রহস্যময়ী শূন্যের সাতকাহন

শূন্য তথা এর প্রতীকী বৃত্ত বা সার্কেলের ব্যাপারে কারও একক কৃতিত্ব নেই। এটি বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতার একটি বস্তুনিষ্ঠ ফসল। এটাকে ঘিরে সবাই কমবেশি চিন্তাভাবনা করেছেন। এ ক্ষেত্রে প্রাচীন গ্রিস, ইরাক, আরব এবং ভারতের কথা সর্বাগ্রে উঠে আসে। বর্তমানে শূন্য কেন গোল হলো এ নিয়ে চিন্তাভাবনার শেষ নেই। অনেকে বলে থাকেন, গোল না হয়ে তো অন্য কোনো প্রতীক হতে পারত; তা কেন হলো না?

প্রকাশ | ০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

মো. আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব
এক. এই তো সেদিন ফার্মগেটের বাস স্ট্যান্ডের পাশ দিয়ে ইন্দিরা রোডের দিকে যাচ্ছিলাম। দেখি, একজন অল্প বয়সী যুবক বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা আরেক বন্ধুকে বলছে, তুই কোথায় যাবি? প্রতু্যত্তরে বন্ধুটি বলল, 'আমি মহাখালী যাবো'। তখন সেই বন্ধুটি বলছে, তুই দেখছি শুধু খালি নয়, একেবারে মহাখালীতে যাবি? তখন তাদের কথা শুনে হঠাৎ মনের কোণে এই মর্মে একটি কথা উঁকিঝুঁকি দিল, খালি বা শূন্য এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে কি আছে? আসলে শূন্য বা খালি বলতে কিছু নেই। চোখে না দেখা গেলেও কিছু না কিছু আণুবীক্ষণিক পদার্থ সর্বস্থানে বিদ্যমান। এটা চিন্তা করার সঙ্গে আরেকটি নতুন ভাবনা হিসেবে মাথায় এসে ভর করল যে সংখ্যা লিপির (ঘঁসবৎরপধষ অষঢ়যধনবঃ) শূন্য বা জিরোর কথা। তখন ভাবলাম, শূন্য সম্পর্কে কিছু একটা লিখলে মন্দ হয় না। মূলত সংখ্যা লিপিতে শূন্য তথা জিরো (তবৎড়) হলে বিস্ময়কর অঙ্ক বা ডিজিট। আসলে এটি অবিদ্যমানতাসূচক চিহ্ন। এর উপরে ধনাত্মক ও নিচে ঋণাত্মক মাত্রা বলে গণ্য করা হয়। আর সেলসিয়াস মানদন্ডে অত্র তাপমাত্রায় পানি জমতে শুরু করে থাকে। যা হোক একে নিয়ে যুগ-যুগান্তর ধরে গবেষণা করে কূল-কিনারা মিলছে না। এদিকে বর্তমানে কম্পিউটার জগতের ভাষা হলো বাইনারি পদ্ধতির আওতায় ০ এবং ১ অর্থাৎ আছে এবং নেই। অনেক মনীষী বলে থাকেন, 'তবৎড় রহ বাবৎুঃযরহম ্‌ বাবৎুঃযরহম রহ ুবৎড়' এই কথাটি যত সহজে বললাম। কিন্তু নিগূঢ় রহস্য ঘেরা এর ব্যাখ্যা অতটা সহজ নয়। এদিকে ০ এবং ১ সংখ্যা শতভাগ সত্য (অনংড়ষঁঃব ঞৎঁঃয) হলেও বাকি ৮টি অঙ্ক (২ থেকে ৯) বা সংখ্যা পুরোপুরি সত্য নয়। এগুলো কেবল চলমান জীবজগতের প্রবাহের গতিময়তায় আনায়ন ও ভুল বোঝাবুঝি নিরসনকল্পে নিশ্চয়তা বিধানের জন্য প্রণীত মাত্র। তাই এগুলোকে আপেক্ষিক সত্য (জবষধঃরাব ঞৎঁঃয) বলে বিবেচনা করা হয়। প্রসঙ্গক্রমে উলেস্নখ্য, চতুর্থ মাত্রা (৪:য উরসবহংরড়হ) সৃষ্টির আগে বস্ন্যাক হোলের মতো শুধু তিনটি মাত্রা (দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা) নিয়ে এই বিশ্বব্রহ্মান্ড চির স্থির এবং অতি মাত্রায় ভর নিয়ে বিরাজ করছিল। কিন্তু ঘটনার পরিক্রমার পথ ধরে যখন বস্তু (গধঃঃবৎ) এবং গতি (গড়ঃরড়হ)-এর মিথস্ক্রিয়ায় চতুর্থ মাত্রা হিসেবে সময় (ঞরসব) সৃষ্টি হলো, তখনই খালি বা শূন্যতার কথা উঠে আসে। এর মধ্যে কত কোটি বছর যে পার হয়ে গেছে, তার ইয়ত্তা নেই। মানুষ এই ধরাধামে সৃষ্টি পর বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে চিন্তা-ভাবনা করতে থাকে। অবশ্য জীব তথা মানবের সৃষ্টির ব্যাপারে ডিম আগে না মুরগি আগে এই ভাবধারায় বিজ্ঞান বা ধর্মের কথা বলতে চাচ্ছি না। মানুষ এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে আছে, এই কথাটাই যথেষ্ট। এই অবনীর ঊষালগ্ন থেকে অনেক সভ্যতার হাত ধরে বর্তমানের অত্যাধুনিক সভ্যতায় এসে দাঁড়িয়েছে। সভ্যতাগুলোর মধ্যে মায়া, ব্যাবিলন, ভারতীয়, মিশরীয়, চৈনিক, গ্রিক, রোমান, আরবীয়, ইত্যাদি উলেস্নখযোগ্য। সত্যি কথা বলতে কি, এই সভ্যতাগুলো একেক দিকে একেকটি মহীয়ান। বিগত সব সভ্যতায় নির্যাসপ্রসূত সুফলের সারথী ধরে আমরা আজ ন্যানো প্রযুক্তিতে বসে অনেক কিছু উপভোগ করছি। যা হোক, এবার আসুন আমাদের প্রতিপাদ্য বিষয়ীভূত 'শূন্য বা জিরো'র কথায় ফিরে আসি। সম্মানিত পাঠক, আপনারা হয়তো সদয় অবহিত আছেন, গ্রিক এবং রোমান সংখ্যা লিপিতে শূন্য ব্যবহার না হলেও, এর সুপ্ত সজীব বীজ হিসেবে এদের মধ্যে বিদ্যমান। তবে অন্যান্য সংখ্যা লিপিতে বৃত্তের (ঈরৎপষব) আদলে শূন্য মাথা উঁচু করে বিজ্ঞান ও ধর্ম উভয়কেই জোর গলায় শাশ্বত কথা বলে যাচ্ছে। এমনকি পঞ্চম মাত্রায়ও (৫:য উরসবহংরড়হ) রয়েছে বিভিন্ন ফর্মে শূন্যের অবাধ বিচরণ। এটা সর্বজনবিদিত যে, শূন্যের আদলে প্রথম বৃত্ত বা গোল ব্যবহার করেছেন প্রাচীন ভারতের পন্ডিত আর্যভট্ট। কিন্তু আসলে কি তাই? এ নিয়ে নানা আঙ্গিকে মতভেদের ঝড় উঠেছে প্রথম থেকেই, যা এখনো অব্যাহত আছে। এ প্রেক্ষাপটে উলেস্নখ্য, যতদূর আমরা তথ্যাদি নিয়েছি, তাতে প্রতীয়মান হয় যে তিনটি সভ্যতায় শূন্যকে নিয়ে যথেষ্ট ভাবনা-চিন্তা করা হয়েছিল। যেমন- মায়া সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা এবং ভারতীয় সভ্যতা। মায়া সভ্যতায় বিভিন্ন আঙ্গিকে শূন্যের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল। দক্ষিণ আমেরিকার এই মায়া সভ্যতায় আদিবাসীরা এই সংখ্যা নিয়ে নাড়া-চাড়া কম করেনি? তৎপর আসে ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, যার সূতিকাগার ছিল প্রাচীন ইরাকে। যদিও ব্যাবিলনীয়রা শূন্য ব্যবহার করত না, তথাপিও শূন্যের আবশ্যকতা হলে কেবল ফাঁকা রাখত। তৎপর কালের পরিক্রমায় কিছুটা এগিয়ে গিয়ে ফাঁক না রেখে দুটি হুক ব্যবহার শুরু করে। যেমন- বর্তমান ২০৮, সেখানে ব্যাবিলনে প্রথমে ২ ৮ তৎপর ২ক্ষ্ণ ৮। তবে যেভাবেই বলি না কেন, শূন্যের ধারণা ও ভাবনা সবার চেয়ে এগিয়ে প্রাচীন ভারতীয়রা। তখন প্রখ্যাত গণিতবিদ ছিলেন ব্রহ্মগুপ্ত, মহাবীর ও ভাস্কর। শূন্যের ব্যবহার নিয়ে যতই মতভেদ থাকুক না কেন। সবার ঊর্ধ্বে এ ব্যাপারে ওয়েটেজ পাওয়া অধিকারী হলো প্রাচীন ভারতীয় এই পন্ডিতরা। শূন্যের আবিষ্কারের সব প্যারামিটার বিবেচনায় এনে মনে করা হয় যে, খ্রিস্টপূর্ব শতাব্দীর ক্রান্তিলগ্নে দশমিক ও অঙ্কপাতন আবিষ্কারের প্রাক্কালে প্রাচীন ভারতে শূন্যের অ্যানাটমির আওতায় গোল বা বৃত্ত সংবলিত শূন্য প্রতীকী রূপ প্রবর্তন করা হয়। এ ক্ষেত্রে এক হতে নয় পর্যন্ত অঙ্ক বা ডিজিট আগেই ছিল, যার পুরোধা ছিলেন স্বয়ং গ্রিক মনীষী পিথারোগাস। কিন্তু ভারতীয় পন্ডিতরা নয় অঙ্কের পর দশ অঙ্কের নাম দেন শূন্য বিন্দু এবং তৎপর সংক্ষেপে কেবল শূন্যের নামে বৃত্ত বা সার্কেল বহাল তবিয়তে স্থান করে নেয়। তবে কেউ কেউ ধারণা করেন যে, আনুমানিক ১৩০ খ্রিস্টপূর্বে শূন্যের প্রতীক হিসেবে প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ টলেমি তার আল মাজেস্ত নামক গ্রন্থে '০' ব্যবহার করেছেন। এদিকে শূন্যের (০) ইংরেজি হলো- তবৎড়, যা এসেছে আরবি আজ-জিফর (অং-ংরভধৎ) শব্দ থেকে। আর এ বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ শূন্যের প্রতীক '০' ব্যবহার করলেও আরবি সংখ্যা লিপিতে এখনো শূন্যের স্থলে বিন্দু (.) ব্যবহার করা হয়। প্রসঙ্গক্রমে উলেস্নখ্য, শূন্যের ব্যাপারে আরবের শ্রেষ্ঠ গণিতবিদ আল খারিজিমি এবং তৎপর বারো শতকে ইবনে এজরার অভিমত প্রণিধানযোগ্য। শূন্যকে নিয়ে তাদের লিখিত গবেষণা প্রসূত অভিসন্ধর্ভ ইউরোপের স্কলাদের নজরে আসে। আর সেই কালে যুগান্তকারী ইটালীয় মহিলা গণিতবিদ ফিবোনাকি (ঋরনড়হধপপর) এ বিষয়ে বই লেখেন, যা সে সময়ে আলোড়নের ঢেউ তোলে। আর বিজ্ঞান যত এগিয়ে যাবে ততই সূক্ষ্ণতা ও পরিশুদ্ধতার নিমিত্ত অনেক ক্যালকুলেশনের পরিবর্তন ঘটবে। যেমনটি ঘটেছে অধুনা কেজি (কম) মাপের মানদন্ডের ক্ষেত্রে। এখন সেখান আগেরটি বাদ দিয়ে বৈদু্যতিক তরঙ্গের আলোকে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য বিজ্ঞানীরা সচেষ্ট হয়েছে। তাই আমি মনে করি অদূর ভবিষ্যতে হয়তো এই ৮টি ডিজিটের কপালে এই অবস্থা চলে আসতে পারে। যা হোক, শূন্যের ক্ষেত্রে ভারত ও আরব, উভয়েরই মহতী কার্যক্রম অনস্বীকার্য এবং প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখে। আর তাদের জ্ঞানগর্ভ ধারণা পরবর্তীকালে পরিপূর্ণ ফসল হিসেবে ধরা দেয় গ্যালিলিও, লেবনিজ, দেকার্তে এবং নিউটনের চিন্তার জগতে। এদিকে বর্তমানে শূন্য দু'ভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে যেমন- ক) শূন্য স্থান নির্দেশক এবং খ) সংখ্যা নির্দেশক হিসেবে। দুই) উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, শূন্য তথা এর প্রতীকী বৃত্ত বা সার্কেলের ব্যাপারে কারও একক কৃতিত্ব নেই। এটি বিশ্বের বিভিন্ন সভ্যতার একটি বস্তুনিষ্ঠ ফসল। এটাকে ঘিরে সবাই কমবেশি চিন্তাভাবনা করেছেন। এ ক্ষেত্রে প্রাচীন গ্রিস, ইরাক, আরব এবং ভারতের কথা সর্বাগ্রে উঠে আসে। বর্তমানে শূন্য কেন গোল হলো এ নিয়ে চিন্তাভাবনার শেষ নেই। অনেকে বলে থাকেন, গোল না হয়ে তো অন্য কোনো প্রতীক হতে পারত; তা কেন হলো না? আমার কাছে যেটা প্রতীয়মান হয়, তা হলো গোল হওয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সভ্যতার আদলে বিজ্ঞান, ধর্ম, সংস্কৃতি, ইত্যাদির নিয়ামকগুলো বিবেচনায় আনা হয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে জ্যোতির্বিজ্ঞানকেও কম গুরুত্ব দেয়া হয়নি? সেহেতু প্রতীক হিসেবে গোল হওয়ার ব্যাপারে যে অনুমিত বিষয়াদি বিবেচনায় আনা হয়েছে, তা তুলে ধরা হলো। যেমন- ক) এই মহাবিশ্বে পরামাণু থেকে শুরু করে বড় বড় গ্রহ-নক্ষত্র পর্যন্ত গোল হিসেবে বিরাজমান; খ) কোনো কিছুর সম্পূর্ণতা আনায়নে ৩৬০০ ডিগ্রির কভার করতে হয়, যা গোল হিসেবে বিদ্যমান; গ) পদার্থবিদ্যার আওতায় সাধারণত কোনো কিছু দূরে নিক্ষেপ করলে শেষ পর্যন্ত তা ঘুরে ঘুরে নিচে পড়ে থাকে; ঘ) বিদু্যতের ব্যাপারে সার্কিট পূরণ না হলে কার্যকর হয় না; ঙ) পবিত্র কাবা শরীফ একবার তাওয়াফ করতে গোলাকারের আওতায় একটি বৃত্ত রচনা করতে হয়; চ) বর্তমান সভ্যতার আদি ভিত্তি চাকা (ডযববষ) সেটা গোলাকার; ছ) অনেকে মনীষীর ধারণা এই বিশ্বব্রহ্মান্ড সৃষ্টির আগে শূন্য ছিল এবং ধ্বংসের পরেও শূন্য হয়ে যাবে। আর এ পর্যায়ে আসতে ৩৬০০ অবশ্যই হতে হবে; জ) সনাতন ধর্মের সুদর্শন চক্র হলো গোলাকার; ঝ) জীব সৃষ্টির অন্যতম ভিত্তি হলো ডিম্বাণু (ঙাঁস), যা প্রায় ক্ষেত্রে গোলাকার হিসেবে পরিলক্ষিত হয়ে থাকে; ঞ) সৌরমন্ডলে সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহগুলোর বৃত্তাকারে প্রদক্ষিণ; ট) এ পৃথিবীর অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ প্রসূত ৩৬০০-এর আওতায় সময় ও দূরত্বের ক্ষেত্রে ১ ডিগ্রি সমান যথাক্রমে ৪ মিনিট এবং ৬৯ মাইল; ঠ) সময়ের ব্যাপারে ঘড়ির ঘণ্টা, মিনিট ও সেকেন্ডের কাঁটা বৃত্তাকারে ঘুরে সময় নির্দেশ করে থাকে; ড) মানুষসহ সমগ্র জীব জগৎ যার সাহায্যে দেখে থাকে, তা হলো 'চোখের মণি' যা সাধারণত গোলাকার থাকে এবং ঢ) ইত্যাদি। সম্মানিত পাঠকরা শূন্যের প্রতীকীর আওতায় গোলাকার নিয়ে যে কতগুলো অনুমিত প্যারামিটার উপস্থাপন করেছি, তা কীভাবে নেবেন, তা আমি জানি না। তবে এগুলো অতটা ফেলনা নয়? একবার হলেও এগুলো মনের গভীরে নিয়ে যদি চিন্তা করেন, তাহলে সঠিকতার ব্যাপারে নিশ্চিতকল্পে সুগম হওয়ার পথ খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। তিন) পরিশেষে এই নিবন্ধে উলিস্নখিত বিষয়াদির আলোকে শূন্য বা গোলাকার হওয়ার পেছনে উপর্যুক্ত বস্তুনিষ্ঠ ধারণা রহস্যময়ী হলেও এর সুদূরপ্রসারী বাস্তবতা আছে। আর এটাই চিন্তা করে হয়তো কম্পিউটারের অর্ধেক ভাষা হিসেবে এই শূন্য সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে অনেক বিজ্ঞানী এই মর্মে বলে থাকেন যে শূন্যের আদলে ধীর গতিতে কোনো বস্তু চলতে থাকলে অনেক সময় বিভ্রান্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই তারা শূন্যবিহীন সংখ্যার কথা ভাবছেন। অনেকে আবার শূন্যবিহীন রোমান ও গ্রিক সংখ্যার কথাও তুলছেন। এর মধ্যে একজন প্রখ্যাত গণিতবিদ শূন্যের পরিবর্তে অন্য কিছু ভাবছেন। ওহ ভরহব, বি ষরশব :ড় পড়হপষঁফব :যধঃ ংুসনড়ষরপ ুবৎড় রং হড়ঃ সবৎব ৎড়ঁহফ, যিরপয ৎবংঢ়ৎবংবহঃং ঢ়ড়ঃবহঃরধষ সুংঃবৎু ্‌ ভধৎ-ৎবধপযরহম ঢ়যড়হড়সবহধ ড়ভ নড়ঃয ংপরবহপব ্‌ ৎবষরমরড়হ. অষঃযড়ঁময রঃং ঢ়ৎধমসধঃরপ পড়হংবয়ঁবহপবং রং নবুড়হফ ড়ঁৎ নৎধরহ ধং ঢ়ৎড়মৎধসসবফ ংড় ভধৎ. মো. আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব: কলাম লেখক