অনন্য উচ্চতায় শেখ হাসিনা

আশার কথা, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অথর্নীতির দেশের একটি হবে। তখন বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম অথর্নীতির দেশ। বতর্মানে অবস্থান ৪১তম। ২০৩৩ সালে আমাদের পেছনে থাকবে মালয়েশিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। আগামী ১৫ বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি গড়ে ৭ শতাংশ থাকবে। দেশের অথর্নীতি বিগত ১০ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে ইতিবাচক ধারায় ছিল বলেই বাংলাদেশ সুনিদির্ষ্ট লক্ষ্যে পেঁৗছবে। তবে বাংলাদেশে দুনীির্তর বিপজ্জনক বিস্তার এবং পুঁজির অসম বিকাশের কারণে ধনিক শ্রেণির সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গরিব আরো গরিব হচ্ছে। ব্যাপকভাবে বাড়ছে আয় বৈষম্য। এই বিষয়টিও রাষ্ট্রকে নজরে আনতে হবে।

প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

সালাম সালেহ উদদীন
টানা তৃতীয়বার ও চতুথর্বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়াতে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন। এর ফলে এক অনন্য উচ্চতায় পেঁৗছে গেলেন তিনি। একমাত্র তিনিই বিশ্বের দীঘর্স্থায়ী নারী সরকারপ্রধান। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে তিনি তার যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। তার দূরদশীর্ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে বিপুল ভোটে বিজয়ের পর চতুথর্বার রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন তিনি। এই সরকারের মেয়াদ পূণর্ হলে তিনি বাংলাদেশে ২০ বছরের রাষ্ট্র পরিচালনাকারী প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি পাবেন, যা হবে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি অনন্য রেকডর্। এর আগে বাংলাদেশে যারা সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের কেউই চারবারের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পাননি। উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ২১ বছর পর বতর্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নিবার্চনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিজয়ী হলে ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ গ্রহণ করেন তিনি। গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আবারও নিরঙ্কুশ বিজয় অজর্ন করে। এর মধ্য দিয়ে তিনিই একমাত্র সরকারপ্রধান যিনি তৃতীয় মেয়াদে টানা ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দঁাড়িয়েছে। এক সময়ে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ যারা দিয়েছিল তারাই এখন প্রশংসা করছে। বাংলাদেশকে এখন বলা হচ্ছে এশিয়ার বাঘ, উন্নয়নের রোল মডেল। একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের পরপরই শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে সৌদি বাদশা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইত্রিপালা সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী, নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ভুটানের রাজা ও প্রধানমন্ত্রী এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট অভিনন্দন জানান। এ ছাড়া ভারতের কংগ্রেস পালাের্মন্টারি পাটির্র চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীসহ বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নিরঙ্কুশ বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বিশ্ব নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইংরেজি নববষের্র শুভেচ্ছাও বিনিময় করেছেন। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তজাির্তক বিভিন্ন সম্প্রদায় শেখ হাসিনার এই বিজয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের সব ধরনের উন্নয়নে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হলেনস্টাইন একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে সব দলের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছেন। একইসঙ্গে নিবার্চনের আগে-পরে সংঘটিত সহিংতার জন্য আক্ষেপ করেছেন তিনি। রোববার পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই আক্ষেপ করেন। তারা এই সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। এটা সত্য, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর সতকর্তার সঙ্গে ভারত, চীন, রাশিয়া ও সৌদি আরবের সঙ্গে কৌশলগত সম্পকের্র সফল সূচনা ঘটান শেখ হাসিনা। আন্তজাির্তক বিশ্বের সঙ্গে কীভাবে সুসম্পকর্ বজায় রাখতে হয় তা তিনি জানেন। তাই তিনি গত ৫ বছরে বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের উন্নয়নগাথা, তার সফল প্রচেষ্টার কথা। একাদশ সংসদে মন্ত্রিসভা গঠনে চমক দেখানো হয়েছে। এই চমক শেখ হাসিনারই কৃতিত্ব। নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন, ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই থাকছে ছয় মন্ত্রণালয়। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। তবে এবারের মন্ত্রিসভায় নারীর সংখ্যা গতবারের তুলনায় কমেছে। আর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে আগের মন্ত্রিসভার মতো এবারও দুজনকে মন্ত্রী করা হয়েছে। আর আগের মতোই মন্ত্রী করা হয়েছে পাবর্ত্য চট্টগ্রামের একজনকে। আওয়ামী লীগের আগের দুই সরকারের মন্ত্রিসভায় শরিক দলের একাধিক সদস্য ছিলেন। যে কারণে ধরে নেয়া হয়েছিল এবারও থাকবেন। কিন্তু না রেখে ভালোই হয়েছে। বিশেষ করে এরশাদের জাতীয় পাটির্ সরকারে ও বিরোধী দলে উভয় জায়গায় থেকেছে। ফলে গত সংসদে আমরা কোনো শক্তিশালী বিরোধী দল পাইনি। এবার মতিয়া, আমু, তোফায়েল, নাহিদ, ইনু, মেনন, শাজাহান খানসহ ৩৬ জন পুরোনো মুখ মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন। পুরনোদের কাজ তো দেশবাসী অনেক দেখেছে, এবার নতুনের অভিযাত্রা কেমন হয় তা দেখার বিষয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে নিবাির্চত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ৮১.৮৭ শতাংশের (২৪৪ জন) সম্পদ কোটি টাকার ওপরে। রবিবার সকালে ঢাকা রিপোটার্সর্ ইউনিটিতে একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে জয়ীদের তথ্য উপস্থাপন শীষর্ক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। প্রায়ই অভিযোগ ওঠে জাতীয় সংসদ কোটিপতিদের। ধনাঢ্য ব্যক্তি ছাড়া সংসদ সদস্য হওয়া বিরল। তবে আশার কথা এবার সরাসরি নিবার্চনে নারী সংসদ সদস্যের সংখ্যা বেড়েছে। রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য নতুন সরকার সুস্পষ্ট কিছু নীতি গ্রহণ করবে এ বিষয়টিও সামনে এসেছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং গুণগত পরিবতের্ন সরকারকে কাজ করতে হবে এমন বিষয়ও বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে। এবারের নিবার্চনে নারী প্রাথীর্র সংখ্যা ছিল ৬৯ জন, যা এ পযর্ন্ত অনুষ্ঠিত সব নিবার্চনের মধ্যে ছিল সবোর্চ্চ নারী প্রাথীর্। ৬৯ জন প্রাথীর্র মধ্যে ২২ জন নিবাির্চত হয়েছে। এটা আশার কথা। শেখ হাসিনার গত শাসন আমলে বাংলাদেশের মানব উন্নয়ন সূচকে তিন ধাপ এগিয়েছে। ১৯৯০ থেকে পরবতীর্ ২৭ বছরে এ সূচকের মান বেড়েছে ২৭ শতাংশ। এটা বাংলাদেশের জন্য গৌরবজনক দিক। উল্লেখ্য, প্রতিটি দেশের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আয় ও সম্পদের উৎস, বৈষম্য, লৈঙ্গিক সমতা, দারিদ্র্য, কমর্সংস্থান, নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও আথির্কপ্রবাহ, যোগাযোগ, পরিবেশের ভারসাম্য ও জনমিতির তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবছর মানব উন্নয়ন সূচক তৈরি করে (ইউএনডিপি) জাতিসংঘের এই সংস্থাটি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাগরিকদের প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ৭২ দশমিক ৮ বছর; শিশুদের স্কুলে কাটানোর প্রত্যাশিত সময় গড়ে ১১ দশমিক ৪ বছর এবং মাথাপিছু আয় (জিএনআই) ৩ হাজার ৬৭৭ ডলার নিয়ে বাংলাদেশের এবারের এইচডিআই স্কোর হয়েছে শূন্য দশমিক ৬০৮। সূচকের অন্যান্য পরিসংখ্যানও সন্তোষজনক। বাংলাদেশ অনেক দক্ষতার সঙ্গে তার আয়কে অন্য দেশের তুলনায় সামাজিক উন্নয়নে রূপান্তর করতে পেরেছে। এই কৃতিত্ব শেখ হাসিনার। আশার কথা, মানুষের গড় আয়ু ও সাক্ষরতার হারে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। এখন মানুষের গড় আয়ু বাংলাদেশে ৭২.৮ বছর, ভারতে ৬৮.৮ বছর. পাকিস্তানে ৬৬.৬ বছর। অন্যদিকে সাক্ষরতার হারে বাংলাদেশ ৭২.৮%, ভারত ৬৯.৯%, পাকিস্তান ৫৭%। তবে মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের অনেক কম। এই দিক দিয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। নতুন সরকার এ ব্যাপারে কাযর্কর ভ‚মিকা পালন করবে বলে আশা রাখি। স্বাধীনতা লাভের ৪৭ বছর পর উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতার স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বেরিয়ে আসার স্বীকৃতি পেয়েছে। এর ফলে জাতিসংঘের বিবেচনায় উন্নয়নশীল দেশের পথে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশের একটি অনন্য অজর্ন। শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব, দীঘের্ময়াদি পরিকল্পনা, এমডিজি অজর্ন, এসডিজি বাস্তবায়নসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গসমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন, ১০০টি বিশেষ অথৈর্নতিক অঞ্চল, পোশাকশিল্প, ওষুধশিল্প, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অথৈর্নতিক সূচক এ উন্নতি ঘটেছে। এ ছাড়াও পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পসমূহ হাসিনা সরকারের সময়ের উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে কোনো দেশ এলডিসি থেকে বের হওয়ার পর বেশ কয়েকটি ধাপ রয়েছে। যে ধাপগুলো বাংলাদেশকেও তা অনুসরণ করতে হবে। আমরা আশা করছি, বাংলাদেশ তা পারবে। কারণ বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনাময় একটি দেশ। আশার কথা, ২০৩২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের বড় ২৫টি অথর্নীতির দেশের একটি হবে। তখন বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৪তম অথর্নীতির দেশ। বতর্মানে অবস্থান ৪১তম। ২০৩৩ সালে আমাদের পেছনে থাকবে মালয়েশিয়া, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশ। আগামী ১৫ বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি গড়ে ৭ শতাংশ থাকবে। দেশের অথর্নীতি বিগত ১০ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে ইতিবাচক ধারায় ছিল বলেই বাংলাদেশ সুনিদির্ষ্ট লক্ষ্যে পেঁৗছবে। তবে বাংলাদেশে দুনীির্তর বিপজ্জনক বিস্তার এবং পুঁজির অসম বিকাশের কারণে ধনিক শ্রেণির সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং গরিব আরো গরিব হচ্ছে। ব্যাপকভাবে বাড়ছে আয় বৈষম্য। এই বিষয়টিও রাষ্ট্রকে নজরে আনতে হবে। বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নিধার্রণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সম্ভাবনার পূণার্ঙ্গতা পাবে বা পুরোপুরি বাস্তবায়ন ঘটবে তার শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রচেষ্টা, নারীর অধিকার সংরক্ষণ, মানবিক মূল্যবোধের ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ এবং দেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তোলাসহ সংসদীয় গণতন্ত্রের বিকাশ ও প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করার মধ্য দিয়ে। দারিদ্র্য দূরীকরণ ও দেশ থেকে দুনীির্তর মূলোৎপাটন করে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। বাংলাদেশ যখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পেঁৗছেছে তখন এ দেশের পক্ষে অনেক কিছুই সম্ভব। আমাদের আথর্-সামাজিক পরিবতের্নর সঙ্গে সঙ্গে মানসিকতার পরিবতর্নও দরকার। মানসিকভাবেও আমার উন্নত হতে হবে। বাংলাদেশ আর কারো দয়ায় ও অনুগ্রহে চলবে না। একটি আত্মনিভর্রশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দঁাড়াবে। জয় আমাদের হবে-ই। সালাম সালেহ উদদীন: কবি, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক