পাঠক মত

পলিথিনের ব্যবহার শঙ্কাজনক

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

মো. সাজ্জাদ হোসেন রিজু মহিলা কলেজ পাড়া ঝিনাইদহ
পলিথিন শপিং ব্যাগ ছাড়া আরো একটি অপচনশীল জিনিস রয়েছে, যা আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছি। সেটি পলিথিন শপিং ব্যাগের চেয়ে কোনো অংশে কম ক্ষতিকর নয়। তা হলো অপচনশীল মোড়ক। পলিথিন শপিং ব্যাগ না হলেও আমাদের দেশে অসংখ্য দ্রব্যের মোড়ক হিসেবে অপচনশীল দ্রব্য ব্যবহার করা হচ্ছে। যেমন: চিপস-বিস্কুটসহ সব ধরনের খাদ্যদ্রব্যের মোড়ক, নিত্যব্যবহাযর্ সাবান-ডিটারজেন্টসহ অন্য দ্রব্যাদির মোড়ক ইত্যদি। সম্প্রতি কঁাচা তরকারিসহ অসংখ্য দ্রব্যাদি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে, যেগুলোর মোড়ক মোটেও পচনশীল নয়। দেশের অত্যাধুনিক শপিং মলগুলো থেকে এসব দ্রব্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে দেশের নীতিনিধার্রকরা। কিন্তু তারা কি একবারো ভাবেননি এগুলো আমাদের পরিবেশের জন্য কি পরিমাণ হুমকি হয়ে দঁাড়াচ্ছে? এগুলোও তো পলিথিনের পযাের্য়ই পড়ে। অপচনশীল হওয়ার কারণে পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ হলে এসব অপচনশীল মোড়কের ব্যবহার কেন নিষিদ্ধ হবে না? পলিথিন শপিং ব্যাগ পুনঃব্যবহারযোগ্য হওয়ার কারণে এটি আমরা অনেকেই সংরক্ষণ করতে পারি কিন্তু উপরোক্ত দ্রব্যাদির মোড়ক পুনঃব্যবহারযোগ্য নয় বলে তা সংরক্ষণের কোনো সুযোগ নেই। আর যে জিনিস পুনঃব্যবহারযোগ্য নয়, তা যদি অপচনশীল হয়, তাহলে তা পরিবেশের জন্য একটি হুমকি হয়ে দেখা দেয়। কারণ তা একবার ব্যবহারের পরই ফেলে দিতে হয়। দেশে সুষ্ঠু বজর্্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় এসব মোড়ক আমরা যত্রতত্র ফেলে দিচ্ছি। আমাদের এ অভ্যাস বদলানো প্রয়োজন। দেশে যদি সুষ্ঠু বজর্্য ব্যবস্থাপনা থাকতো, তাহলে হয়তো এসব অপচনশীল বস্তু ব্যবহারের কথা ভাবতে পারতাম। আমরা পরিবেশের ক্ষতির দিকটিও ভাবছি না, আবার সুষ্ঠু বজর্্য ব্যবস্থাপনার কথাও ভাবছি না। বহু দেশে বজর্্য পদাথের্ক রূপান্তরের মাধ্যমে অন্যান্য দ্রব্য অথবা পুনঃব্যবহারযোগ্য দ্রব্য তৈরি করা হয়। আমাদের দেশে কেন হবে না? আমাদের অভিমত হচ্ছে, এক. আমরা অপচনশীল বস্তু ব্যবহার করবো আবার সেগুলো রূপান্তরের মাধ্যমে পুনঃব্যবহার করবোÑ যাতে আমাদের পরিবেশের কোনো ক্ষতি না হয়। দুই. যদি আমরা রূপান্তরের কথা ভাবতে না পারি, তাহলে এসব অপচনশীল দ্রব্য ব্যবহারই করবো না। লক্ষ্য থাকতে হবে পরিবেশ যেন আমাদের কাজ, বিলাসিতা ও আরামের জন্য নষ্ট না হয়। আমরা যদি সুন্দর মনের মানুষ হই আর পরিবেশের কথা মাথায় রাখি, তাহলে তা অবশ্যই পারবো। কারণ এ পরিবেশ, এ ধরিত্রী আমাদের। মনে রাখতে হবে, আমরা পরিবেশের ওপর যতো নিযার্তন করবো পরিবেশও আমাদের ওপর ততোই প্রতিশোধ নেবে।