পথশিশুদের ভয়ংকর মাদক 'ড্যান্ডি' গাম :সচেতনতা জরুরি

এ ভয়াবহ মরণব্যাধি থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০২২, ০০:০০

সৈয়দ ফারুক হোসেন
মাদক- এক অভিশাপের নাম, এক সর্বনাশা ছোবলের নাম। এটি এমন এক সামাজিক সমস্যা- যা শুধু অপরাধের জন্ম ও বিকাশ সাধন করে তা-ই নয়, বরং এর বিষবাষ্প ছড়িয়ে দেয় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। এটা এমনই এক বিষ- যা ধীরে ধীরে বিবর্ণ করে দিচ্ছে আমাদের সবুজই প্রজন্মকে। নষ্ট করে দিচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ। ভয়াবহ মাদক ড্যান্ডির মারাত্মক ছোবলে আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। ঢাকার গুলিস্তান, খিলগাঁও, কমলাপুর, মালিবাগ, তেজগাঁও, রামপুরা এলাকাসহ অলিতে-গলিতে এবং বস্তির অনেক জায়গাতেই পথশিশুদের এভাবেই নেশা করতে দেখা যায়। পথশিশুদের কেউ কেউ দিনের বেলা নেশা করলেও বেশির ভাগই নেশা করে রাতে। কেউ একা, আবার কেউ কেউ গোল হয়ে বসে সংঘবদ্ধ হয়ে নেশা করে। পলিথিন, পস্নাস্টিক ছাড়াও নিজের পরিধেয় জামায় ড্যান্ডি গাম লাগিয়ে নেশা করে তারা। কিছুক্ষণ পর পর ঘ্রাণ নিয়ে নেশায় বুদ হয়ে যায় সুবিধাবঞ্চিত এই শিশুরা। পিতামাতাহীন ভবঘুরে জীবনযাপন তাদের। কারও বা পিতামাতা আছে কারও বা নেই। কুড়িয়ে পাওয়া পস্নাস্টিক, লোহা কিংবা পুরনো জিনিস বিক্রি করে পেট চালায় তারা। ঘাড়ে চটের বস্তা নিয়ে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় ঘুরে বেড়ায় তারা। সারাদিনের সংগৃহীত ভাঙারি বিক্রি করে যে আয় হয়, তা দিয়ে একবেলা খাবার কিনে খায়, আর বাকি দুই বেলাই নেশা করে তারা। নেশার এই উপকরণটির নাম ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ বা ড্যানড্রাইট আঠা, তবে 'ড্যান্ডি' নামেই বেশি পরিচিত। টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়ক, স্টেশন রোড ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উভয় পাশ, শহীদ আহসান উলস্নাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের বাউন্ডারি দেয়াল সংলগ্ন ফুটপাত, রেলওয়ে জংশনের পস্ন্যাটফর্ম, বাসস্ট্যান্ড ও বস্তির খুপরি ঘরসহ অধিকাংশ ঘনবসতি এলাকায় ২০-২৫ জন পথশিশুকে প্রকাশ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্য ড্যান্ডি সেবন করতে দেখা যায়। সর্বনাশা মাদকের ছোবলে যুবক, বয়স্কদের পাশাপাশি 'ড্যান্ডি' নেশায় এখন পথশিশুরাও আসক্ত। নেশার জগতে বিশেষ করে নিম্নবিত্তের কাছে প্রচলিত এ মাদকটির নাম 'ডেনড্রাইট'। অনেকে 'বুস্টিক' হিসেবে চিনে। তবে মাদকসেবীদের কাছে এটি পরিচিত 'ড্যান্ডি' নামেই। দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদা। এক সময় টোকাই শ্রেণির শিশু-কিশোরদের মধ্যে এর ব্যবহার প্রচলিত থাকলেও বর্তমানে অনেক ধনীর দুলালও এটি গ্রহণ করায় ক্রমশ মাদকসেবীদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছে এটি। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে অন্ধকার জীবনে। এসব শিশুদের বেশির ভাগই নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান, যাদের বয়স ৮ থেকে ১৫ বছর বয়সের মধ্যে। প্রথম প্রথম ঘ্রাণটা ভালো না লাগলেও পরে ধীরে ধীরে তা অভ্যাসে পরিণত হয়। একবার ড্যান্ডির ঘ্রাণ নিলে সারাদিন মাথা ঝিম ঝিম করে, কারও কথা মনে পড়ে না। শিশুরা নাক দিয়ে এই অ্যাডহেসিভ-এর ঘ্রাণ নিয়ে নেশা করে। কারণ, এর ভেতরে একটা মিষ্টি ঘ্রাণ থাকে। এটা মস্তিষ্কে গিয়ে এক ধরনের উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। ফলে তাদের ভেতরে এক ধরনের সুখের অনুভূতি তৈরি হয়। এই অনুভূতি ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু পরবর্তী সময়ে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়। এই অ্যাডহেসিভের ঘ্রাণ শরীরের যেসব জায়গায় গিয়ে পৌঁছায়, সেসব জায়গার কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আর কোষ নষ্ট হওয়ার কারণে মস্তিষ্কের কাজে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। এছাড়াও, নাকের ভেতরে ঘা হয়ে যায়। এ ধরনের মাদকে শারীরিক এবং মানসিক উভয় ধরনের প্রতিক্রিয়া হয়। শিশুরা যেহেতু এটা গ্রহণ করে, ফলে এর প্রতিক্রিয়া হয় ভয়াবহ। ড্যানড্রাইট অ্যাডহেসিভ নামক আঠালো গাম দিয়ে নেশা করে অসংখ্য পথশিশু-কিশোর। টলুইনসমৃদ্ধ এই অ্যাডহেসিভ মূলত ছোটখাটো ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, ডিভাইস, চামড়া ও পস্নাস্টিকের পণ্য জোড়া লাগানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। মূলত 'ড্যান্ডি' আঠা ঘ্রাণযুক্ত এবং ঘ্রাণ থেকেই এক ধরনের আসক্তি হয়। পথশিশুদের ৮৫ শতাংশই প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে মাদকে আসক্ত। ঢাকা শহরে কমপক্ষে ২২৯টি স্পট রয়েছে। এসব জায়গায় ৯ থেকে ১৮ বছর বয়সি শিশুরা মাদক সেবন করে। পথশিশুরা সাধারণত গাঁজা, ড্যান্ডি, পলিথিনের মধ্যে গামবেল্ডিং দিয়ে এবং পেট্রোল শুঁকে নেশা করে। কেউ দাঁড়িয়ে থাকে, কেউবা দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে থাকে। সবার হাতে পলিথিন। ফুঁ দিয়ে ফুলিয়ে নাক মুখ তাতে ঢুকিয়ে কয়েক মিনিট চেপে ধরছে। ভেতরে আঠালো হলুদ কিছু পদার্থ। কিছুক্ষণ গন্ধ শুকার পর একজন ফুটপাতেই চোখ বুঁজে শুইয়ে আছে, অন্যজন আকাশের দিকে তাকিয়ে অদৃশ্য কি যেন খুঁজছে। প্রায় প্রতিদিনই কমবেশি এ দৃশ্য চোখে পড়ে। একই দৃশ্য দেখা যায় নতুনবাজার যাওয়ার পথে সড়কের দুই পাশেও। ডেনড্রাইট বা বুস্টিক এক ধরনের আঠালো পদার্থ। কাঁচ, রাবার, চামড়া কিংবা রেক্সিন জাতীয় বস্তু জোড়া লাগাতে এটি 'আইকা বা গাম' হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গ্যালন, কৌটা বা টিউবে পাওয়া যায় এটি। যে কোনো হার্ডওয়ারের দোকান থেকে এটি খুব সহজেই যে কেউ কিনতে পারে। প্রধানত ভারত ও নেপাল থেকে এটি এ দেশে আসছে। ডেনড্রাইট, ড্যান্ডি বা জুতা তৈরির আঠায় 'টলুইন' নামক এক ধরনের আঠালো তরল পদার্থ থাকে। এটি বাষ্পীভূত হয়ে নিঃশ্বাসের সঙ্গে সেবনকারী শিশুদের দেহে প্রবেশ করলে ক্ষণস্থায়ীভাবে ঝিমুনি, মাথাব্যথা, ক্ষুধা না লাগা ও নিয়ন্ত্রণহীনতার উদ্রেক করে। ডেনড্রাইট স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দেশে মাদক ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মানুষ নৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তবে ঢাকার বাইরেও এরা সংখ্যায় কম নয়। শিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় জানা যায়, পথশিশুদের নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই। পথশিশুদের কাছে মাদক বিক্রির জন্য একটা সিন্ডিকেট কাজ করে। ভাঙারি ক্রেতারাই শিশুদের কাছ থেকে ভাঙারি কিনে নেয় এবং অনেক ক্ষেত্রেই শিশুদের হাতে মাদক তুলে দেয়। 'পথশিশুদের মধ্যে শৈশবে নানা পারিবারিক নির্যাতন যৌন হয়রানি ইত্যাদির শিকার হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া শিশুদের সংখ্যাই বেশি। কিছু শিশুর জন্মই হয় পথে, তাদের অতি-দরিদ্র বাবা-মা ভাসমান থাকবার কারণে। এদের বেশির ভাগই বিপথে থাকা বড়দের কবলে পড়ে মাদকাসক্ত হয়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরো দেশের সর্বশেষ আদমশুমারিতে ভাসমান মানুষের সম্পর্কে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে বলছে, দেশটিতে চার লাখের মতো পথশিশু রয়েছে, যার অর্ধেকই অবস্থান করছে রাজধানী ঢাকাতে। অন্যদিকে জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে পথশিশুর সংখ্যা ১০ লাখের বেশি। ঢাকার হিসাব অবশ্য তাদের কাছে নেই। মাদকের চোরাচালান, বাজারজাত ও সামগ্রিক বিপণন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে কোমলমতি শিশু-কিশোররাও। পথশিশুদের কাছে মাদক হিসেবে আকর্ষণীয় মরণঘাতী নেশা ড্যান্ডি দেশের যুবসমাজ থেকে শুরু করে নারী-শিশুরাও আজ মাদকের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। আজকের শিশু আগামী দিনের কর্ণধার। অথচ আগামী দিনের কর্ণধারদের এভাবে সমূলে ধ্বংস করে দিচ্ছে ভয়াবহ মাদক। এ দেশে রয়েছে পর্যাপ্ত তারুণ্যনির্ভর জনশক্তি। দেশের এ মূল্যবান সম্পদ মাদকের চোরাচালান ও অপব্যবহারের কবলে পড়ে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি দেশের অর্থনীতিও হচ্ছে বিপর্যস্ত, উন্নয়ন কর্মকান্ড হচ্ছে বাধাগ্রস্ত। নেশার ছোবলে পড়ে এ যুবসমাজ কর্মশক্তি, সেবার মনোভাব ও সৃজনশীলতা হারিয়ে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করছে তিলে তিলে। শিশুরাই দেশ, জাতি ও সমাজের উজ্জ্বল নক্ষত্র, জাতির আগামী দিনের কর্ণধার। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই কমবেশি মাদক সমস্যা বিদ্যমান। বাংলাদেশেও মাদক ও মাদকাসক্তি এক জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। দেশের অধিকাংশ মাদকসেবী কিশোর-কিশোরী এবং যুবক-যুবতী। এই ভয়াল মাদক তারুণ্য, মেধা, বিবেক, লেখাপড়া, মনুষ্যত্ব সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। বিনষ্ট করে দিচ্ছে স্নেহ-মায়া, ভালোবাসা, পারিবারিক বন্ধন। আবার অনেক সময় অধিকাংশ বাবা-মা-ই খবর রাখেন না যে, তার আদরের সন্তান ঘরে বা ঘরের বাইরে কি করে। বাবা-মায়ের এই অসতর্কতার কারণেও অনেক সময় ছেলে- মেয়েরা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে জাতির মূল চালিকাশক্তি হলো আজকের শিশুরাই। নতুন এই প্রজন্মই আমাদের দেশ-জাতিকে ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে টেনে নেওয়ার বিরাট ভূমিকা রাখে এবং রেখে আসছে যুগে যুগে। তবে এই তরুণ্যই ও যুবসমাজের একাংশ নানাভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে মরণ নেশা মাদকের সঙ্গে। মাদকের চোরাচালান, বাজারজাত ও সামগ্রিক বিপণন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে কোমলমতি শিশু-কিশোররাও। একশ্রেণির অসাধু চোরাকারবারি ও কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্যের কাছে বলি হচ্ছে এসব শিশু। এদের দিয়ে এসব অনৈতিক ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৬০ লাখের বেশি অবৈধ মাদক গ্রহণকারী রয়েছে। যাদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। মাদকের নেশায় আসক্ত হওয়ার পেছনে যেসব কারণ কাজ করে, তার মধ্যে রয়েছে বন্ধুবান্ধবের কুপ্রভাব, কৌতূহল, মানসিক সমস্যা, পারিবারিক অশান্তি, পরিবারে মাদকের ব্যবহার, সহজলভ্যতা, বেকারত্ব, হতাশা এবং সচেতনতার অভাব। কৈশোর একটি নাজুক সময়। এই বয়সিদের দেখভাল করা, ভুল শুধরে দেওয়ার কাজটি সহজ নয়। শুধুই উপদেশ না দিয়ে, বরং সমমনা হয়ে বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে পরিবারের ছোটদের জন্য রোল মডেল হিসেবে ভাবতে হবে। এমন কোনো অভ্যাস নিজের ভেতর তৈরি হতে দেয়া যাবে না- যা সন্তান বা ছোট ভাইবোনের মধ্যে দেখা যায়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে হবে, ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হবে আর মাদককে ঘৃণা করতে হবে। কৌতূহলও মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়ার একটি বড় কারণ, তাই আগে থেকেই এ ব্যাপারে ওদের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাব জাগিয়ে তুলতে হবে। এ দেশে মাদক উৎপাদন হয় না ঠিকই, তবে ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে অঞ্চলটি মাদকদ্রব্য অপব্যবহারের ক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। পাশাপাশি দ্রম্নত নগরায়ণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার আর জনসচেতনতার অভাবে মাদক সমস্যা দিন দিন মহামারি আকার ধারণ করছে। পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে মাদক গ্রহণের চালচিত্র। গাঁজা, এলকোহল আর আফিম তো রয়েছেই। সঙ্গে যোগ হয়েছে হেরোইন, ফেনসিডিল, বিভিন্ন মাদক ইনজেকশন এবং ইয়াবা। শহর থেকে সর্বনাশা মাদক ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামে গ্রামে, উচ্চবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে। মাদকাসক্তি প্রতিরোধে প্রথম পদক্ষেপটি নিতে হবে পরিবার থেকেই। সন্তানের বন্ধু হতে হবে। তার সঙ্গে খোলামেলা কথা বলে তাকে বোঝাতে হবে। সে সারা দিন কী করছে, কাদের সঙ্গে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে খবর নিতে হবে। ভালো বন্ধু নির্বাচনে সাহায্য করতে হবে। যে কোনো সমস্যায় পাশে থাকতে হবে। দেশগড়ার কারিগর সম্ভাবনাময় তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে মাদক। মাদকের কারণেই অনেক মা-বাবার বুক ফাটা কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যায়। আর এই মরণ নেশার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সামাজিক কাঠামোয়, আর্থসামাজিক উন্নয়নে, ভারসাম্যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে- এক কথায় জীবনের সর্বত্র। অতএব, এ ভয়াবহ মরণব্যাধি থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষার জন্য আমাদের সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সৈয়দ ফারুক হোসেন : ডেপুটি রেজিস্ট্রার, জাগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়