কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ টাকা বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন
প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
কোনোভাবেই নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে না। সরবরাহ সংকটের অজুহাতে এবার বাড়ানো হয়েছে কাঁচামরিচের দাম। খুচরা বাজারে এখন কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগেও ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। কদিন আগেও ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম বেড়েছে আলু-আদারও। ডিমের দাম অনেক দিন থেকেই বৃদ্ধি। এক হালি ডিম ৬০ টাকা। এছাড়া বাজারে সব সবজিই বিক্রি হচ্ছে অতিরিক্ত দামে। ফলে, নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। তাদের খরচ করতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ঈদের পর বাজারে তদারকি সংস্থার কার্যক্রম একেবারে নেই। যে কারণে বিক্রেতারা কৌশল করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। আর ভোক্তার পকেট থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা।
ক্রেতার অভিমত, ঈদের পর বাজারে এসে এক প্রকার হতবাক হয়েছি। অন্যান্য পণ্য কিনে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ কিনতে এসে দেখি দাম আকাশচুম্বী। এমন পরিস্থিতিতে ঈদের পরে প্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। একেবারে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা নিত্যপণ্যের দরে ঊর্ধ্বগতিতে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। গরম মসলার বাজারে এ বছর সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এলাচের। গত বছরের তুলনায় এখন মসলাটির দর প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি। মানভেদে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬শ' থেকে ৪ হাজার ২শ' টাকা। গত বছর এ দর ছিল ১ হাজার ৬শ' থেকে ২ হাজার ৪শ' টাকা। খুচরা বিক্রেতারা বলেছেন, এখন ডলারের দাম বেশি। বিশ্বব্যাপী মসলার দাম বেশি। মসলা আমদানিতে পরিবহণ খরচ বেড়েছে। এসব কারণে দাম বেড়েছে।
বিশ্ববাজারে পণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি ঘটে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্যহ্রাসের কারণে অনেক দেশে পর্যায়ক্রমে নেমে আসে। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি উল্টো আরও বাড়তে থাকে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির ওই ধারা অব্যাহত আছে এখনো। এ ব্যাপারে কারো যেন কোনো মাথাব্যথা নেই। ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে, তারপরেও কেন এত দাম। অথচ বাজারে পণ্যটির কোনো সংকট নেই। একইভাবে সংকট নেই ডিম, আলু ও পেঁয়াজের। এর জন্য মূলত দায়ী বাজার সিন্ডিকেট। এরা একেক সময় একেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে জনগণের পকেট কাটে। জনগণ তাদের কাছে অসহায় ও জিম্মি।
আমরা মনে করি, বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরাতে না পারলে দেশের জনগণ এ থেকে মুক্তি পাবে না। উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে হলে দ্রম্নত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। বন্ধ করতে হবে বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। এ জন্য নিয়মিত বাজার তদারকি জরুরি।