পাঠক মত

ক্রিকেটে নারীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করুন

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

তানভীর আহমেদ রাসেল শিক্ষাথীর্, ফামেির্স বিভাগ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
বাঙালির আবেগের স্রোত ও ভালোবাসার হাস্যোজ্জ্বল নাম ক্রিকেট। ঘরে বাহিরে, রাস্তা ঘাটে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমনকি সামাজিক যোগাযোগ আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু দেশের ক্রিকেট। ক্রমেই এই আবেগ প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে। উত্তরোত্তর সাফল্যে হাসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট। সেই সঙ্গে হাসছে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতিসহ দেশের লক্ষ কোটি অগনিত ভক্ত। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশসহ বিশ্বের সকল দলকে পরাজিত করে ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে বিশ্ববাসীকে বাতার্ প্রদান করেছে। আগ্রাসী ক্রিকেটের মাধ্যমে নিজেদের শক্তির জানান দিয়ে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট দল এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের ক্রিকেটের সবোর্চ্চ অজের্নর সাক্ষী হয়ে ক্রিকেটের ইতিহাসে স্বণার্ক্ষরে নাম লেখালেন। বাংলাদেশের সবর্প্রথম ১৯৭৯ সালে আইসিসি ট্রফিতে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তজাির্তক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু করলেও প্রথম একদিনের আন্তজাির্তক ক্রিকেট খেলে ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ক্রমেই হঁাটি হঁাটি পা পা করে মসৃণ হতে থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পথচলা। ১৯৯৭ সালে আই, সি, সি চ্যাম্পিয়ন ট্রপি জয় ও ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলার মযার্দা লাভে সফলতার বীজ বপণ করার মাধ্যমে আজকে ক্রিকেটের অন্যতম পরাশক্তি বাংলাদেশ। ছেলেদের ক্রিকেটের ইতিহাস সুদীঘর্ হলেও বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে পথচলা খুব একটা বেশি দিনের নয়। ২০০৭ সালে পথচলা শুরু হলেও টুকরো টুকরো অনেক সাফল্যের অংশীদার বাংলাদেশর প্রমীলা ক্রিকেট তারকরা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আমাদের কাছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ও এর গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস মানে লাল সবুজ জাসিের্ত পরিহিত ১১ জন পুরুষ ক্রিকেটার। বাংলাদেশ পুরুষ ক্রিকেটারদের প্রতি আমাদের আবেগ, ভালোবাসা যতটাই প্রখর ও রঙিন, নারী ক্রিকেটারদের প্রতি ঠিক ততটাই সাদামাটা ও রংহীন। আমাদের এমন নিষ্ক্রিয় ভ‚মিকা ও নারীদের তুলনামূলক পিছিয়ে পড়ার কারণ হলো- অপ্রতুল ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজন, অনিয়ত ক্যাম্প ও ট্রেনিং, মাঠ সংকট, যথা সময়ে লীগ আয়োজনে ব্যথর্তা ইত্যাদি। এত সীমাবদ্ধতার মাঝেও আমাদের সালমা ফারজানারা এশিয়া গেমসে রুপা, সবের্শষ এশিয়া কাপ টি-টোয়ান্টিতে চ্যাম্পিয়নসহ খÐ খÐ অনেক সাফল্যের গৌরবময় অংশীদার। তাই এখন সময় এসেছে নারী ক্রিকেটের গতিপথ বদলানোর। সালমা, ফারজান, রুমানারা যেন অযতœ, অবহেলায় প্রতিভা মেলে ধরার প্রতিবন্ধকতায় যেন শিকার না হয়, সে দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। পুরুষ ক্রিকেটারদের মতো নারী ক্রিকেটারদের সকল সুযোগ সুবিধার আওতাভুক্ত করে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করা একান্ত জরুরি। তা করতে পারলেই পরিপূণর্ আবেগের হাওয়া লাগবে ৫৬ হাজার বগর্মাইলে। সেই আবেগে ভাসবে দেশের ১৬ কোটি আপামর জনতা। এগিয়ে যাক, নারী ক্রিকেট। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ ক্রিকেট।