পাঠক মত

অটিজম শিশুদের সঠিক পরিচযার্ দরকার

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

আজমাল হোসেন মামুন উত্তরা, ঢাকা
অটিজম সম্পকের্ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের ধারণা নেই বললেই চলে। চিকিৎসাশাস্ত্র মতে, এটি একটি রোগ। তবে কোনো মানসিক রোগ নয়। আর যেসব শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয় তাদের বলে অটিস্টিক। শিশু অবস্থায় এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। সাধারণত তিন বছর হওয়ার আগেই শিশুর অটিজম সম্পকের্ লক্ষণ দেখা যায়। এদের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বাংলাদেশেও বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অটিস্টিক শিশু ও কিশোরদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার ভয়াবহ। ছেলেরা এ রোগে আক্রান্ত হয় বেশি। আবার প্রতি ১০ জন অটিস্টিক শিশুর মধ্যে দুজনের অত্যন্ত দক্ষতা দেখা যায় ছবি অঁাকা, গান, নৃত্য অথবা কম্পিউটার বা গণিতসহ নানান ক্ষেত্রে। অটিস্টিক শিশু-কিশোররা দেখতে অন্যসব স্বাভাবিক শিশু-কিশোরের মতোই। কারণ শারীরিক গঠনে তাদের কানো সমস্যা থাকে না। তাদের কাযর্ক্রম ও আচরণ দেখে এ রোগ উপলব্ধি করতে পারা যায়। এদের প্রধান সমস্যা হলো যোগাযোগ ও গঠনমূলক খেলাধুলায় অপারগতা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, গভর্কালে মায়েদের ভাইরাস জ্বর, জন্মের সময় শিশুর অক্সিজেনের অভাব, পরিবেশ দূষণ, অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ এবং বংশগত ত্রæটি এর মূল কারণ। উন্নয়নশীল অনেক দেশে অটিজমের চিকিৎসা বের হলেও আমাদের দেশে এ নিয়ে সরকারি বা বেসরকারিভাবে তেমন চিন্তাভাবনা করা হয়নি বললেই চলে। অটিস্টিক শিশুর সবচেয়ে কাযর্করী চিকিৎসা হচ্ছে, বিশেষ শিক্ষা পদ্ধতি। এসব শিশু আলাদা পরিবেশে দ্রæত খাপ খাওয়াতে পারে না। এরা স্বাভাবিক শিশুর মতো মানসিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে না। মাঝে মধ্যে খুব চিৎকার করে, লাফালাফি করে, রাগান্বিত হয়। অনেক সময় নিজেকে আঘাত করে। আটিস্টিক শিশুদের উন্নয়নের জন্য সবর্প্রথমে পরিবারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। অটিজম শিশুদের সঠিক পরিচযার্ করা হলে ওরা সমাজের বোঝা হয়ে দঁাড়াবে না। তাই এদের উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, নীতি-নিধার্রকসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।