নিবাির্চত সরকারের কাছে প্রত্যাশা

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

আলী ফজল মোহাম্মদ কাওছার সিলেট
একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চন শেষ হয়ে গেছে। চতুথর্বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভাতে স্থান পেয়েছেন কিছু সিনিয়র অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি কিছু তরুণ মেধাবী সংসদ সদস্য। অনেক সিনিয়র সংসদ সদস্য বাদ পড়েছেন। তরুণদের কাজ শেখানোর জন্য হয়তো সিনিয়রদের বাদ দেয়া হয়েছে। যোগ্যতা থাকা সত্তে¡ অনেক সিনিয়র সংসদ সদস্যদের বাদ পড়ার মানে নয় তাদের ব্যথর্তা। নতুদের জায়গা ছেড়ে দেয়ার জন্য তাদের বাদ দেয়া হয়েছে। নতুনরা যদি কাজ না শেখেন তাহলে আগামীর বাংলাদেশ চলবে কীভাবে? আরেকটি জিনিস লক্ষ্য করলে দেখা যায় বতর্মান মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্য উচ্চশিক্ষিত। উচ্চশিক্ষিতদের হাত ধরে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। এর থেকে আরেকটি জিনিস প্রমাণ হয় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সরকার গঠিত হলো সেই সরকারের কাছে আমরা সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক। আমরা তৃতীয় বিশ্বের রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে থাকতে চাই না। আমরা চাই উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পেতে। আমাদের এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেহেতু সরকার গঠিত হয় জনগণের ভোটে তাই জনগণের সরকারের প্রতি প্রত্যাশা থাকে অনেক। কারণ জনগণ তাদের পছন্দের ব্যক্তি কিংবা দলকে তাদের নেতা কিংবা জনপ্রতিনিধি নিবাির্চত করে। তাই আমাদের আপনাদের প্রতি প্রত্যাশা অনেক। কোনো সরকার যদি একটানা কয়েকবার শাসন ক্ষমতায় থাকে তাহলে একটি দেশের উন্নয়ন হওয়া সম্ভব। বতর্মান সরকার যেহেতু একটানা তৃতীয়বারের মতো গঠিত হয়েছে। আপনাদের ওপর আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আপনারা যে উন্নয়নের ধারা শুরু করেছেন তা অব্যাহত রাখা খুব জরুরি। আপনারা পদ্মা সেতুর মতো যে সব মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতেছেন নিজস্ব অথার্য়নে এরকম আরও আরও অনেক প্রজেক্ট শুরু করুন নিজস্ব অথার্য়নে। আমরা চাইনা আরও কোনো দেশের কাছ থেকে ভিক্ষা করে এনে নিজেদের দেশের উন্নয়ন। আমরা চাই নিজস্ব অথার্য়নে আমাদের দেশের উন্নয়ন। আমরা চাই আমাদের প্রিয় মাতৃভ‚মি বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করুক। আমরা চাই লক্ষ্য লক্ষ্য বেকারের চাকরির নিশ্চয়তা। নতুন সরকার এদিকে লক্ষ্য দিবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আপনাদের আমলে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য যে পে-স্কেলের ব্যবস্থা করেছেন। এর জন্য আপনারা প্রশংসার দাবিদার। সরকারি চাকরিজীবীদের পাশাপাশি বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য পে-স্কেলের যথাথর্ প্রয়োগ হচ্ছে কিনা সেদিকে দৃষ্টি দেয়া জরুরি। আমরা চাই মাদকমুক্ত বাংলাদেশ। আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বাংলাদেশ। আমরা সন্ত্রাস মুক্ত বাংলাদেশের। আমরা চাই রাজনৈতিক সহিংসতা মুক্ত বাংলাদেশের। আমরা চাই প্রতিহিংসামুক্ত বাংলাদেশ। আমরা চাই ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ। আমরা শিক্ষাঙ্গনে হানাহানি দেখতে চাই না। আমরা অসুস্থ ছাত্র রাজনীতির জন্য লাশের মিছিল দীঘর্ হচ্ছে দেখতে চাই না। আমরা চাই সব ধমের্র মানুষের স্বাধীনভাবে তাদের ধমর্ পালনের সুযোগ। এসব দিকে সরকারের দৃষ্টি দেয়া একান্ত জরুরি। আমরা প্রিয় মাতৃভ‚মিকে আর জঙ্গিদের অভয়ারণ্য হিসেবে দেখতে চাই না। আমরা চাই শান্তিতে বসবাসের নিশ্চয়তা। আমরা আর দেখতে চাই না আমাদের মা-বোন-স্ত্রী-কন্যাসন্তানের ধষির্ত চেহারা। আমরা চাই না যৌতুকের জন্য আমাদের প্রিয়জনের করুণ মৃত্যু। আমরা দেখতে চাই ভালোবাসাময় এক বাংলাদেশ। যেখানে হানাহানি থাকবে না। একে অপরের প্রতি ভালোবাসা থাকবে। আইনের প্রয়োগ যথাথর্ভাবে করতে হবে। সাধারণ জনগণকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়াতে আইনের প্রয়োগ সঠিকভাবে করতে হবে। আইনের প্রয়োগের ক্ষেত্রে ভেদাভেদ মুক্ত হতে হবে। গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আরও নানাবিধ প্রত্যাশা আমাদের বতর্মান নিবাির্চত সরকারের প্রতি। মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি দূরকরণে বতর্মান নিবাির্চত সরকারকে গুরুত্বপূণর্ ভ‚মিকা পালন করতে হবে। আমাদের দেশকে সুখীসমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বতর্মান সরকারকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা পূরণে আপনাদের উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা পালন করতে হবে। আমরা আপনাদের ওপর আমাদের প্রত্যাশা পূরণের অপেক্ষায় রইলাম।