কাবর্ন নিঃসরণ ও টেকসই উন্নয়ন

যে কোনো দেশের উন্নয়নে বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতের ভ‚মিকা গুরুত্বপূণর্। বিদেশিদের দেখাদেখি এমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া উচিত হবে না, যা আমাদের উন্নয়নের গতিপথে স্থবিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বিদ্যুৎ ও পরিবহনের উন্নয়নে তথা শিল্প স্থাপন, কৃষির আধুনিকায়ন, বিভিন্ন রকম সাভির্স বা সেবা সব ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় ভ‚মিকা রাখে। তবে পরিবেশ দূষণ তথা জলবায়ু পরিবতর্ন ও উন্নয়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী নতুন নতুন চিন্তার বিকাশ ঘটছে।

প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

প্রফেসর ড. এ বি এম আব্দুল্লাহ
জলবায়ু পরিবতর্ন ও প্রযুক্তি দীঘের্ময়াদি প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব দৃশ্যমান মাত্র। এ বিষয়ে অধ্যাপক উইলিয়াম নডর্হাসর্ ও অধ্যাপক পল এম রোমার অথর্নীতিতে এবার নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। পাট একটি প্রাকৃতিক তন্তু এবং তা বাংলাদেশের কৃষিপণ্য শিল্পের কঁাচামাল। বঙ্গীয় ব-দ্বীপ বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু পাট চাষে অত্যন্ত উপযুক্ত এবং পাটচাষিরাও অভিজ্ঞ। ঋৎড়স পধহফষব ঃড় এৎরবাব পাট ও পাটজাত দ্রব্য পরিবেশবান্ধব। পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ করে, ‘কাবর্ন নিঃসরণ’ হ্রাসে পাট চাষ বিশেষ ভ‚মিকা রাখে। পাট কৃষিজ ফসল হলেও ‘ঈ’ ঞুঢ়ব উদ্ভিদ, তাই দ্রæত চযড়ঃড়ংুহঃযবংরং জন্য ১২০ দিন তার উৎপাদন কাল। ইরড়-সধংং উৎপাদনে পাটের ক্ষেত্রে প্রতিদিন প্রতি হেক্টরে ৯৮ কেজি অন্যসব উদ্ভিদের ক্ষেত্রে মাত্র ২৮ কেজি, তাই দ্রæত বৃদ্ধিশীল বৃক্ষও বটে। অন্যপক্ষে একটি বঁাশজাতীয় বৃক্ষ উৎপাদন কাল ৩-৫ বছর। অন্য সব উদ্ভিদের ক্ষেত্রে তা আরও বেশি। বনায়ন বা বৃক্ষ কাবর্ন নিঃসরণে হ্রাসে অন্যতম উপায় হলেও পাটের অবস্থান অন্যান্য অধিক সাশ্রয়ী। তা ৎবহবধিনষব ংড়ঁৎপব ড়ভ নরড়সধংং হিসেবে পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ ভ‚মিকা রাখতে পারে, প্রতিটি পাটগাছে ১১০-১২০ পাটপাতা থাকে এবং প্রতি হেক্টর পাট চাষে ১৫ টন কাবর্ন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে এবং ১১ টন অক্সিজেন বিতরণ করে। অন্যদিকে পাট চাষে জমির খরমহড় সধংং সৃষ্টির ফলে উবর্রা বৃদ্ধি পায়। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবতর্ন রোধে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি গতি কমাতে নানাবিধ প্রচেষ্টা গ্রহণ করছে। উন্নত দেশগুলো মূলত বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশ দূষণ অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। তাই টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশবন্ধাব প্রযুক্তি তথা গ্রিন প্রযুক্তির জন্য আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। পরিবেশ সংরক্ষণ জলবায়ু পরিবতর্ন, বৈশ্বিক উষ্ণতা দূর-অন্তভুির্ক্তমূলক উন্নয়ন, দেশি সম্পদের সবাির্ধক ব্যবহারে লাগসই প্রযুক্তি বিষয়ে সেমিনার, সিম্পজিয়াম, আলোচনা, পযাের্লাচনার অভাব নেই। কিন্তু সত্যিকারের বাস্তবতা ভিন্ন। বিগত নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আমাদের কানাডায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। কানাডা পরিবেশ-প্রতিবেশ সংরক্ষণে ‘চ্যাম্পিয়ন’ হলেও, দুঃখের বিষয় টরেন্টো, অটোয়ার মতো সিটিতে আইন করেও তারা পলিথিন/ প্লাস্টিকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যথর্ হয়েছে। আইন আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন নাই। তবে পলিমার ট্রেটেট পেপার ব্যাগের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ণধৎশফুষব টরোন্টোর অন্যতম বৃহৎ বিপণন কেন্দ্র। ২ ঘণ্টা ঘুরে একটি সোপে ইন্ডিয়া মেইড পাটের ব্যাগ পরিবহনের জন্য ব্যবস্থা আছে। তবে ব্যাগের উবংরমহ মোটেই চিত্তাকষর্ক নয়। প্রযুক্তি উন্নয়নে সমাজ বদলাচ্ছে। সমগ্র বিশ্ব আজ প্রযুক্তি পরিবতের্ন দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্পবিপ্লবের পর চতুথর্ শিল্প বিপ্লবের সূচনা, সম্প্রসারিত হচ্ছে। তবে অনুন্নত বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে শিল্প বিপ্লবের সব স্তরগুলো একই সঙ্গে বিরাজমান হয়ে এক অস্বাভাবিক ভারসাম্যহীন প্রযুক্তির প্রভাব বিরাজমান। তাই উন্নয়ন ও উন্নয়ন প্রশাসন তথা বিভিন্ন ধারার প্রযুক্তি ঙঢ়ঃরসধষ ব্যবহারের দ্ব›েদ্ব বিঘœতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। এখানে উন্নত দেশগুলো নিজেদের স্বাথের্ নতুন নতুন প্রযুক্তিনিভর্র ভোগ্যপণ্যের বাজার সৃষ্টি করে অপেক্ষাকৃত অনুন্নত দেশে অথৈর্নতিক-সামাজিক-রাজনীতিক প্রভাব খাটিয়ে অভিনবভাবে শোষণে নতুন ক্ষেত্র তৈরি করে চলছে। তাই যে কোনো ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রযুক্তি শনাক্ত ও ব্যবহার করা আজ একটি জটিল বিষয়ে দৃষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে ঈড়হংঁষঃধহঃ-দের উপদ্রব। তাই টেকসই প্রযুক্তি নিধার্রণ করার প্রয়োজনীয়তা হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে কারিগরি, অথৈর্নতিক-সামাজিক সব প্রভাব বিবেচনা রাখা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ পরিবেশ তথা জলবায়ু পরিবতের্ন সবাির্ধক ক্ষতিগ্রস্ত। অন্যদিকে পরিবেশ দূষণ আমাদের অবদান অতি নগণ্য। তবে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য সরকার ও সুশীল সমাজ নানাভাবে কাযর্ক্রম গ্রহণ করেছে। গউএ/ ঝগউএ, এঙ / ঘএঙ নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ঠরংরড়হ ২০২১ এবং ২১০০ উবষঃধ প্রকল্প গ্রহণে পরিবেশসংক্রান্ত বিশেষ নজর রেখে প্রকল্প কাযর্ক্রম ও কমর্কাÐ নিধার্রণ, অত্যন্ত উড়পঁসবহঃং-গুলো সূচারুভাবে পরিপূণর্ আছে। তবে কাযের্ক্ষত্রে খুবই স্বল্প দৃশ্যমান। সম্প্রতি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসাসর্ ইন্সটিটিউট (পিআরআই) গোলটেবিল বৈঠকে দেশে বতর্মানে প্রতিনিয়ত কাবর্ন নিঃসরণের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ১৯৭০-২০১৬ সাল পযর্ন্ত প্রতি বছর গড়ে ৭ শতাংশ হারে কাবর্ন নিঃসরণ বৃদ্ধি পেলেও সম্প্রতি এটা ৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মূলত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের কারণে এমনটা হচ্ছে এবং এটা স্বাভাবিক। উন্নত বিশ্বে মাথাপিছু কাবর্ন নিঃসরণের মাত্রা ১৪-১৬ টন বাংলাদেশে যা কয়েক কেজি মাত্র (২-৩ কেজি)। তাই পরিবেশ দূষণ কমিয়ে আনতে উন্নত বিশ্বে ডিজেল, পেট্রোলসহ জ্বালানি তেলের ব্যবহারের ওপর বিদ্যমান ‘করে’ বাইরে মাশুল হিসেবে ১০ শতাংশ কাবর্ন ‘কর’ আরোপ করে থাকে। যা ৭১%, ৬৯%, ৬৮% ও ৬৬% যথাক্রমে যুক্তরাজ্যে, নেদারল্যান্ড, ইতালি ও ফ্রান্স। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতে কাবর্ন নিঃসরণ উল্লেখ করে, উক্তি সংস্থা (পিআরআই) দেশে অনুরূপ ১০% কাবর্ন কর আরোপ করলে সরকার বতর্মানে প্রথম বছর ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ও ২০৪১ সালে ২২ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণ করা সম্ভব দেখানো হয়। ওই বৈঠকে অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশে গবেষণা করা এবং বক্তব্য দেয়া খুব সহজ ও কঠিন, দ্বিমুখী বক্তব্য। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিশ্বব্যাপী নানা আলোচনা, আন্দোলন, গবেষণা, প্রযুক্তি, উন্নয়ন, প্রকল্প গবেষণা ক্ষেত্রে ব্যাপক জোর আসছে। উন্নত-অনুন্নত সব দেশে গবেষণা চলছে। নতুন নতুন গবেষণার দ্বার খুলছে, অন্তভুির্ক্তমূলক উন্নয়ন, টেকসই প্রযুক্তি, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি, স্থানীয়/দেশিও সম্পদের সবাির্ধক ব্যবহারের কথা পুনঃপুনঃ উচ্চারিত হচ্ছে, কেউ বসে নেই। তবে বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে উন্নত-অনুন্নত দেশে বিশেষ পাথর্ক্য নেই। ভোগবাদী সমাজে পরিবেশ সংরক্ষণের থেকে ভোগের আধিপত্য, বিশেষ করে তরুণ সমাজে। যে কোনো দেশের উন্নয়নে বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতের ভ‚মিকা গুরুত্বপূণর্। বিদেশিদের দেখাদেখি এমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া উচিত হবে না, যা আমাদের উন্নয়নের গতিপথে স্থবিরতা সৃষ্টি করতে পারে। বিদ্যুৎ ও পরিবহনের উন্নয়নে তথা শিল্প স্থাপন, কৃষির আধুনিকায়ন, বিভিন্ন রকম সাভির্স বা সেবা সব ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় ভ‚মিকা রাখে। তবে পরিবেশ দূষণ তথা জলবায়ু পরিবতর্ন ও উন্নয়নের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী নতুন-নতুন চিন্তার বিকাশ ঘটছে। অথৈর্নতিক প্রবৃদ্ধি ক্ষেত্রে জলবায়ুর পরিবতর্ন এবং প্রযুক্তির ভ‚মিকা বিষয়ে অধ্যাপক উইলিয়াম নডর্হাসর্ ও অধ্যাপক রোমা চলতি বছর অথর্নীতিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন। অথৈর্নতিক প্রবৃদ্ধির জ্বালানি অপরিহাযর্। কিন্তু জ্বালানি থেকেই উৎপন্ন হয়, গ্রিন হাউস গ্যাস যা জলবায়ু পরিবতের্নর কারণ। ফলে জলবায়ু পরিবতর্ন তাই অথৈর্নতিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করে। তাই জলবায়ু পরিবতর্ন ও অথর্নীতি অঙ্গাঙ্গীভাবে আবদ্ধ। অধ্যাপক নডর্হাসর্ এ বিষয়ে কয়েকটি মডেল উদ্ভাবন করেন। বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রকৃত প্রভাব পরিমাপে সক্ষম হয়েছেন এবং অথৈর্নতিক কাযর্ক্রম কীভাবে রসায়ন ও পদাথর্ বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পকির্ত হয়ে জলবায়ু পরিবতের্নর ভ‚মিকা রাখছে সেটিও তিনি হাতে-কলমে দেখিয়ে দেন। অন্যদিকে অধ্যাপক রোমার অথৈর্নতিক শক্তিগুলো নিত্য-নতুন ধারণা এবং উদ্ভাবন সৃষ্টির জন্য সংস্থাগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করে। বিশ্বব্যাপী টেকসই প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির ওপর সফল গবেষণা করে অ্যান্ডোজেন প্রবৃদ্ধি মডেল উপস্থাপন করেন। সাধারণভাবে মানুষের ধারণা, পরিবেশ রক্ষা করা ব্যয়বহুল ও কঠিন কাজ। তাই এটাকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলে। তবে পরিবেশ রক্ষা করেও টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব। তাই অধ্যাপক রোমার আশা প্রকাশ করেন, বিশ্বব্যাপী গ্রিন হাউস গ্যাস নিগর্মন হ্রাস এবং ভবিষ্যতে জীবনযাত্রা মানোন্নত করে, ধারাবাহিকভাবে অথৈর্নতিক প্রবৃদ্ধি অজের্নর সুযোগ ছাড় না দিয়েই পরিবেশ সুরক্ষায় যথাযথ অগ্রগতি অজর্ন সম্ভব। কারণ প্রযুক্তি দীঘের্ময়াদি প্রবৃদ্ধি এগিয়ে নেয়। এই ক্ষেত্রে দেশীয় সম্পদের সবির্দক ব্যবহারে উপযুক্ত প্রযুক্তির নিধার্রণ ও টেকসই উন্নয়ন নীতি-নিধার্রণ ও বাস্তবায়নের জন্য সবার্ত্মক প্রচেষ্টা নিতে হবে। অত্যন্ত জনবহুল ছয় ঋতুর বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে দেশীয় সম্পদ ও টেকসই প্রযুক্তির বিকল্প খুবই নগণ্য। পরিবেশ সংরক্ষণে ত্রিমুখী ধারাÑ গরঃরমধঃরড়হ, অফধঢ়ঃরড়হ ্ চৎড়ঃবপঃরড়হ সম্মিলিত কাযর্ক্রম, পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন। উল্লিখিত ত্রিমুখী কাযর্ক্রমে পাট চাষ ও ব্যবহারকে পরিবেশ সংরক্ষণসহ জলবায়ু পরিবতর্ন তথা বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাস কাযর্ক্রম গ্রহণ করা সম্ভব এবং চলছে। কাবর্ন নিঃসরণ হ্রাস উপরে আলোচিত হয়েছে। উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহুমুখী পাটপণ্য ব্যবহারের প্রযুক্তি যেমনÑ চট্টগ্রাম ও পাবর্ত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হলে পাহাড়ের ধস নিত্য-নতুন। প্রতি বছর ঘটে চলেছে গরিব মানুষের প্রাণ নাশ ঘটছে। কিছু হইচই পরে একই নীরবতা, কারও কোনো দায়িত্ব নেই। যদিও পাবর্ত্য অঞ্চল উন্নয়ন সংস্থা আছে, ইদানিং হাওড় উন্নয়ন সংস্থা হয়েছে। খরা, বন্যা, ঢল ঘূণির্ঝড়ে প্রভাব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, পরিবেশ দূষণের কারণে। এই ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ঔঁঃব মবড়ঃবীঃরষবং প্রযুক্তি ব্যবহার আজ সবর্জনস্বীকৃত, বাংলাদেশ আমির্ ফোসর্, ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়ন এ বিষয়ে হাতিরঝিল ও পাবর্ত্য চট্টগ্রামে কয়েকটি উল্লেখ্যযোগ্য উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, তেমনিভাবে গ্রামীণ রাস্তা, স্বল্প স্রোত, নদীর ভাঙন, সড়ক জনপথ ও রেল সড়ক উন্নয়ন ক্ষেত্রে জুট জিও টেক্সটাইল ব্যবহার করা সম্ভব। তেমনিভাবে শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ ও অতি বেগুনি সূযর্রশ্মি প্রভাবজনিত দূষণ দূর করণীয় বহুমুখী পাট ব্যবহার করা সম্ভব। পাল্পস/পেপার, বিভিন্ন রকম সেলুলেজ ডেরিভেটিবের কঁাচামাল হিসেবে পাট স্বল্প বনায়নে বাংলাদেশের বঁাশ/ কাঠের বিকল্প কঁাচামাল যা পরিবেশ সংরক্ষণের অন্যতম উপায়। তেমনিভাবে তুলার পরিবতের্ পাটের অঁাশ ব্যবহার, প্লাস্টিকের পরিবতের্ জুট কম্পোজিয়েট ব্যবহার করা সম্ভব। তাই পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি করে কাবর্ন নিঃসরণ হ্রাস এবং বিভিন্ন উন্নয়ন ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব পাট পণ্য ব্যবহার দ্বারা গরঃরমধঃরড়হ, অফধঢ়ঃধঃরড়হ চৎড়ঃবপঃরড়হ ত্রিমুখী ব্যবস্থা পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবতর্ন না করে টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী গত ১৭ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখে নেদারল্যান্ডের গেøাবাল কমিশন অন অফধঢ়ঃরড়হ ও অনুরূপ বক্তব্য রাখেন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক অথর্নীতিবিদরা তাই বলেন। কিন্তু আমাদের দেশে অথর্নীতিবিদরা কেন জ্বালানি তেলের ব্যবহারের মাশুল হিসেবে ১০% কাবর্ন কর আরোপ প্রস্তাব করেছেন এবং যেখানে দেশের উচ্চপযাের্য় পরিকল্পনা/প্রশাসনের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন, তা বোধগম্য নয়। বিদেশিদের ভাবধারা/চিন্তায় চললে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাব অনুসারে আদমজী বন্ধের ফলাফল ও পদ্মা সেতুর অথর্ ছাড় বন্ধ করা বিষয়টি পযাের্লাচনা করলে সহজে বোধগম্য হয়। এই অথর্নীতিবিদরাই আবার কথা বলেন, বক্তব্য দেন, বিরাট বিরাট প্রবন্ধ দেশ-বিদেশের সংবাদপত্র, গবেষণাপত্রে উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। বাংলাদেশের প্রায় ৬০% লোক কৃষিজীবী দরিদ্র ও গ্রামে থাকেন। পাট কৃষকের অন্যতম অথর্করী ফসল। তাই পাট চাষ ও পাটের সবার্ত্মক ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের মানুষের আথির্ক উন্নয়ন, তথা কমর্সংস্থান বৃদ্ধি, দরিদ্রতা দূরীকরণ বিশেষ করে গ্রামের মহিলাদের ক্ষেত্রে তা অন্যতম উপায়। পাটের বৃহত্তর শিল্পী স্থাপন সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প স্থাপনে উদ্যোক্ত সৃষ্টি এক বিরাট সম্ভাবনা দেশের সৃষ্টি হয়েছে। পাটের বহুমুখী ব্যবহার নতুন দিগন্ত ও বাজার দেশে-বিদেশে সৃষ্টি হয়েছে। এ সুযোগ অবশ্যই নিতে হবে। আমাদের তরুণ উদ্যোক্তার প্রচুর সম্ভাবনা তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার চিন্তা ও কমর্ দৃশ্যমান। গ উএ মতো ঝ উএ কমর্সূচি সফলতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করে, দেশকে একটি সুখীসমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করা সম্ভব এবং তাই মুক্তিযোদ্ধার চেতনা। প্রফেসর ড. এ বি এম আব্দুল্লাহ: অধ্যাপক, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ডিজি, বিজেআরআর সাবেক ইডি, জেডি, পিসি চেয়ারম্যান, ডিএসকে। ধনস.ধনফঁষষধয৪৫@ুধযড়ড়.পড়স