নদী সংস্কার চাই
প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৪
ওমর ফারুক রাদি কিশোরগঞ্জ
কিশোরগঞ্জের প্রধান প্রধান নদীসমূহের মধ্যে নরসুন্দা অন্যতম। এই নদীর তীরে কিশোরগঞ্জের প্রধান শহর অবস্থিত। এক সময় এই নদীর যৌবন থাকলেও বর্তমানে এই নদীটি মৃতপ্রায়। ৬০ কিমি দৈর্ঘত ও প্রায় ৮০ মিটার প্রস্থ নদীটি এখন আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা, বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকের বর্জ্য পদার্থ, বিভিন্ন শিল্প কারখানার অব্যবহৃত পদার্থ, কাঁচাবাজারে উচ্ছিষ্ট ময়লা, জবাই করা পশুর বর্জ্য সবকিছুই ফেলানো হয় নরসুন্দা নদীতে। নদীর পানিতে বিপুল পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ নিক্ষেপের কারণে নদীর পানির রং কালো বর্ণ ধারণ করেছে এবং দূষিত পানি হওয়ার কারণে আশপাশের এলাকাগুলোতে মশার প্রাদুর্ভাব বেশ লক্ষণীয়। ময়লার স্তূপ ও দুর্গন্ধের কারণে ওয়াকওয়েগুলোতে হাঁটাচলা করা যাচ্ছে না। মাত্রাতিরিক্ত ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে শহরে বায়ু দূষিত হচ্ছে এবং রোগ-জীবাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৬ সালে ১১০ কোটি টাকার বিনিময় নদী সংস্কার হলেও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে তা আবার ভরাট হয়ে গেছে। দূর থেকে দেখে মনে হয়, এ যেন এক বিস্তৃর্ণ ফাঁকা সবুজ মাঠ। নদীর ওপর ব্রিজের পাশে ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও কেউ কারুপণ্য করছে না। বর্তমানে এই নদী এবং এর আশপাশের অবস্থা খুবই শোচনীয়।
নদীর সৌন্দর্য, অবকাঠামো ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে উপজেলা ও জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পরিকল্পিত নীতিমালা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করতে পারলে প্রায় হারিয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীকে পূর্ণ জীবিত করা সম্ভব। এ জন্য জনসচেতনতা ও সবার একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন।
ওমর ফারুক রাদি
কিশোরগঞ্জ