পাঠক মত

কলেজ এমপিওভুক্তি করা হোক

প্রকাশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

মামুন অর রশিদ কাপাসিয়া, গাজীপুর
উচ্চশিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে ও গ্রামাঞ্চলে গরিব মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য সরকার বেসরকারি কলেজগুলোয় অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করে ১৯৯৩ সালে। কিন্তু দুঃখের বিষয় দীর্ঘ ২৭ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও উচ্চশিক্ষা দানে নিয়োজিত এই শিক্ষকদের আজও এমপিওভুক্ত করা হয়নি। শুধু নীতিমালার দোহাই দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো কালক্ষেপণ করছে। এতে বেতন বঞ্চিত হয়ে শিক্ষকরা এক রকম মানবেতর জীবনযাপন করছে। একই এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেখানে ইন্টারমিডিয়েট ও ডিগ্রির শিক্ষকরা এমপিওভুক্ত হতে পারে অন্যদিকে মাদ্রাসা পর্যায়ের কামিল ও ফাজিল কোর্সের শিক্ষকরাও এমপিওভুক্ত হতে পারে সেখানে অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের কেন এমপিওভুক্ত করা হয় না- জাতির বিবেকের কাছে আজ প্রশ্ন? প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদানে নিয়োজিত ৩,৫০০ জন শিক্ষকরা সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগ পেয়েও সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘ দিনের দাবি আদায়ে শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়ের কাছে এসব শিক্ষক এমপিওভুক্তি প্রদানের জন্য একাধিকবার সুপারিশ করেন। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো সুপারিশ এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেননি। শুধু সরকারি নীতিমালার অজুহাতে এসব শিক্ষকদের বঞ্চিত রাখা হয়েছে। সবশেষে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হই, সম্প্রতি উচ্চ আদালত অনার্স-মাস্টার্স পর্যায়ে কর্মরত শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তি প্রদানের জন্য মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিলেও সেটি কার্যকর হয়নি। ২০১৮ সালে নতুন জনবল কাঠামো প্রণয়ন করা হলেও হাইকোর্টের রায়কে অমান্য করে ২০১৩ সালের জনবল কাঠামোর অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তর তা একটি গজামিল নিষ্পত্তি আদেশ দেয়। হাইকোর্টের রায়ে শিক্ষকদের জনবল কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করে এমপিওভুক্তির কথা বলা হলেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা না করে শিক্ষকদের বঞ্চিত করে রেখেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী, নতুন শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ অবিলম্বে এই সব উচ্চশিক্ষাদানে নিয়োজিত শিক্ষকদের আলাদা নীতিমালা প্রণয়ন করে এমপিওভুক্তির ব্যবস্থা করুন।