সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার রুখে দঁাড়াও

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

আলী ফজল মোহাম্মদ কাওছার ময়মনসিংহ
বতর্মান বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়া একটি গুরুত্বপূণর্ অংশ। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের খবর অতি সহজে জানতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কোনো খবর খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিশ্বে। বতর্মান বিশ্বে সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক। ফেসবুক এমন একটি মাধ্যম যেটি ধনী গরিব সব শ্রেণির মানুষ ব্যবহার করে থাকে। ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা বতর্মান বিশ্বের রাজনীতি, অথর্নীতিসহ বিভিন্ন খবর জানতে পারি। দৈনিক জীবনের সঙ্গে যেন মিশে আছে ফেসবুক। কিন্তু সা¤প্রতিক সময়ে একটা জিনিস লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ফেসবুকের যেমন ব্যাপক সুবিধা আছে তেমনি ফেসবুকের অপব্যবহার যেন বেড়ে চলছে। কারো সঙ্গে কারও বিরোধিতা থাকতে পারে। সেই বিরোধিতা করতে গিয়ে ফেসবুকে ভুয়া আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট খবর প্রচার করা হয়। কোনো ব্যক্তি কিংবা তার পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের নামে মিথ্যা প্রচার করা হয়। অনেকে আবার বিভিন্ন ছবি এডিটিং এর মাধ্যমে নোংরা ছবি ফেসবুকে প্রচার করে থাকেন। এর ফলে যার ছবি প্রচার করা হয় তাকে এবং তার পরিবারকে সমাজের কাছে হতে হয় লজ্জিত। যারা এই নোংরা ছবি কিংবা মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেন তারা তাদের নোংরা মনমানসিকতার পরিচয় দেন এ ফেসবুকের মাধ্যমে। অনেকে আবার ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধমের্র বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন। এরপর ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় আশ্রয় নেন। অনেকে আবার বিভিন্ন ধমের্র উপসানালয় কিংবা পবিত্র জায়গাগুলোর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি সংযুক্ত করে বিভিন্ন ছবি এডিটিং করে ফেসবুকে ছেড়ে দেন। এর ফলে বিভিন্ন ধমের্র মানুষের একে অপরে সঙ্গে সংঘষের্র সৃষ্টি হয়। অনেকে আবার অন্য ধমের্র সম্মানিত পবিত্র ব্যক্তির নামে খারাপ মন্তব্য করেন। এর ফলে অন্য ধমের্ আঘাত হানা হয়। অনেক সংঘষের্র ঘটনা ঘটে। কিন্তু যারা ফেসবুকের মাধ্যমে এসব করে তারা কেন তাদের অসুস্থ মনমানসিকতার পরিচয় এভাবে দে। এদের রুখে দঁাড়াতে হবে। এদের বিরুদ্ধে সরকারকে আইন করতে হবে এবং তা বাস্তবায়িত করতে হবে। যারা এসব করে তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবেÑ যাতে তারা এসব অসুস্থ কাজ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া যেমনি আমাদের কাজকে সহজ করে দিয়েছে। সেই সোশ্যাল মিডিয়ার যেন কেউ অপব্যবহার করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।