ডেঙ্গু পরিস্থিতি

কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে

প্রকাশ | ২৬ মে ২০২৩, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ডেঙ্গু নিয়ে শঙ্কা তৈরি হলে তা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগজনক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে যে, বর্ষার আগেই চলতি বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর এজন্য এডিসবাহিত এই রোগ ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সবাইকে সতর্ক এবং সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তথ্য মতে, বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের যা যা করণীয়, তেমন পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়। আমরা বলতে চাই, ডেঙ্গু রোধে করণীয় নির্ধারণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে যেন কোনো ধরনের অনিয়ম রোধ এবং জনসচেতনতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। যখন এটা জানা যাচ্ছে যে, বর্ষার আগেই চলতি বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি- তখন এটি সহজ করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। সঙ্গত কারণেই সার্বিক পরিস্থিতি আমলে নিতে হবে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকর পদক্ষেপও নিশ্চিত করতে হবে। স্মর্তব্য যে, এডিসবাহিত এই রোগ ছড়িয়ে পড় ঠেকাতে পরিকল্পিত পদক্ষেপ জরুরি। এ ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য যেখানে এডিস মশা জন্ম ও বৃদ্ধি পায় সেখানে যেমন ধ্বংস করা দরকার, এর পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতেও কার্যকর উদ্যোগও জরুরি। আমরা মনে করি, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বিবেচনায় রেখে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। এটা ভুলে যাওয়া যাবে না, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ডেঙ্গু রোগের প্রভাব কমবে না। এর আগে এমন আলোচনা উঠে এসেছে- বিভিন্ন কারণে পরিত্যক্ত বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গা দেখভাল ভালোভাবে হয় না। এতে বিভিন্ন জায়গায় এডিসের ঘনত্ব দেখা দেয়। ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের কার্যক্রম চালু রাখতে হবে এবং অভিযান পরিচালনা করতে হবে। উলেস্নখ্য, যেহেতু এডিস মশা সংক্রমিত মশা। এতে এক রোগী থেকে অন্যজন সংক্রমিত হয়ে থাকে। তাই সিটি করপোরেশনকে এই বিষয়টি আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের এমন মতও উঠে এসেছিল, ডেঙ্গু নিধনে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়নি। বাসাবাড়িতে লার্ভা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ মানুষের অসেচনতনার বিষয়টিও আলোচনায় আসে। জনগণের সম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি করার বিষয়টিও সামনে আসে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের আমলে নেওয়া দরকার, চিকিৎসকরাও বলেছেন, সবাই সচেতন না হলে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে রাখা যাবে না। তাই সবাইকে সচেতন হতে হবে। এছাড়া বাড়ির ছাদ, দুই বাড়ির মাঝখানে ময়লা পড়ে থাকা, পানি জমে থাকা, ডেঙ্গুর লার্ভাসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় আসে। আমরা মনে করি, সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ অব্যাহত রাখার কোনো বিকল্প নেই। লক্ষণীয়, এবারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক বলেছেন, গত কয়েক বছরের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে, এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অন্যান্য বছরের কয়েকগুণ বেশি। এছাড়া নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্কতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টিও সামনে এসেছে। ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ অপরিহার্য বলেই প্রতীয়মান হয়। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, যখন এই বিষয়টি সামনে আসছে, বর্ষার আগেই চলতি বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি- তখন এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আমলে নিতে হবে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ এবং তার বাস্তবায়ন যেমন জরুরি, তেমনি জনসচেতনতার বিষয়টিও এড়ানো যাবে না। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ডেঙ্গু রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জারি রাখা বাঞ্ছনীয়। আর সেই লক্ষ্যে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই।