ভয়াবহ সহিংসতার শিকার নারী

আমাদের প্রশ্ন, অপরাধীকে বরখাস্ত কিংবা তাকে গ্রেপ্তার করলেই কি এই ধরনের ঘটনার সমাধান হবে। সমাজে তো প্রায়ই এমন বর্বর ঘটনা ঘটছে। তার প্রতিকার কী উপায়ে হবে। আমাদের কোমলপ্রাণ নিষ্পাপ মেয়েরা কি এভাবেই যৌন হয়রানি, নির্যাতন ধর্ষণ-গণধর্ষণের শিকার হবে? তাদের নিষ্ঠুর কায়দায় পুড়িয়ে মারা হবে, ঠেলে দেয়া হবে আত্মহননের দিকে!

প্রকাশ | ১০ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

সালাম সালেহ উদদীন
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় দগ্ধ মাদ্রাসা ছাত্রীর কী অপরাধ ছিল? তাকে এ ভাবে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হলো। তার অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। চিকিৎসার জন্য নয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড পস্নাস্টিক সার্জারি ইউনিট। যে কোনো সময় অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। শারীরিক অবস্থা যে কোনো দিকে মোড় নিতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা ভালো না। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নুসরাতকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল, এখন লাইফ সাপোর্ট এ আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও শারীরিক অবনতির কারণে তাকে এখনই সিঙ্গাপুরে পাঠানো যাচ্ছে না। উলেস্নখ্য, ফেনীর সোনাগাজীতে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতর ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির (১৮) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকালে সোনাগাজী পৌর এলাকার ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী ওই মাদ্রাসা থেকেই আলিম পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত কক্ষ থেকে ছাদে ডেকে নিয়ে কয়েকজন বোরকা পরা নারী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুদ্দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলা তুলে না নেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। যৌন হয়রানির অভিযোগে করা মামলার জেরে অধ্যক্ষ সিরাজুদ্দৌলার পক্ষের কয়েকজন মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে আমার বোনের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন তার আর্তনাদ শুনে মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা ছাদে ছুটে যায়। পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষার্থীকে আগুনে পোড়ানোর ঘটনায় মর্মাহত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি ওই ছাত্রীর চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করবে বলে জানিয়েছেন। ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার এক ছাত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুদ্দৌলাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন, অপরাধীকে বরখাস্ত কিংবা তাকে গ্রেপ্তার করলেই কি এই ধরনের ঘটনার সমাধান হবে। সমাজে তো প্রায়ই এমন বর্বর ঘটনা ঘটছে। তার প্রতিকার কী উপায়ে হবে। আমাদের কোমলপ্রাণ নিষ্পাপ মেয়েরা কি এভাবেই যৌন হয়রানি নির্যাতন, ধর্ষণ-গণধর্ষণের শিকার হবে? তাদের নিষ্ঠুর কায়দায় পুড়িয়ে মারা হবে, ঠেলে দেয়া হবে আত্মহননের দিকে! পরিবার ও স্থানীয় সূত্র প্রকাশ, ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুদ্দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। মামলার এজাহারে উলেস্নখ করা হয়েছে, ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অধ্যক্ষ তার অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রীকে ডেকে নেন। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। পরে পরিবারের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন অধ্যক্ষ। সেই মামলা তুলে না নেয়ায় অধ্যক্ষের লোকজন ওই ছাত্রীর গায়ে আগুন দিয়েছে। এ দেশে যেখানে প্রধানমন্ত্রী নারী স্পিকার নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বিচারপতি নারী, মেয়র নারী, বিজিএমইয়ের সভাপতি নারী সে দেশে নারীর প্রতি এমন অবমাননা মেনে নেয়া যায় না। মনে রাখতে হবে, নারীর সবচেয়ে গস্নানিময় অপমানসূচক অধ্যায় হচ্ছে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া। এ দেশের নারীরা যৌন নির্যাতনের শিকার নানাভাবে হতে পারে। তবে এর দুটো দিক রয়েছে। মানসিক ও শারীরিকভাবে যৌন নির্যাতন। যে নারীর শরীর যত আকর্ষণীয় ও লোভনীয় তার নির্যাতন ঝুঁকি তত বেশি। এ ধরনের নারী যখন রাস্তায় চলে তখন বখাটে ছেলেরা শরীরকে লক্ষ্য করে বাজে ইঙ্গিত করে। বিশেষ অঙ্গকে উদ্দেশ্য করে অশালীন মন্তব্য ছুড়ে দেয়। যা শুনলে ওই নারীর কান গরম অথবা রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। কেবল তাই নয়, একশ্রেণির রাস্তার পুরুষ রয়েছে, তারাও নারী দেখলেই কেবল গান গায়। গানের ভাষা খুবই বিশ্রি। সুন্দরী নারী দেখলে পুরুষ মন আন্দোলিত, বিমোহিত ও রোমাঞ্চিত হবে এটা স্বাভাবিক এবং পুরুষের সহজাত প্রবৃত্তি। কিন্তু এই স্বাভাবিক ও শালীনতাকে অতিক্রম করে সমাজের একশ্রেণির বখাটে নারীর ওপর অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে। শুধু তাই নয়, যৌনতাড়িত হয়ে স্কুল-কলেজগামী মেয়েদের পথরোধ করে দাঁড়ায়। কাউকে কাউকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে জোর করে তুলে নিয়ে যায়, অপহরণ করে, এমনকি ধর্ষণ গণধর্ষণের শিকারও হয় কেউ কেউ। এর পাশাপাশি এসিড ও আগুন সন্ত্রাস তো আছেই। রাস্তার বখাটেরাই যে কেবল যৌন নির্যাতন করে তা নয়, এই অসুস্থ ও বিপজ্জনক প্রবণতা সংক্রামক ব্যাধির মতো এখন উচ্চশিক্ষিত পুরুষদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন এমনকি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও এর বাইরে নয়। এই প্রশ্ন করা অমূলক নয়, বখাটে দুর্বৃত্তদের সাথে এদের পার্থক্য তা হলে কোথায়? সমাজে কারো ওপরই আর আস্থা রাখা যাচ্ছে না। নারী নিরাপত্তার ব্যাপারে, তার সম্ভ্রম রক্ষার ক্ষেত্রে কাউকেই আর নির্ভর করা যাচ্ছে না। \হকেবল মাদ্রাসা ছাত্রী নয়, এর আগে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিলেট শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কজন শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় একাধিক শিক্ষকের চাকরিও চলে গেছে। ভিখারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক পরিমল কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা তো সবারই জানা। নারীকেন্দ্রিক সামাজিক অবক্ষয়ের মাত্রা বিপজ্জনকভাবে সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে ঠিক যেন মহামারির মতো। সমাজের শিক্ষিত অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত নির্বিশেষে সবাই যেন নারীদের অবমাননার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। নারীরা প্রথমে নিকটাত্মীয় বা দূরাত্মীয় কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়। শৈশবে আদর সোহাগ করার নামে অনেক আত্মীয় যৌন হয়রানি করে থাকে। নারীরা শরীর বিষয়ে প্রথম হোঁচট খায় আত্মীয়দের দ্বারাই। এটাকে অনেকে দুর্ঘটনা বললেও প্রথম জীবনের এসব অপ্রীতিকর ঘটনা কোনো নারীই ভুলতে পারে না। তবে বিবাহিত জীবনে নারী স্বামী কর্তৃক যৌন নির্যাতনের বা হয়রানির শিকার হয় সবচেয়ে বেশি। এই নির্যাতনের কথা সে অন্য কারো সঙ্গে শেয়ারও করতে পারে না। কেবল স্বামী নয়- দেবর, ভাসুর, শ্বশুর কর্তৃকও অনেকেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। এমনও স্বামী রয়েছে, স্ত্রীর শরীর বিষয়ে অনাগ্রহ প্রকাশ করলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এমনকি তাকে তালাকও দেয়া হয়। যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্য স্বামী দ্রম্নত অন্য একটি বিয়ে করে। এ দেশে নিজ গৃহে, রাস্তাঘাটে যৌন নির্যাতন তো একেবারেই সাধারণ ব্যাপার। রিকশায় সুন্দরী মহিলা যাত্রী। অন্য রিকশাওয়ালার সঙ্গে কোনো বিষয়ে বাগবিতন্ডা হলো তো মাকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল গালাগালি শুরু হয়ে গেল। এর মাধ্যমে নারী যাত্রী কেবল যৌন হয়রানির শিকার হলো তাই নয়, রিকশাওয়ালা এক ধরনের বিকৃত সুখ পেল। পাবলিক বাসে এই চিত্র আরো ভয়াবহ। সেখানে নারীর সংখ্যা বেশি থাকে। অথচ বাসভর্তি লোকের সামনে চালক স্ত্রীবাচক সব অশ্লীল গালি শুরু করে দেয়। এর ফলে বাসের ভেতরের নারীরা খুবই বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায়। বাস ও রিকশাচালকরা বিকৃত মানসিকতা নিম্নরুচি ও সংস্কৃতির অধিকারী। তাদের সেই রুচি ও সংস্কৃতিকে চাপিয়ে দিতে চায় নারীর ওপর। এটি এক ধরনের গর্হিত অপরাধ। যেসব নারী অফিসে চাকরি করে, আর যদি সে সুন্দরী হয়, হয় স্বামী পরিত্যক্তা কিংবা বিধবা, তার রক্ষা নেই। অফিসের বস ঘন ঘন তাকে রুমে ডাকবেন। তার সঙ্গে ঘুরতে যেতে বলবেন। কোনো নিরিবিলি জায়গায় আলাদা সাক্ষাতের কথাও বলবেন। কোনো কোনো বস রাখডাক না করে সরাসরি শারীরিক প্রস্তাব দেবেন। এমনও বস রয়েছেন যিনি, সহকর্মী বা অধীনস্থ নারীকে রুমে ডেকে নেট থেকে অশ্লীল ছবি দেখাবেন। শাড়ি, গহনা, টিপ লিপস্টিকের প্রশংসা করতে গিয়ে বলবেন, আজ যে রঙের লিপস্টিক ঠোঁটে লাগিয়েছ তাতে তোমাকে সেক্সি মনে হচ্ছে। চলো আজ দুজনে নিরিবিলি কোথাও বসি, তোমার বাসা খালি থাকলে সেখানেও হতে পারে। এক জরিপে দেখা গেছে, শতকরা ৩০ ভাগ নারী যৌন নির্যাতনের কারণে চাকরি ছেড়ে দেয়। আবার যেসব নারী বসদের সঙ্গে আপস করে কিংবা তাদের কথামতো চলে তাদের দ্রম্নত পদোন্নতি হয়। সমাজে বিশেষ একশ্রেণির নারী রয়েছে যারা, অশ্লীল কথা বলতে এবং শুনতে খুব পছন্দ করে। এটা এক ধরনের বিকৃত রুচি। এই বিকৃত রুচির বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে এক ধরনের তৃপ্তি পাওয়াই তাদের প্রধান লক্ষ্য। তবে রাস্তাঘাটে, রাত বিরাতে যেসব মেয়ে একাকী চলে তাদের জীবন ঝুঁকি বেশি এবং তারাই নিরাপত্তাহীনতায় বেশি ভুগে। এরা কেবল যৌন নির্যাতনেরই শিকার হয় না, শিকার হয় ধর্ষণেরও। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে রাত ১২টায় কোনো সুন্দরী নারী একা চললেও তার নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট দিনাজপুরের দশ মাইল এলাকায় পুলিশ কর্তৃক ইয়াসমিন ধর্ষণের শিকার হয়। এই ঘটনায় দেশের নারী সংগঠনগুলোও সিভিল সমাজ ফুঁসে উঠেছিল। ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার অপরাধে পুলিশের বিচার হলেও দেশে নারী নির্যাতনের মাত্রা এখনো একই রয়ে গেছে। বরং ক্ষেত্র বিশেষে বেড়েছে। ইয়াসমিনের ঘটনার পর আরো বহু মেয়ে ধর্ষণ-গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। বাসের হেলপার, কন্ডাক্টর, এমনকি ড্রাইভারও এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িত। একা কোনো মহিলা যাত্রী রাতের বেলা পেলে তারা নির্যাতন ও ধর্ষণের ফন্দি আঁটে। সম্প্রতি তারা গণধর্ষণের পর একাধিক নারীকে হত্যা করেছে। বাবা-মাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মেয়েকে তাদের চোখের সামনে ধর্ষণ করা হয়েছে। একই কায়দায় ধর্ষণ-গণধর্ষণ করা হয়েছে স্ত্রীকেও। এর চেয়ে নিষ্ঠুর ঘটনা আর কী হতে পারে। তাও আবার ঘটেছে এই বাংলাদেশে। সমাজে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা এতই বেড়ে গেছে যে, এর থেকে পরিত্রাণের কোনো রাস্তাই যেন খোলা নেই। এটি ভয়াবহ এক সামাজিক অবক্ষয় এবং নারীর প্রতি চূড়ান্ত অবমাননা। এর মাধ্যমে নারীর জীবনে কেবল কলঙ্ক তিলকই পড়ছে না, তাদের জীবনও চলে যাচ্ছে। অথচ এই জীবন রক্ষার দায়িত্ব সমাজ ও রাষ্ট্রের। যতদিন দেশের মানুষ উন্নত রুচি ও সংস্কৃতির অধিকারী না হবে তাদের দৃষ্ঠিভঙ্গির পরিবর্তন না হবে ততদিন নারী যৌন হয়রানি, নির্যাতন ও ধর্ষণ-গণধর্ষণের শিকার হবেই। আগুনেও পুড়ে মরবে অত্যন্ত নিষ্ঠুর কায়দায়। সরকারের কঠোর পদক্ষেপই কেবল পারে নারীর এ ধরনের অবমাননা সহিংসতা থেকে মুক্তি দিতে। সামাজিক পরিবেশ অত্যন্ত বৈরি ও বিপদসঙ্কুল, তবুও আমরা আশাবাদী। সালাম সালেহ উদদীন: কবি, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক