মেট্রোরেলের অগ্রগতি ৪০ শতাংশ

যথাসময়ে কাজ শেষ হোক

প্রকাশ | ২১ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সড়কজুড়ে দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। অধিকাংশ পিলারের ওপর বসছে স্প্যান। আর যেভাবে এগিয়ে চলেছে মেট্রোরেলের কাজ, তাতে এটি এখন আর স্বপ্নে নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই অগ্রগতির বিষয়টি অত্যন্ত ইতিবাচক বাস্তবতাকেই স্পষ্ট করে। বলা দরকার, মেট্রোরেলের প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল পাইলিং। কিন্তু এটাই এখন বাস্তবতা- সব চ্যালেঞ্জ জয় করে প্রতিনিয়তই এগিয়ে যাচ্ছে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যাচ্ছে যে, উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মিরপুর, শেওড়াপাড়া এবং আগারগাঁওয়ে পিলারের ওপর দৃশ্যমান হয়েছে স্প্যান। প্রসঙ্গত আমরা উলেস্নখ করতে চাই, ম্যাসর্ যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-৬) নির্মাণকাজ হচ্ছে দুটি ধাপে। উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও রুটে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়েই সম্পন্ন হবে বলে দাবি করছে মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। আমরা মনে করি, এই প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়েই সম্পন্ন হওয়ার যে দাবির বিষয় সামনে আসছে তা সুখকর। যথাযথভাবে কাজ সম্পাদনের মধ্যদিয়ে যথাসময়ে কাজ শেষ হোক এমনটি আমাদেরও প্রত্যাশা এবং তা জরুরিও। কেননা, এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, প্রকল্পের কাজে ধীর গতি কিংবা যথাযথ সময়ে কাজ শেষ না হলে ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে, যা কাম্য হতে পারে না। এ ছাড়া প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী (পূর্ত), বলেছেন, 'আশা করা যাচ্ছে, নির্দিষ্ট সময়েই প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন করতে পারব।' উলেস্নখ্য, ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ সংশোধিত পরিকল্পনা অনুযায়ী পুরোদমে এগিয়ে চলেছে। তবে সার্বিক গড় অগ্রগতি ২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। উত্তরা নর্থ থেকে আগারগাঁও মেট্রোরেলের এই অংশ প্যাকেজ-৩ এবং প্যাকেজ-৪ এর আওতায়। মোট দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৭৩। এই অংশে মোট ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। আর উভয় প্যাকেজের কাজ ২০১৭ সালের ১ আগস্ট শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিষেবা স্থানান্তর, চেকবোরিং, টেস্ট পাইল এবং মূল পাইলও সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া মোট ৭৬৬টি পাইল ক্যাপের মধ্যে ৬০০টি পাইল ক্যাপ, ৩৯৩টি পিয়ার হেডের মধ্যে ৩০৩টি পিয়ার হেডের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১০৮টি আই-গার্ডারের মধ্যে ৯৬টি আই-গার্ডার, ৫ হাজার ১৪৯টি প্রিকাস্ট সেগম্যান্ট কাস্টিংয়ের মধ্যে ২ হাজার ৫৪৯টি প্রিকাস্ট সেগম্যান্ট কাস্টিং নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ৩ হাজার ৯৩০ মিটার ভায়াডাক্ট দৃশ্যমান হয়েছে। প্যাকেজ-৮ এর আওতায় রেল কোচ ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের কাজও এগিয়ে চলছে। এই প্যাকেজের বাস্তব কাজ ২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল। আমরা উলেস্নখ করতে চাই যে, যখন এমন বিষয়ও সামনে এসেছে- সংশোধিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে এবং চলতি বছরেই স্বপ্নের মেট্রোরেলে চড়বে ঢাকাবাসী; তখন আমরা মনে করি এই বিষয়টি অত্যন্ত ইতিবাচক। সঙ্গত কারণেই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং পুরোদমে কাজকে এগিয়ে নেয়ার মধ্যদিয়ে সংশ্লিষ্টরা যথাসময়ে কাজ শেষ করবে এমন চাওয়া আমাদেরও। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, রাজধানী ঢাকায় নানা সংকট বিদ্যমান। যানজট থেকে শুরু করে নগরবাসীর দুর্ভোগের বিষয়টিও নতুন নয়। ফলে সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে মেট্রোরেলের গুরুত্ব কতটা বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সড়কজুড়ে যেভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল এবং ইতোমধ্যে অগ্রগতি ৪০ শতাংশ হয়েছে, এমনটিও যখন জানা যাচ্ছে; তখন তা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নেয়া এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে যথাসময়ে সংশ্লিষ্টরা মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শেষ করবে এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।