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ত্রম্নটিগুলো প্রশমনে জাপান বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে। বাংলাদেশ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে জাপানকে সমর্থন করেছে, যেমন ২০১৪ সালে জাপানের পক্ষে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি অস্থায়ী আসনের জন্য তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়। বাংলাদেশ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য জাপানের আকাঙ্ক্ষকেও সমর্থন করে। ২০১৪ সালের পিউ রিসার্চ জরিপ অনুসারে দেখা যায় ৭১ শতাংশ বাংলাদেশি নাগরিক জাপানের প্রতি অনুকূল দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে। বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক জাপানকে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারে ক্ষমতার সমীকরণকে নতুন করে সাজাতে সাহায্য করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০১৯ সালের ১২ দিনের জাপান সফরে জাপান বাংলাদেশের যোগাযোগ ও বিদু্যৎ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগে সম্মত হয়। এর মধ্যে মাতারবাড়ী ও সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প, ঢাকা ম্যাসর্ যাপিড ট্রানজিট লাইন-২সহ আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পে জাপানের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। আঞ্চলিক অর্থনীতির একটি সম্ভাবনাময় কেন্দ্র হিসেবে মাতারবাড়ী বন্দর দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে সংযুক্ত করবে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে, উলেস্নখযোগ্য হলো জাপানের সহায়তায় কক্সবাজার এলাকায় ১২০০ মেগাওয়াট বিদু্যৎ প্রকল্প নির্মাণ। ২০০৮ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৭০টি এবং ২০১০ সালে ৮৩টি জাপানি কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসাবাণিজ্যে কাজ করছিল। কিন্তু গত ২০২১ সাল পর্যন্ত এই সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রায় ৩২১টি জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে। জনপ্রিয় জাপানি মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড হোন্ডা বাংলাদেশে তাদের মোটরসাইকেল কারখানা স্থাপন করেছে, ইয়ামাহার আরেকটি কারখানা তৈরি করছে এসিআই গ্রম্নপের সঙ্গে, জাপান টোব্যাকো, তামাক ব্যবসা আকিজ গ্রম্নপকে কিনে নিয়ে প্রায় ১৪৭.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে, নিপ্পন ইস্পাত স্থানীয় কোম্পানি ম্যাকডোনাল্ডস স্টিল বিল্ডিং প্রোডাক্টের সঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগ স্থাপন করছে। জাপানের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০১৮ সালে বিভিন্ন জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে প্রায় এক হাজার ৭৫০ কোটি জাপানি ইয়েন বিনিয়োগ করেছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ জাপানে প্রায় ১১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে- যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৩ শতাংশ বেশি। জাপান থেকে বাংলাদেশে প্রায় ১৮৭ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে, বাংলাদেশ জাপানের সরকারি উন্নয়ন সহায়তার (ঙউঅ) বৃহত্তম প্রাপক হয়ে উঠেছে। কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতী দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ এবং বিদ্যমান সেতু প্রকল্পের পুনর্বাসন জাপানি ওডিএ-র চমৎকার উদাহরণ। এই সেতুগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে যাতায়াতের সময় উলেস্নখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে। জাপান সরকার ডবিস্নউএফপি এবং আইওএমকে বাংলাদেশের সমর্থনে তাদের কার্যক্রমের জন্য ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সহায়তার মধ্যে, কৃষি অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্রামীণ কৃষকদের সঙ্গে বাজারের যোগসূত্র জোরদার করতে এবং কক্সবাজার, ঈশ্বরদী ও পটুয়াখালী জেলায় খাদ্যমূল্য শৃঙ্খল উন্নত করতে ডব্লিউএফপিকে প্রায় ৪.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদান করা হবে। জাপান সরকার এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি/স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঋণ, অনুদান সহায়তা এবং জাপান ওভারসিজ কো-অপারেশন ভলান্টিয়ার (ঔঙঈঠ) পাঠানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছে।
এশিয়ার মধ্যে জাপান বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। গত ১০ বছরে, রপ্তানির পরিসংখ্যান দ্বিগুণ হয়েছে এবং টঝ$১.২ বিলিয়নে পৌঁছেছে। প্রধান রপ্তানি পণ্য হচ্ছে বস্ত্র, তৈরি পোশাক এবং চামড়াজাত পণ্য। ফার্মাসিউটিক্যালস, কৃষি ও মৎস্যজাত পণ্য এবং খাদ্য শিল্পের উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে। জাপান সরকার ভাসানচরে বাস্তুচু্যত 'রোহিঙ্গাদের' সহায়তার জন্য টঝ $২ মিলিয়ন জরুরি সহায়তা অনুদান বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা এবং টোকিও সংকট সমাধানে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করায় মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচু্যত রোহিঙ্গাদের দ্রম্নত স্বেচ্ছায় এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য জাপানের সমর্থন চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি অদূর ভবিষ্যতে 'ব্যাপক অংশীদারিত্ব' থেকে 'কৌশলগত অংশীদারিত্বে' উন্নীত হতে চলেছে। দক্ষিণ এশিয়ায়, জাপানের কৌশলগত-কূটনৈতিক এজেন্ডায় বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মুক্তবাজার, বাণিজ্যভিত্তিক অর্থনীতি এবং ধীরে ধীরে এই অঞ্চলে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় লাভজনক বাজার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত, উচ্চ ক্রয় ক্ষমতা, অভ্যন্তরীণ চাহিদা, সস্তা শ্রম এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্রম্নত গতিসহ ১৬৪ মিলিয়ন গ্রাহকের একটি বাজার জাপানকে বাংলাদেশকে তার ভূ-কৌশলগত কক্ষপথে রাখতে সাহায্য করবে।
আশা করা যায়, বন্ধুত্ব, বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্কের এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশ ও জাপান আগামী বছরগুলোতে পারস্পরিক সহযোগিতার সুস্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অংশীদারিত্বকে দৃঢ় করার জন্য বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে এগিয়ে যাবে।
অভিজিৎ বড়ুয়া অভি : কথাসাহিত্যিক, কবি, গবেষক ও প্রাবন্ধিক