এক মাস কোচিং সেন্টার বন্ধ

সঠিক বাস্তবায়ন হোক

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
একটি দেশের সামগ্রিক সমৃদ্ধি অজের্নর প্রশ্নে সুশিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং শিক্ষাকে বিস্তৃত করার কোনো বিকল্প নেই। সঙ্গত কারণেই শিক্ষার উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যে কোনো ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের হতে হবে দ্বিধাহীন। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর সাতদিন আগ থেকে শেষ পযর্ন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। মাধ্যমিক পরীক্ষা সামনে রেখে রোববার সচিবালয়ে জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এমনটি জানিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এবার ২৭ জানুয়ারি থেকে ২৭ ফেব্রæয়ারি পযর্ন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। প্রসঙ্গত বলা দরকার, প্রায় সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফঁাসের অভিযোগের মধ্যে গত বছরও এসএসসির তিনদিন আগ থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পযর্ন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নিদের্শ দিয়েছিল সরকার। আমরা মনে করি, এবার যখন একমাস কোচিং বন্ধের বিষয়টি সামনে এলো তখন তা ইতিবাচক। এখন সংশ্লিষ্টদের এটাও নিশ্চিত করতে হবে, কোনো কোচিং সেন্টার যেন কোনোভাবেই এই সময়ের মধ্যে গোপনে বা অসদুপায়ে কোচিং সেন্টার খুলতে না পারে। সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনে সরকারকে কঠোর মনিটরিং নিশ্চিত করতে হবে। উল্লেখ্য, এ বছর ৪ হাজার ৯৬৪টি কেন্দ্রে ২৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫১ জন শিক্ষাথীর্ মাধ্যমিক পযাের্য়র চ‚ড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেবে। আমরা বলতে চাই, শিক্ষাক্ষেত্রে নানা সময়েই কোচিংয়ের বিষয়টি যেমন আলোচনায় এসেছে তেমনি প্রশ্নফঁাসের বিষয়টিও বারবার সামনে এসেছেÑ যা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। এ কথা মনে রাখতে হবে, শিক্ষার ক্ষতি করে এমন কোনোকিছুকেই প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। সরকার শিক্ষার অগ্রগতি নিশ্চিত করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশ এগিয়ে যাচ্ছেÑ এমতাবস্থায় শিক্ষার উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এমন যে কোনোকিছুকে রোধ করতে হবে। আমরা উল্লেখ করতে চাই, এমন বিষয়ও এর আগে সামনে এসেছিলÑ কোচিং বাণিজ্যের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, এমনকি শিক্ষাথীের্দর জন্য বিড়ম্বনা সৃষ্টি থেকে শুরু করে শিক্ষাথীর্রা শ্রেণিকক্ষের চেয়ে কোচিংনিভর্র হয়ে পড়ছে বেশি এমনটিও আলোচনায় এসেছিল। সঙ্গত কারণেই আমরা মনে করি, কোচিংকেন্দ্রিক সাবির্ক পরিস্থিতি আমলে নিতে হবে সরকার সংশ্লিষ্টদেরই। শিক্ষার অগ্রগতিতে যে কোনো নেতিবাচক বিষয় দূর করতে কোনো প্রকার আপস করা যাবে না। কেননা শিক্ষাথীের্দর শিক্ষাজের্নর পথ যদি বাধাগ্রস্ত হয় তবে তা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বাস্তবতাকেই স্পষ্ট করবে, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমরা বলতে চাই কোচিং ছাড়াও, এর আগে বিভিন্ন নামিদামি স্কুলগুলোতে ভতির্ ও শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্যের বিষয়টি সামনে এসেছে। কোচিং বাণিজ্যের নামে কোটি কোটি টাকা উপাজর্ন করছেন এমনটিও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমরা মনে করি, শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার সামগ্রিক বাস্তবতাকে অনুধাবন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সবোর্পরি বলতে চাই, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর সাতদিন আগ থেকে শেষ পযর্ন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে কাযর্কর হোক। একই সঙ্গে প্রশ্নফঁাসসহ যে কোনো ধরনের অনিয়ম ও অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সেদিকেও সতকর্ থাকতে হবে। যথাযথ মনিটরিং ও কাযর্কর পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্যদিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে কোনো নেতিবাচক পরিস্থিতি রোধে সংশ্লিষ্টরা সবার্ত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এমনটি কাম্য।