স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের লাশ

যথাযথ উদ্যোগ নিন

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
একের পর এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে থাকলে তা সন্দেহাতীতভাবেই আশঙ্কাজনক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে। এ ধরনের ঘটনায় একদিকে যেমন দেশের স্বাভাবিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়, তেমনি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্যও তা হয়ে ওঠে পরিপন্থী। আমরা মনে করি, এ ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি রোধে উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। আর তা না হলে সবর্স্তরে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এমন আশঙ্কাও অমূলক নয়। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের হায়দরাবাদ এলাকায় নিজ বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রী ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে এই লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, বাড়িটিতে গিয়ে তারা স্ত্রী ও মেয়ের গলাকাটা এবং স্বামীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, কামাল হোসেন তার স্ত্রী ও মেয়েকে জবাই করে হত্যার পর নিজে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। পারিবারিক কলহের জের ধরেই হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটেছেÑ এমন ধারণা করা হলেও ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানা গেছে। আমরা বলতে চাই, যখন একের পর এক হত্যাকাÐসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে, মানুষ চলে যাচ্ছে না ফেরার দেশে, তখন সাবির্ক এই পরিস্থিতি কোনোভাবেই এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। কেন একের পর এক হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটছে, পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি নেমে আসছে, সেই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে বিচার-বিশ্লেষণ সাপেক্ষে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি বলেই প্রতীয়মান হয়। এটা মনে রাখা দরকার যে, এ ধরনের ঘটনা রোধ না গেলে তা শুধু বতর্মান সময়কেই নয় বরং ভবিষ্যতের জন্যও হয়ে উঠবে আশঙ্কাজনক, যা কাম্য নয়। আমরা মনে করি, এভাবে যখন একটি পরিবারের লাশ মিলছে তখন তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এ ধরনের ঘটনাকে সহজ করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। সঙ্গত কারণেই এবারের ঘটনাটির ক্ষেত্রে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। আমরা বলতে চাই যে, সংশ্লিষ্টদের মনে রাখা দরকার, এরকম ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময়েই পারিবারিক কলহের জের ধরে হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটেছে, এ ছাড়া নানাভাবেই মানুষের নৈতিক অধঃপতনের কারণে, নেশাগ্রস্ত হয়ে, পরকীয়াসহ অনৈতিক সম্পকের্র জের ধরেও হত্যাকাÐসহ বিভিন্ন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যা কোনোভাবেই সহজ করে দেখার সুযোগ নেই। আমরা মনে করি, এ ধরনের ঘটনাগুলো আমলে নিতে হবে এবং পারস্পরিক বিশ্বাস, মানুষের মূল্যবোধ বৃদ্ধি, সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি পারিবারিক কলহ রোধে করণীয় নিধার্রণ সাপেক্ষে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমলে নেয়া সমীচীন, বিভিন্ন সময়েই পত্রপত্রিকায় এমন খবর উঠে এসেছে যে, আশঙ্কাজনক হারে ঘটছে পারিবারিক হত্যাকাÐ। আমরা বলতে চাই, যদি মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল মৃত্যুক‚পে পরিণত হয় তবে তা অত্যন্ত ভয়ানক। বাবা-মায়ের হাতে সন্তান হত্যার ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনি সন্তানের হাতে জন্মদাতা বাবা-মায়ের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। সন্দেহপ্রবণ হয়ে হত্যাকাÐ থেকে শুরু করে নানা কারণেই ঘটেছে খুনের ঘটনা। এ ছাড়া তুচ্ছ কারণেও কারও কারও জীবনে নেমে এসেছে করুণ পরিণতি। যা অত্যন্ত পরিতাপের জন্ম দেয়। সবোর্পরি আমরা বলতে চাই, সামগ্রিক পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার পারিবারিক কলহের জের ধরে কেন একের পর এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছে সেগুলো খতিয়ে দেখে সেই মোতাবেক উদ্যোগ গ্রহণ করা। এমন ঘটনাগুলোকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত হোক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।