আসছে রমজান

বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক

পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে। প্রতি বছরের মতো এবারো নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির। মুরগি ও ডিমের দামে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বেড়েছে সবজি, ডাল, ছোলা ও পেঁয়াজের দামও। সাধারণ মানুষের প্রোটিনের সবচেয়ে সস্তা ও বড় উৎস ব্রয়লার মুরগির দাম চড়তে চড়তে ২৬০ টাকা ছুঁয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এত দামে তারা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেননি। দাম বৃদ্ধি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, মানুষ তার খাবার তালিকা থেকে সস্তা প্রোটিনের উৎসটিতেও কাটছাঁট করছে। ২৮০-২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সোনালি মুরগি এখন দোকানভেদে কেজিতে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা পর্যন্ত দর উঠেছে। বাজারে মুরগি ছাড়াও সব ধরনের মাংসের দামই বাড়তি। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২শ টাকায়। চালের দামও কমছে না। রমজানকে কেন্দ্র করে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চালের দাম স্থির হয়ে আছে অনেক দিন থেকেই। আটা ময়দার দামের কথা বলাই বাহুল্য। প্রতি রমজানেই আমরা এমন চিত্র দেখে আসছি। এই চিত্র দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য। আমরা দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ্য করে আসছি, একেক সময় একেক অজুহাত তুলে বিক্রেতারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত পণ্যের সরবরাহ আছে। তা সত্ত্বেও বাজারে পণ্যের দাম বাড়ছে। মূলত এটা বাজার ব্যবস্থাপনায় সমস্যা। এ ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের কালোবাজারি এবং অতিমুনাফা লাভের প্রত্যাশা লুকিয়ে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম বাজারে কার্যকর হচ্ছে কিনা, কেউ উচ্চ লাভের আশায় মজুতদারি করেছে কিনা। এসব মনিটরিং করার দায়িত্ব সরকারের। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এসব মনিটরিং করছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা তার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। যেন দেখার কেউ নেই। নিত্যপণ্যের দাম কারা বাড়ায় তা সবারই জানা। এটা সিন্ডিকেটের কারসাজি। এরা বাজারসন্ত্রাসী। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের অজুহাতের শেষ নেই। তারা একেক সময় একেক অজুহাত দাঁড় করায়। তারা সাধারণ মানুষের পকেট কেটে অপার আনন্দ লাভ করে। তারা খাদ্যে ভেজালও দেয়। এই চিত্র বদলানো কঠিন। আমরা মনে করি, দেশের অসহায় জনগণকে জিম্মি করে তারা পকেট কাটবে এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এটা বড় ধরনের অপরাধ। সবার আগে প্রয়োজন বিক্রেতাদের মানসিকতার পরিবর্তন। বিক্রেতাদের মানসিকতার পরিবর্তন যতদিন না ঘটবে ততদিন নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির থাকবেই এবং দেশের জনগণও তাদের কাছে জিম্মি থাকবে।