সুশাসন প্রত্যাশা বিশিষ্টজনদের

যথাযথভাবে আমলে নিন

প্রকাশ | ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
একটি দেশের জন্য সুশাসন নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়া যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা রোধেরও কোনো বিকল্প নেই। আর এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য, দুনীির্তসহ এই ধরনের বিষয়গুলো যেমন আমলে নিতে হবে, তেমনিভাবে এর পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় নিধার্রণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নও অপরিহাযর্। কেননা, এসব রোধ করা না গেলে তা কোনোভাবেই ইতিবাচক ফল আনবে না। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে এমন বিষয় সামনে এসেছে যে, দেশে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে এটা সত্য কিন্তু প্রবৃদ্ধি বাড়লেও দুনীির্ত কমছে না যা সন্দেহাতীতভাবেই নেতিবাচক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। এ ছাড়া উঠে এসেছে, ব্যাংক খাতের নৈরাজ্য। সড়ক-মহাসড়কেও নৈরাজ্য কমেনি। যদিও এর মধ্যেই অনেক উন্নয়ন হয়েছে। প্রসঙ্গত বলা দরকার, একাদশ সংসদ নিবার্চনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অজের্নর পর টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণ করেছে। আর নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন শেখ হাসিনা, অথার্ৎ তার নেতৃত্বে চতুথর্বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিল আওয়ামী লীগ। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, নতুন সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা কীÑ এ নিয়ে কথা বলেছেন দেশের বিশিষ্টজনরা। তারা বলছেন, দেশে দুনীির্ত কমছে না, ব্যাংক খাতে নৈরাজ্য, সড়ক-মহাসড়কেও নৈরাজ্য। এ ছাড়া এসব নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি উন্নয়নের ধারা অব্যাহতও রয়েছে জানিয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন সুশাসনের বিষয়টিকে। তারা বলছেন, সুশাসনের নিশ্চয়তা এলে দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা বলতে চাই যে, বিশিষ্টজনদের এই মতামতকে আমলে নিয়ে সরকারে কতর্ব্য হওয়া দরকার সামগ্রিক পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে কাযর্কর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। কেননা, সুশাসন নিশ্চিত না হলে জনসাধারণের বসবাসের স্বাভাবিকতাই ঝুঁকির মুখে পড়বে এমন আশঙ্কা থেকে যায়, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমরা উল্লেখ করতে চাই, বিশিষ্টজনরা বলেছেন যে, যখন দেশে একের পর এক হরতাল চলছিল, জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছিল, তখন দেশ ও দেশের অথর্নীতি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়ের প্রতিক‚ল অবস্থার মধ্যেও দেশ এগিয়ে গেছে এবং দেশের প্রবৃদ্ধি কমে যায়নি। দেশের দুদিের্ন রপ্তানিমুখী শিল্পগুলো সব থেকে বেশি অবদান রেখেছিল। এ ছাড়া এসব প্রাইভেট কোম্পানির কারণে দেশের অথৈর্নতিক অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশকে আরও উন্নত স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে বলেই তারা মতামত ব্যক্ত করেছেন। আমরা মনে করি, দেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন হয়েছে এবং এর ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছেÑ যা স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত ইতিবাচক। কিন্তু এর সঙ্গে যখন সুশাসনের বিষয়টিও সামনে আসছেÑ তখন সরকার সংশ্লিষ্টদের এটি গুরুত্বসহকারে আমলে নিতে হবে এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে। আমরা বলতে চাই, হরতাল-অবরোধের মুখেও রপ্তানি থেমে যায়নি। রপ্তানি হয়েছে, দেশ অজনর্ করেছে বৈদেশিক মুদ্রা। বিভিন্ন খাতেই দেশ এগিয়ে গেছে। সঙ্গত কারণেই প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিত্ব পাওয়া সবার কাছে সুশাসন প্রতিষ্ঠার যে প্রত্যাশা বিশিষ্টজনরা করেছেন তা আন্তরিকভাবে আমলে নিতে হবে সরকারকে। মনে রাখতে হবে যে, সুশাসন নিশ্চিত না হলে তা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করবে যা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত হতে পারে না। সবোর্পরি আমরা বলতে চাই, নতুন সরকারের কাছে প্রত্যাশা থাকবে এটাই স্বাভাবিক আর সরকার সংশ্লিষ্টরাও সেই প্রত্যাশা পূরণে কাজ করবেন এমনটি জরুরি। আমরা মনে করি, সুশাসন নিশ্চিত করতে যেমন সবার্ত্মক প্রচেষ্টা জারি রাখতে হবেÑ তেমনিভাবে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যবসায়িক পরিবেশ, বিনিয়োগের যথাযথ পরিবেশ বজায় রাখা, ঘুষ, দুনীির্ত, প্রতারণা রোধসহ সামগ্রিক পরিস্থিতির দিকে আরো বেশি নজর দিতে হবে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকেও এগিয়ে নিতে হবে, আরো আধুনিকায়ন আনতে হবে শিক্ষা খাতে, গবেষণাকেও অগ্রাধিকার দিতে হবে। সাবির্ক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সুশাসন নিশ্চিত করা এবং এর পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্টরা কাযর্কর পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে এমনটি কাম্য।