মশার উপদ্রব

কাযর্কর পদক্ষেপ নিন

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীতে যদি মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠে নগরবাসী, তবে স্বাভাবিকভাবেই সৃষ্ট পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। বিভিন্ন সময়েই বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কমর্স্থলসহ সবর্ত্রই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মশাÑ এমন খবর পত্রপত্রিকায় এসেছে। এ ছাড়া শুধু রাতেই নয়, দিনের বেলায়ও মশারি টাঙিয়ে, কয়েল জ্বালিয়ে, ইলেক্ট্রিক ব্যাট কিংবা মশানাশক ওষুধ স্প্রে করেও প্রতিকার মিলেনি নগরবাসীরÑ এমন খবরও অজানা নয়। সঙ্গত কারণেই এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মশার উপদ্রব বাড়লে সেই পরিস্থিতি সহজভাবে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ অপরিহাযর্। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, পুরো রাজধানীতেই মশার উপদ্রব বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবেÑ একইসঙ্গে মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের কাযর্ক্রম নিয়ে তীব্র অসন্তোষও রয়েছে জনমনে। আমরা মনে করি, যত দ্রæত সম্ভব, সৃষ্ট এই পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ করতে হবে এবং সংকট নিরসনে কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। তথ্য মতে, দীঘির্দন ধরেই মাঠে নেই ডিএনসিসির মশক নিধন টিম। নগরবাসীর অভিযোগ, আগে মাসে দুই-একবার মশা নিধনে ডিএনসিসির ফগিং ও স্প্রে কাযর্ক্রম চোখে পড়লেও এখন তাও দেখা যায় না। ফলে প্রতিনিয়তই মশার উপদ্রব বেড়ে যাচ্ছে। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ ডিএনসিসির আওতাধীন মিরপুর আবাসিক এলাকার একজন বাসিন্দা বলেছেন, মশার যন্ত্রণায় সন্ধ্যার পর বসে থাকা যায় না। আগে বষার্র সময় মশা বেশি দেখা গেলেও এখন সব সময় মশা থাকে। মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের লোকদেরও তিনি দেখেন না কত মাসÑ তা বলা মুশকিল, এমনটিও জানিয়েছেন। এ ছাড়া যখন বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, রাস্তাঘাট, দোকানপাটসহ রাজধানীজুড়ে বেড়েছে মশার উপদ্রবÑ তখন এমন অভিযোগও সামনে এসেছে যে, যাদের দেখার কথা সেই সংস্থাই চলছে ধারে! ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) দীঘির্দন ধরেই দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে ওষুধ ধার করে ঠেকা কাজ চালাচ্ছে এমন তথ্যও উঠে এসেছে। আমরা মনে করি, দ্রæত সামগ্রিক এই বিষয়গুলো আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করুন। ওষধু স্প্রে করার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতেও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হলে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদানসহ যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মশার উপদ্রব থেকে নগরবাসীকে রক্ষা করতে সবার্ত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কোনো বিকল্প নেই বলেই আমরা মনে করি। এটাও বলতে চাই যে, ওষুধ ধার করে ঠেকা কাজ চালানো হলে, কিংবা ওষুধ সংকটের কারণে নগরবাসীর মশার উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়লেÑ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ ছড়িয়ে পড়বে এমন আশঙ্কা থেকেই যায়। আমরা মনে করি, সৃষ্ট পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে মশার উপদ্রব থেকে নরগবাসীকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। ভুলে যাওয়া যাবে না যে, এমন অভিযোগও আছে, প্রতিবছর পযার্প্ত অথর্ খরচের পাশাপাশি জেল-জরিমানা ও সচেতনতামূলক নানা উদ্যোগ নিয়েও ব্যথর্ হচ্ছে সিটি করপোরেশন। আর এ জন্য মশার প্রকোপ বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে মশাবাহিত নানা রোগও। সবোর্পরি আমরা সংশ্লিষ্টদের বলতে চাই, নগরবাসীর দুভোর্গ বাড়লে তা কোনোভাবেই ইতিবাচক হতে পারে না। ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে যত দ্রæত সম্ভব প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও তা যথাযথ উপায়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। মশার উপদ্রব রোধ করাসহ সব ধরনের নাগরিক সেবা প্রদানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত হোক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।