শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতু বাঙালির আত্মমর্যাদার প্রতীক

ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই। তাই কোনো দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসী চক্র যেন বৃহৎ এ অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি সাধন করতে না পারে-এজন্য সরকারের তদারকি বাড়ানো দরকার। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু যেমন অমরত্ব লাভ করেছেন, তেমনি শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে তিনিও পিতার ন্যায় ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।
মোহাম্মদ নজাবত আলী
  ০৬ জুলাই ২০২২, ০০:০০

একটি দেশের উন্নয়নের যে কয়েকটি পূর্বশর্ত রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা তার মধ্যে অন্যতম। আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে পরিচিত। এদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তাই কৃষিপণ্য সরবরাহের জন্য সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। শুধু কৃষিপণ্যই নয়, অল্প সময়ে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে সহজে যাতায়াতের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা তথা সড়কপথ উন্নত হওয়া জরুরি। প্রাচীন মধ্যযুগ পেরিয়ে বর্তমান আধুনিক যুগে সড়ক, রেল পথের গুরুত্ব বেড়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অবিশ্বাস্যভাবে উন্নত হয়েছে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু এবং স্বপ্নের পদ্মা সেতু বর্তমান সরকারের যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ ও উন্নয়নের বিরাট সাফল্য যা চোখে পড়ার মতো।

কোনো কাজে সততা, সাহস, আত্মবিশ্বাস ও আন্তরিকতা থাকলে কোনো বাধাই তা রোধ করতে পারে না, তার বড় প্রমাণ স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এ সেতু বদলে দেবে দেশকে। দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার জনগণের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ও দাবি ছিল পদ্মা নদীতে একটি সেতু নির্মাণ। কারণ, সে অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশেষ করে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে নদীপথ ছিল প্রধান। নদী যাতায়াতের মাধ্যম হওয়ায় লঞ্চ বা জাহাজে সময় লাগত অনেক। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনে দেশের সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে আমাদের বড় বাধা ছিল নদ-নদী। কেননা যে কোনো সড়ক তৈরি করতে গেলে ছোট, বড়, মাঝারি নদী অবশ্যই অতিক্রম করতে হয়। আমরা কি ভেবে দেখেছি যমুনা বহুমুখী সেতু আমাদের কতটা সুবিধা দিয়েছে। সকালে রওনা দিলে দুপুরে ঢাকা পৌঁছানো সম্ভব এবং প্রয়োজনীয় কাজ সেরে সেদিনই বাড়ি ফেরা যায়। একদিকে অল্প সময় ও অন্যদিকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের কৃষিপণ্য অল্প সময়ে ঢাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। যমুনা বহুমুখী সেতু নির্মাণের ফলে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ সহজতর হলেও দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বড় বাধা ছিল পদ্মা নদী। নিজস্ব অর্থায়নে ৬.৫২ কি.মি. দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে ২৪টি পিলারের উপরে। ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকার অধিক। এখন পদ্মা সেতু চালুর ফলে উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের দুয়ার খুলে গেল। গত ২৫ জুন রোজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০ ঘটিকায় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

দেশ ও প্রধানমন্ত্রীর সর্ব বৃহৎ এ কর্মযজ্ঞ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। তারা যেন নব জীবন লাভ করল। ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষিতে তারা লাভবান হবে। তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য অল্প সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহজে পাঠাতে পারবে। এতে তারা অধিক কৃষিপণ্য উৎপাদনে যেমন উৎসাহিত হবে তেমনি তারা কৃষিপণ্যের উপযুক্ত মূল্যও পাবে। প্রধানমন্ত্রী অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের উন্নয়নে যেসব কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বড় এ পদ্মা সেতু। শরীয়তপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার লোকজন ইচ্ছে করলে প্রতিদিন ঢাকায় এসে অফিস বা অন্য কাজ সেরে বাড়ি ফিরতে পারবেন। তবে এ সেতু নির্মাণ একেবারে সহজতর ছিল না। এর অর্থের উৎস কোথা থেকে আসবে, কোন কোম্পানি বা ঠিকাদার এ কাজ করবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে যখন সরকারের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলে তখন এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), বিশ্ব ব্যাংক ঋণ সহায়তার কথা বলে। আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকা ও ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকও আর্থিক সহায়তা (ঋণ) দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দেয়। এরপর এক সময় বিশ্বব্যাংক পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়াতে ঘুষের অভিযোগ তোলে। বিশ্বব্যাংকের শর্তে প্রধানমন্ত্রী একজন মন্ত্রীকে তার পদ থেকে সরালেন। এমনকি কয়েকজন জেলেও গেলেন। শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ালেন। অন্যান্যরাও চলে যায়। অথচ কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়নি তা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু নাছোড় প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, পদ্মা সেতু হবেই। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এ সেতু নির্মাণের কথাও উঠে। মালয়েশিয়া এগিয়ে আসে। পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে। প্রধানমন্ত্রীর যেমন সিদ্ধান্ত তেমন কাজ। পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান এবং উদ্বোধনের অপেক্ষায়। ২০১৪ সালে উদ্বোধন করা হয় সেতুর নির্মাণ কাজ। শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধায়নে ও নিজস্ব অর্থায়নে সর্ববৃহৎ অবকাঠামো হচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। অনেকেই অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর নামে এ সেতুর নামকরণের প্রস্তাব করলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, পদ্মা নদীর নামেই এ সেতুর নামকরণ হবে। আমার পরিবার বা অন্য কারও নামে হবে না। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী।

বিগত ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়লাভ করে। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পদ্মা সেতু নির্মাণের অঙ্গীকার ছিল। সরকারের পরিকল্পনায় ছিল বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। ২০১১ সালের ২৮ এপ্রিল বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ৬ লাখের ঋণ সহায়তা চুক্তিও হয়। পরে ১৮ মে জাইকার সঙ্গে, ২৪ মে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের (আইডিবি) সঙ্গে এবং ৬ জুন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, সে সময় দেশে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক মহল, সুশীলসমাজের কিছুু প্রতিনিধি সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলেও তারা সফল হতে পারেনি। তাই নানা ষড়যন্ত্র, প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে একটি স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ শুধু পদ্মার বুকেই নয়, বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে এত বড় একটি কর্মযজ্ঞ, মেঘা প্রকল্প সম্পন্ন করা প্রধানমন্ত্রীর বড় অবদান। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে যিনি দেশের অগ্রগতি উন্নয়নে নিবেদিত তিনিই তো প্রকৃত জননেত্রী। তার অক্লান্ত পরিশ্রমে বিভিন্ন দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশ আজ স্বমহিমায় সমুজ্জ্বল। তার সঙ্গে যুক্ত হলো পদ্মা সেতু।

পদ্ম সেতু নিয়ে আমাদের যে স্বপ্ন ছিল তা পূরণ হয়েছে। এই সেতুর দ্বারা বাংলাদেশের প্রথম সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এ সেতু শুধু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলই নয়, উত্তর-পূর্ব তথা সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের জীবনধারা পাল্টে যাবে। তাই বলা যায়, স্বপ্নের পদ্মা সেতু বদলে দেবে দেশ। ৩০ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত এ সেতু দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস সেতুটির উপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ ও নিচের স্তরটিতে রেলপথ। পদ্মা সেতুুর দুই পাড়ে সিঙ্গাপুর ও চীনের সাংহাই নগরের মতো উন্নতমানের শহরও গড়ে উঠবে। এ সেতুুকে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে যাতে লাভবান হবে বাংলাদেশ। তাছাড়া আধুনিকমানের হোটেল রিসোর্টও গড়ে উঠবে। তাছাড়া রয়েছে গ্যাস, বিদু্যৎ, অপটিক্যাল ফাইবার লাইনসহ নানা সুবিধা। এ সেতু বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

\হগত ২৫ জুন সে মাহেন্দ্রক্ষণ। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে নির্মাণ কাজ চলে। মহামারি করোনাকালীনও এ নির্মাণ কাজ থেমে থাকেনি। বাঙালি জাতির দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হচ্ছে। যারা পদ্মা সেতুু নিয়ে একসময় নানা সমালোচনা করেছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবকাঠামো স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে তাদের সমালোচনার জবাব দিলেন। এ যেন কাজের মাধ্যমে নীরব প্রতিশোধ। পদ্মার দু'পাড়ে চলছে আনন্দের বন্যা। তাদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সবার মুখে হাসি। এ হাসি যেন তাদের স্বপ্ন পূরণের হাসি। এ হাসি যেন তাদের পদ্মা সেতুর সঙ্গে জীবনের বন্ধনের হাসি। শুধু পদ্মা পাড়ই নয় গোটা বাংলাদেশ হাসছে। আর পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অহঙ্কার। তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। সময় এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার। এ অহঙ্কার নিয়ে বলতে পারি, আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারি। বাংলাদেশ তা পারে। তথা কথিত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক সরিয়ে গেলেও শেখ হাসিনা সরে যাননি। তার দৃঢ়চেতা মনোভাব, সাহস এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। বিশ্ববাসীর কাছে শেখ হাসিনা যেন নতুনভাবে আবির্ভূত হলেন। তাই বলতে ইচ্ছে হয়, এ বিশ্ব অবাক তাকিয়ে রয়। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ শেখ হাসিনার তত্ত্ব্বাবধানে বাংলাদেশের জয়। এ জয় শুধু শেখ হাসিনা বা বাংলাদেশের নয়, এ জয় সমগ্র জনগোষ্ঠীর যাদের অর্থে নির্মিত হয়েছে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবকাঠামো এ পদ্মা সেতু।

বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনে সীমাহীন ত্যাগ তিতিক্ষা, জেল, জুলুম, নির্যাতন শেখ মুজিবকে ইতিহাসে জাতির পিতার অভিধায় অভিষিক্ত করেছে। আজ সারাবিশ্বে তার বড় পরিচয় বাঙালি জাতির পিতা। ঠিক একইভাবে একথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, তারই কন্যা হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা তার দক্ষতার রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় বাংলাদেশকে এমন উচ্চ স্থানে নিয়ে গেছেন যার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে তার প্রতি আত্মবিশ্বাস ও আস্থা তৈরি হয়েছে। টানা ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। তার দৃঢ় চেতা মনোভাব, সাহস, মৃতু্য ভয়হীন, দেশের অগ্রগতি উন্নয়নে সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বদলে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। তার অতুলনীয় দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা বিশ্ববাসীর কাছে সঠিক নেতৃত্বের একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিচিতি অর্জন করেছে।

২৫ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে আরও একটি স্মরণীয় দিন সংযোজিত হলো। এখানে একটি কথা না বললেই নয়,

ষড়যন্ত্র কিন্তু এখনো থেমে নেই। তাই কোনো দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসী চক্র যেন বৃহৎ এ অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি সাধন করতে না পারে এজন্য সরকারের তদারকি বাড়ানো দরকার। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু যেমন অমরত্ব লাভ করেছেন, তেমনি শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে তিনিও পিতার ন্যায় ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।

মোহাম্মদ নজাবত : আলী শিক্ষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে