ধষের্ণর শেষ কোথায়?

প্রকাশ | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

মো. সিরাজুম মুনির শিক্ষাথীর্, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বতর্মানে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ধষর্ণ। পত্র পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে এই নিমর্ম খবর। এটি যে কত বড় শিহরিত ব্যাপার তা শুধু ধষির্তারাই বোঝে। না পারে তারা সমাজে মুখ দেখাতে না পারে এর প্রতিবাদ করতে। এ যেন বেঁচে থেকে মারা যাওয়ার মতো ব্যাপার। এই জঘন্য বিষয় নিয়ে যত চিন্তা-ভাবনাই করা হোক না কেন একটি প্রশ্নই মাথাই আসে মানুষ কীভাবে অমানুষ হয়ে ওঠে? কি কারণে কী স্বাথের্ সে অন্য মানুষের প্রতি এত নিষ্ঠুর হয়? সে কি তার মা, বোনের কথা একবারও চিন্তা করল না? এদের মানবিকতা বলতে কিছুই নেই। এরা পশুর চেয়েও অধম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় ধষের্ণর শিকার নারীরা দরিদ্র, ক্ষমতাহীন আর প্রভাব প্রতিপত্তিহীন হয়। আর ধষর্করা হয় ধনী, প্রভাবশালী। তারা এত বেশি প্রভাবশালী হয় যে একের পর এক ধষের্ণর মাধ্যমে দেশের প্রশাসনকে তারা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাচ্ছে। শরীরটা আরও শিহরিত হয়ে ওঠে যখন শুনি চার বছরের শিশুকে ধষর্ণ করা হয়। এমনকি ধষর্ণ করেও তারা ক্ষান্ত হয় না। তারা শান্ত হয় শিশুটিকে খুন করে। এটি আমাদের জন্য বড়ই লজ্জাকর। আবার যখন দেখি মাদ্রাসার শিক্ষক সিলেবাস দেয়ার কথা বলে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বাসায় ডেকে ধষর্ণ করে। এরা জাতি গড়ার কারিগর কখনই হতে পারে না। এরা একটি দেশের জন্য গলার কঁাটা। ধষর্ণ অপরাধের একটি পরিসংখ্যান বলছে সারা দেশে গত পঁাচ বছর ধরে ১৯ হাজারটি ধষের্ণর ঘটনা ঘটে। গড়ে প্রতিদিন ১১টি করে এ ক্ষেত্রে শিশুরাই ধষর্ণ ও হত্যার বেশি শিকার। এসব সমস্যা যদি অতি দ্রæত দূর করা না যায় তাহলে কাল পত্রিকায় আমার আপনার মা-বোনের হতিহাস তৈরি হবে।