নিবার্চনের সাজানো বাগান, এবার গোছানো সরকার

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক দক্ষতা, বিজ্ঞতা ও কুশলতার পরিচয় দিয়েছেন অবশ্যই। তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ চারবার নিবার্চন করে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হতে পারল। এর মধ্যে টানা তিনবার। নিবার্চনী রণকৌশলে তিনি যে পারঙ্গম এবং স্বমহিমায় উদ্ভাসিত তা প্রমাণিত হওয়ার জন্য এ সাফল্যগুলোই যথেষ্ট। আগামী সরকার গঠনেও তার বিজ্ঞতার পরিচয় পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করা যেতে পারে। এ ধারণা পোষণ করা অমূলক নয় যে, দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে তার ব্যাপক চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রকাশ | ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

আতা সরকার
১ নিবার্চন কমিশনকে জোর করতালি দেয়াই যেতে পারে। মন খুলে খোলা হাতে। কমিশন তার প্রতিশ্রæতি রেখেছে। নতুন বছরের আমেজ নিয়ে জাতিকে উপহার দিয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ। কমিশন অঙ্গীকার করেছিল, উপহার দেয়া হবে অংশীদারমূলক অংশ্রগহণমূলক নিবার্চন। বলেছিল নিবার্চন হবে শান্তিপূণর্। ভোট হবে অবাধ। নিবার্চনে সাড়া দিয়েছে সব দলই। ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাস্পশর্প্রাপ্ত দলগুলো ছাড়া অন্য দলগুলোর মনস্তত্তে¡ সংশয় ব্যাপকভাবে কাজ করলেও তারা এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে চেয়েছে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বাথের্ নিবার্চনে অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এ বোধও তাদের ভেতর কাজ করতে পারে যে নিবার্চনকে কেন্দ্র করে তারা এ যাবতকাল যে সব অভিযোগ অব্যাহতভাবে বলে আসছে নিবার্চনের অস্বচ্ছতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার সম্পকের্Ñ তার দালিলিক প্রমাণ মিলবে নিবার্চনে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমেÑ তা দৃষ্টিগোচর হবে দেশবাসী ও বিশ্বাসীর। যে যাই মনে করুক, যে ভাবেই হোক, নিবার্চন কমিশন সব দলকে নিবার্চনে অংশগ্রহণ করানোর ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে। নিবার্চনকে কেন্দ্র করে তাদের সঙ্গে কমিশন একাধিকবার নরম গরম সভা করেছে, মতবিনিময় করেছে। শান্তিপূণর্ অবাধ নিবার্চনের ব্যাপারেও সন্দেহের অবকাশ নেই। নিবার্চনের এমন শান্ত সমাহিত পরিবেশ সম্প্রতিকালে খুব একটা চোখে পড়ে নাই। কোথাও কোথাও কিছু কিছু দুঘর্টনা ঘটেছে। সংঘাত ও সংঘষর্ হয়েছে। কয়েকটি প্রাণহানিও ঘটেছে। এত বিশাল আয়োজনের মধ্যে তা ধতের্ব্যর মধ্যে বোধ হয় ফেলা যায় না। ভোটকেন্দ্রে ও তার পরিপাশ্বর্ এলাকায় মানুষজনের জটলা ও হল্লাও ছিল বিরল। এবার ভোট দিতে গিয়ে ভোটারদের দীঘর্ লাইনের পেছনে দঁাড়িয়ে অধৈযর্ হতে হয় নাই। স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই ভোট বুথে প্রবেশ করে নিমিষে বেরিয়ে আসা গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তেমন বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয় নাই। একে অবাধ ভোটপ্রবাহ তো বলাই যেতে পারে। শীত-রোদের মিষ্টি আমেজ নিয়ে রাস্তাঘাটে উৎসুক লোকজনের গসিপের বিড়ম্বনাও ছিল অনুল্লেখ্য। উৎসবমুখর নিবার্চন উপহার দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছিল। উৎসব মানেই কি মুখরতা? নাও তো হতে পারে। তবে এবারের নিবার্চন কারও কারও মনে তো উৎসবের আতশবাজি ফুটতে সক্ষম হয়েছেই। বাস্তবিক এবার নিবার্চনের পরিবেশ তেমন অথের্ প্রকাশ্যে দাঙ্গা প্রবণ ছিল না। ছিল শান্ত। সাজানো গোছানো তিনশ প্রাথির্ত ফুল ফোটার উপযোগী বাগানের মতো। সেই বাগানের ভেতর আয়েশে ও অনায়াসে হেঁটে যারা বিজয়ী হয়ে ফুটে উঠতে পেরেছেন, তাদের সৌন্দযর্ লালিত্য ও সৌরভ পানে উন্মুখ হয়ে আছে দেশ। এবারের নিবার্চন জয়জয়কারের নিবার্চন। ক্ষমতাসীনদের জন্য। জয়জয়কারের সঙ্গে নিবার্চন কমিশনের কৃতিত্ব যেমন শোনা যাচ্ছে, প্রশাসনের দক্ষতাও তেমনি প্রমাণিত হয়ে উঠেছে। নিবার্চনের শান্তিস্থিত রাখতে তারাই তো ভ‚মিকা দায়িত্বের সঙ্গে পালন করেছেন। তাদের সুশৃঙ্খল সহযোগিতা ছাড়া অবাধে ভোট প্রয়োগ কখনোই সম্ভব হতো না। নিবার্চন কেন্দ্রের ভিড়-ভাড়াক্কা তাদের উদ্যোগেই হটিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে। বাগানে সাজানোরও ফুল প্রস্ফুটিত করার ক্ষেত্রে আগাছা নিমূের্লর কাযর্ক্রম আগেভাগেই শুরু করা হয়েছিল বলেই তো এমন সজ্জিত বাগিচা সম্ভব হয়েছে। তাই জয়ধ্বনি দিতে হয় প্রশাসনকেও। সংশ্লিষ্ট সবাইকে। আশা করা যায়। এই জয় ও উৎসবের আমেজ বিরতিহীনভাবে চলতে থাকবে পঁাচ বছর ধরে। নিবার্চন কমিশন সফল নিবার্চনের কৃতিত্ব সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে কৃপণতা পোষণ করেনি। আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমেই ধন্যবাদ জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে। নিজের ঢোল নিজে না বাজিয়ে অন্যের হাতে সাজানোর দায়িত্ব দিলে নাকি ঢোল ফেটে যাওয়ার আশংকা থাকে। নিবার্চনে বিজয়ী যে দল বা যারাই হোক, ‘এটা নিবার্চন কমিশনের বিজয় বলতে দোষ কোথায়। সফলভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন সম্পন্ন করায় নিবার্চন কমিশন সচিবালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান নিবার্চন কমিশনার বলেছেন, বাংলাদেশের জাতীয় নিবার্চন নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন কমিউনিটির অভিমত এসেছে। তারা এই নিবার্চনকে সফল হিসেবে উল্লেখ করেছে, কেউ প্রত্যাখ্যান করেনি। এটা নিবার্চন কমিশনের বিজয়। ২ নিবার্চন প্রত্যাখ্যান না করার কথা জোর দিতে বলা হলেও ড. কামাল হোসেনের নেত্বত্বে ঐক্যফ্রন্ট নিবার্চন প্রত্যাখ্যানের কথা বলেছিল। তারা পুননির্বার্চন দাবি করে নিবার্চন কমিশনে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে অভিযোগের পাহাড়। তারা দাবি করেছেন, শুধু অভিযোগ নয়, তার সঙ্গে সঙ্গে প্রমাণপত্রও দাখিল করেছেন। অভিযোগ হলোÑ নিবার্চনের আগের রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোটগ্রহণ কমর্কতাের্দর সহায়তায় আওয়ামী লীগের কমীর্ ও সন্ত্রাসী বাহিনী ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট কেটে ব্যালট বাক্স ভতির্ করে। ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সব স্তরের সদস্যর কাছে সহযোগিতা চেয়ে পাননি ঐক্যফ্রন্টের প্রাথীর্রা। তাদের পোলিং এজেন্টকে মারধর, হয়রানি ও গ্রেপ্তার করা হয়। অসংখ্য কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। এ সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ ইসিতে জমা দেয়া হয়েছে। এভাবে নিবার্চন নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। কেউ কেউ বিরূপ মন্তব্য করেছেন। কেউ কেউ নিবার্চনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। কেউ দল বিশেষ বা জোট বিশেষের একচেটিয়া বিজয় দেখে সংশয় প্রকাশ করেছেন। কেউ নিবার্চনে নিবার্চন কমিশনের ভ‚মিকায় সন্তোষ প্রকাশ করতে পারেননি। কেউ কেউ প্রশাসন বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কমর্তৎপরতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। ভোটকেন্দ্রে ভোটারের সশরীর উপস্থিতির চালচিত্র ও ব্যালট বাক্সে ভোটের পরিমাণের তুল্যমূল্য বিবেচনা করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। এসব নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, বাদানুবাদ, বিশ্লেষণও কম হচ্ছে না। নিবার্চনে পরাজিতদের পক্ষ থেকে এমন ধারার অভিযোগ বরাবর হরহামেশাই উত্থাপিত হয়Ñ এমন বিবেচনা বোধ থেকে এগুলোকে কি পাস কাটিয়ে যাওয়া হবে? বিশেষ করে এবারের নিবার্চনকেন্দ্রিক অভিযোগগুলো এমন ধারার গতবাধা ‘বাতকিবাত’ অভিযোগ বলে কি উড়িয়ে দেয়া যাবে? অভিযোগগুলো দায়িত্বশীলমহল থেকেও উঠছে। সুতরাং একাদশ জাতীয় সংসদকে বসতে হচ্ছে অনেক সমালোচনা ও প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে। সংসদের কাছে জনসাধারণের প্রত্যাশা রয়েছে। রয়েছে শংকাও। সংসদ সদস্যরা কি তাদের ক্ষমতাচচার্র ধারাবাহিকতাই অব্যাহত রাখবেন, নাকি জনগণের ভেতর আস্থা জাগিয়ে তাদের নিয়ে দেশের উন্নয়নের যে ধারা জননেত্রী শেখ হাসিনা শুরু করেছিলেন, তা এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে সম্মিলিত উদ্যোগকে বেগবান করবেন। ৩ বিগত সংসদ থেকে এবারের সংসদের চরিত্রের খুব যে একটা ভিন্নতা ঘটছে আপাতঃদৃষ্টে তা মনে হচ্ছে না। নিবার্চনে সব দলের অংশগ্রহণ যে আশাবাদ সঞ্চারিত করেছিল, তা এখন অনেকটাই ম্রিয়মান। নিবার্চনে জাতীয় পাটির্সহ মহাজোটের যে কমর্চাঞ্চল্য পরিলক্ষিত হয়েছে, তার ছিটেফেঁাটাও দেখা যায়নি ঐক্যফ্রন্টসহ অন্যদের তৎপরতায়। এমনকি প্রাথীর্ মনোনয়নের ক্ষেত্রেও পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে বিশেষ করে বৃহৎ দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিজ্ঞতা, কৌশল ও নৈপুণ্যের পরিচয় দিতে পারে নাই। অথবা তাদের কৌশল অন্য কিছুও থাকতে পারে না যা এখন পযর্ন্ত সুস্পষ্ট নয়। যে প্রাথীের্দর বাদ পড়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে নানা কারণে, তাদের বিকল্প প্রাথীর্ থাকা সত্তে¡ও তাদেরই নমিনেশন দেয়া কেন তা প্রশ্ন তুলতে পারে। বাস্তবেও দেখা গিয়েছে বেশ কিছু সংখ্যক আসনে তাদের প্রাথির্তা বাতিল হয়েছে। পোস্টার ব্যানার লাগাতে বাধাগ্রস্ত হলেও সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে পেঁৗছে কীভাবে ভোট চাইতে হবে সে কৌশলগুলোও কি ভুলে গিয়েছিল। নিজেদের অপারগতায় হোক কিংবা বাধ্য হয়েই হোক, তাদের কমর্চাঞ্চল্যহীনতা একথাই বলে দেয় যে কোনো অজানা কারণে তারা তাদের প্রতিপক্ষকে ওয়াকওভারই দিয়েছে। এদিকে ভাব-গতিক দেখে মনে হচ্ছে, বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট সংসদেও প্রতিপক্ষকে ওয়াকওভার দিতে চলেছে। তাদের নিবাির্চত সাত জন সদস্য শপথ নেননি এখনো। এবং তারা আদৌ শপথ নেবেন বলে মনে হচ্ছে না। এই সাত জন সংসদে যদি যোগ না দেন তাহলে একাদশ জাতীয় সংসদের চেহারা পূবর্বতীর্ সংসদ থেকে ভিন্ন কিছু হবে বলে মনে হচ্ছে না। জাতীয় দলের প্রেসিডেন্ট হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ইতোমধ্যে জানিয়েছেন, তারা এবার সরকারে যাবেন না; বিরোধী দলের আসনেই বসবেন। হবেন প্রধান বিরোধী দল। সম্ভবত একক বিরোধী দলও। তবে দলটি এবং তার নেতা এত ঘন ঘন রং ও রূপ পাল্টান যে এ বিষয়ে শেষ ভাবনা ও শেষ কথা বলার সময় বোধ হয় এখনো আসে নাই। ৪ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক দক্ষতা, বিজ্ঞতা ও কুশলতার পরিচয় দিয়েছেন অবশ্যই। তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ চারবার নিবার্চন করে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হতে পারল। এর মধ্যে টানা তিনবার। নিবার্চনী রণকৌশলে তিনি যে পারঙ্গম এবং স্বমহিমায় উদ্ভাসিত তা প্রমাণিত হওয়ার জন্য এ সাফল্যগুলোই যথেষ্ট। আগামী সরকার গঠনেও তার বিজ্ঞতার পরিচয় পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস করা যেতে পারে। এ ধারণা পোষণ করা অমূলক নয় যে, দেশ, জাতি ও জনগণের কল্যাণে তার ব্যাপক চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনা রয়েছে। বাঙালি জাতিকে আত্মমযার্দাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে, বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে পেঁৗছে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের রক্তভেজা পতাকাকে সমুন্নত রাখতে, সবর্স্তরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সব ধমের্ক সম্মান ও মযার্দা আসীন করতে। শোষণ ও বৈষম্যকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে এনে শোষণমুক্ত সাম্য সমাজ গড়তে, সবোর্পরি গণতন্ত্রের সুমহান আদশের্ক সবোর্চ্চ স্থান দিয়ে ‘সমৃদ্ধির ধারায় বাংলাদেশ’কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এই চৈতন্যবোধেই আগামী দিনের নেতৃত্ব পরিচালিত হবে। উপযুক্ত ত্যাগী আলোকিত ব্যক্তিত্বদের নিয়েই গঠিত হবে মন্ত্রিসভা। যারা স্বপ্নচারিণীর স্বপ্ন বাস্তবরূপ দিতে যথাথর্ সহযোগীর ভ‚মিকা পালন করে যথাযথ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন। নিবার্চন নিয়ে যত প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে, সেসব প্রশ্নেরও অবসান হওয়া প্রয়োজন। জনগণ যে যেদিকে ভোট দিক বা দিতে চাক না কেন, সরকার গঠিত হওয়ার পর তা দল বিশেষের নেতৃত্বে ও পরিচালনায় থাকলেও সরকার দল বা গোষ্ঠী বিশেষের আর থাকে না, তা হয় সবর্স্তরের জনগণের সরকার। জনগণকে নিতে হবে আস্থায় ভালোবাসায় মমত্বে। শেখ হাসিনা বিগত সরকারে নতুন একটা ধারণা দিয়েছিলেন ‘সবর্দলীয় সরকার’। সেটা ছিল সংসদে সবর্দলের সম্মিলনের এক প্রচেষ্টা। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার ঐকান্তিকতা। এবারও কি সবর্দলীয় সরকারের ধারণাটি বাস্তবায়িত হবে? আতা সরকার : কথাসাহিত্যিক ও কলাম লেখক