কৃষকের মুখে হাসি নেই

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কৃষিপ্রধান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। কৃষকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলান। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ভয়াবহ সমস্যা সামনে রেখেও হাজার হাজার টাকা ইনভেস্ট করে কৃষক ফসল ফলানোর কাজে নির্দ্বিধায় নেমে পড়েন। মহান স্রষ্টার নেয়ামত লাভের আশার ফসল ফলানোর কাজে কঠোর পরিশ্রমে নেমে পড়েন। কৃষকের সব কষ্ট দূর হয়ে যায় গোলা ভরা ধান দেখে। মুখে রঙিন হাসি ফোটে সোনালি ফসল দেখে। কিন্তু সেই হাসি ম্স্নান হয়ে যায় ধান বিক্রি করতে গিয়ে। উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে ধান বিক্রি করতে শোকে পাথর হয়ে যাচ্ছে কৃষকরা। ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে কৃষকরা কি নিয়ে বাঁচবে। চলতি মৌসুমে কৃষকের মুখের তরতাজা হাসি কেড়ে নিয়েছে বর্তমান বাজার। উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। ১ কেজি গরুর মাংসের চেয়েও কৃষকের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কষ্টার্জিত উৎপাদিত ফসলের দাম কম। মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে ধান বিক্রি করতে কৃষকদের চোখের জল টলমল করছে। অসহায় ও নিরুপায় হয়েই কৃষকদের অল্প দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। লেবারের পারিশ্রমিক দিতেই ফসলের সব ধান বিক্রি করতে হয়। কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, তবেই পাবো সোনার বাংলাদেশ। কিন্তু সেই কৃষকই যদি না বাঁচে তাহলে সোনার বাংলাদেশ কীভাবে গড়বো। কৃষক বাঁচানোর উদ্যোগ যদি সরকার গ্রহণ না করে তাহলে কৃষকের আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। বর্তমান সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার ঘোষণা দিলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। গুটি কয়েক জেলায় জেলা প্রশাসক সরাসরি ধান কেনার উদ্যোগ নিলেও তা ছিল যৎসামান্য। উত্তরবঙ্গের নীলফামারী জেলাসহ অন্য সব জেলায় সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার ব্যবস্থা গ্রহণ করে কৃষক বাঁচানোর মহৎ উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। মো. আজিনুর রহমান লিমন ডিমলা, নীলফামারী