সৌন্দর্যের পুঁজিবাদ

সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতিই সবচেয়ে কার্যকর। পর্যাপ্ত পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ঘুম ও নিয়মিত ব্যায়াম ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

হালিমা আক্তার হানি
সৌন্দর্য চিরকালই মানুষের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু। আদিকাল থেকে মানুষ নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য নানা পদ্ধতি প্রয়োগ করে আসছে। পুরুষ ও নারী উভয়ই নিজ নিজ সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য পোশাক, অলংকার এবং প্রাকৃতিক প্রসাধনী ব্যবহার করতেন। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতায় চোখের সাজের জন্য কাজল এবং চুলের জন্য বিশেষ তেল ব্যবহার করা হতো। গ্রিক ও রোমান যুগে বিশেষ স্নান এবং ত্বক পরিচর্যা প্রচলিত ছিল। বর্তমানে সৌন্দর্য চর্চায় প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়েছে। প্রসাধনী সামগ্রী, মেকআপ, চুলের রঙ, স্কিন কেয়ার এবং আধুনিক সার্জারির মাধ্যমে মানুষ তার সৌন্দর্যকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সৌন্দর্য চর্চার চাহিদা আরও বেড়েছে। তবে এই সৌন্দর্যের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ কখনো কখনো মানসিক চাপ, খরচ বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রতি অনাগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে। প্রকৃত সৌন্দর্য হলো মানসিক উন্নতি, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং আত্মবিশ্বাস। সৌন্দর্য চর্চা হওয়া উচিত ভারসাম্যপূর্ণ এবং সচেতন। বর্তমান সময়ে সৌন্দর্য বৃদ্ধির লোভ মানুষের মধ্যে বেড়ে গেছে। ছেলেমেয়ে উভয়েই নিজেকে আকর্ষণীয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করছে বিভিন্ন দেশীয় প্রসাধনী পণ্য। এসব পণ্যের মধ্যে অনেকেই আকৃষ্ট হয় সহজলভ্যতা, সস্তা মূল্য এবং তাৎক্ষণিক ফলাফলের জন্য। ত্বক উজ্জ্বল করা, ব্রণ কমানো বা মসৃণতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে এসব পণ্য মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করে। কিন্তু এগুলোর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী নয়, বরং পরবর্তীতে ত্বকের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব পণ্যের অধিকাংশই অজানা রাসায়নিক উপাদানে তৈরি, যেগুলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। এগুলোর মধ্যে সিলিকন, পারাবেন, সীসা, স্টেরয়েড, এমনকি অ্যান্টিবায়োটিকের মতো উপাদান ব্যবহার করা হয়। এসব উপাদান প্রথমদিকে ত্বক উজ্জ্বল বা সুন্দর দেখালেও দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের প্রাকৃতিক গঠনকে নষ্ট করে দেয়। ত্বকে পিগমেন্টেশন, অ্যালার্জি, ব্রণ,র্ যাশ এবং অকালবার্ধক্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই ত্বকের স্থায়ী ক্ষতি হয়, যেমন দাগছোপ, সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি, এমনকি ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ত্বকের যত্নে এসব পণ্যের অতিরিক্ত ব্যবহার এখন একটি সাধারণ চর্চা হয়ে উঠেছে। তারা বিজ্ঞাপনের মোহে পড়ে বা অন্যের প্রভাবে এসব পণ্য ব্যবহারে উৎসাহী হয়। অনেকেই ত্বকের প্রকৃত চাহিদা না বুঝে এবং চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন, যা সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতিই সবচেয়ে কার্যকর। পর্যাপ্ত পানি পান, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়াম ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, প্রসাধনী ব্যবহার করতে হলে ভালো ব্র্যান্ড এবং ডার্মাটোলজিক্যালি পরীক্ষিত পণ্য বেছে নেওয়া উচিত। চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ত্বকের যত্ন নিলে ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে। সৌন্দর্যের প্রতি অতিরিক্ত লোভে পড়া নয়, বরং ত্বকের স্বাস্থ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখার প্রতি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। ধরা যাক, মানুষকে বিচার করা হবে কেবল তার সৌন্দর্যের ভিত্তিতে। এমন পরিস্থিতি বিশ্বের কিছু সমাজে বাস্তব, যার মধ্যে অন্যতম হলো দক্ষিণ কোরিয়া। এই দেশটি তার কসমেটিকস ইন্ডাস্ট্রি এবং 'কে-বিউটি' সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। তবে এই সৌন্দর্যচর্চার আড়ালে রয়েছে এক ভয়াবহ সামাজিক চাপ। মেয়েদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে- কর্মক্ষেত্র, সামাজিক অবস্থান, এমনকি বিবাহেও তাদের শারীরিক সৌন্দর্যকে প্রধান মানদন্ড ধরা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় সৌন্দর্যের আদর্শ বলতে বোঝায় ফর্সা ত্বক, চিকন গড়ন, নিখুঁত চেহারা এবং আকর্ষণীয় শরীর। এই আদর্শে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য মেয়েরা অসংখ্য স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করে, কসমেটিক সার্জারি করায় এবং কঠোর ডায়েট ফলো করে। কারণ, সেখানে বিশ্বাস করা হয় যে সুন্দর মেয়েরা দোকানে ডিসকাউন্ট পায়, ভালো চাকরি পায় এবং বিবাহের বাজারে তাদের চাহিদা বেশি। আর যারা এই আদর্শে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে না, তারা প্রায়ই সামাজিকভাবে বঞ্চিত হয়। তাদের অনেককেই কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে হয়, তারা আত্মবিশ্বাস হারায় এবং সমাজে নরকসম জীবনযাপন করে। মানুষের প্রকৃত সৌন্দর্য তার মেধা, আচরণ এবং সৃজনশীলতার মধ্যে নিহিত। একটি সমাজ যতক্ষণ সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিয়ে মানুষের মান বিচার করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই সমাজে সমতা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। দক্ষিণ কোরিয়া কেবল তার প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির জন্য নয়, বরং কসমেটিক সার্জারির জন্যও বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত। 'কে-বিউটি' এবং সৌন্দর্যচর্চার প্রতি দেশটির আগ্রহের ফলে এটি বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম কসমেটিক সার্জারি কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এখানে শুধু দেশীয় নাগরিকরাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষও সৌন্দর্যের আদর্শে নিজেকে বদলাতে ছুটে আসে। বিশেষ করে সিউলের বিখ্যাত গ্যাংনাম স্টেশন এলাকা কসমেটিক সার্জারির জন্য পরিচিত। এই এলাকায় সার্জারি ক্লিনিকগুলোর সংখ্যা এত বেশি যে এটি 'বিউটি হাব' নামে খ্যাত। গ্যাংনাম স্টেশনের কাছাকাছি গেলে দেখা যায়, ব্যান্ডেজ মোড়া মুখ নিয়ে দেশি-বিদেশি মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। চোখ বড় করা, নাক উঁচু করা, চোয়াল সরু করা, এমনকি পুরো মুখমন্ডলের কাঠামো বদলে দেওয়ার মতো সার্জারি এখানে খুব সাধারণ বিষয়। বর্তমানে পৃথিবীর মোট পস্নাস্টিক সার্জারির এক-তৃতীয়াংশই দক্ষিণ কোরিয়াতে হয়ে থাকে। এই সার্জারিগুলো কেবল সৌন্দর্যের জন্যই নয়, বরং অনেকের কাছে সামাজিক বা পেশাগত জীবনে উন্নতির মাধ্যম হিসেবে দেখা হয়। কারণ, দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজে চেহারা এবং সৌন্দর্যের প্রতি যে গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাতে সার্জারি করিয়ে 'আদর্শ' সৌন্দর্য অর্জন অনেকের কাছে প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি পর্যটকরাও সৌন্দর্যের এই 'স্বপ্ন' বাস্তবায়নে দক্ষিণ কোরিয়ার শরণাপন্ন হয়। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান এবং মধ্যপ্রাচ্যের মানুষ কসমেটিক সার্জারির জন্য দক্ষিণ কোরিয়ায় এসে থাকে। এখানকার সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের সার্জারি এবং দক্ষ সার্জনদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। তবে এই প্রবণতা সমাজে সৌন্দর্যের প্রতি অতিরিক্ত চাপ ও বৈষম্যের ধারণা বাড়াচ্ছে। সৌন্দর্য অর্জনের জন্য অস্ত্রোপচার মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সৌন্দর্যের এই আরোপিত ধারণা বদলাতে হলে ব্যক্তি এবং সমাজ উভয়েরই সৌন্দর্যের প্রকৃত অর্থ নিয়ে ভাবা জরুরি। দক্ষিণ কোরিয়ায় সৌন্দর্যের প্রতি চরম গুরুত্ব দেওয়া সমাজব্যবস্থার একটি ভয়াবহ দিক হলো আত্মহত্যার উচ্চ হার। সৌন্দর্য অর্জনের জন্য কসমেটিক সার্জারি এখানে একটি সাধারণ চর্চা হলেও, এটি সবার জন্য সহজলভ্য নয়। যাদের আর্থিক সামর্থ্য নেই, তারা এই 'আদর্শ সৌন্দর্য' ধারণার বাইরে থেকে যায় এবং সমাজে অবহেলা ও বৈষম্যের শিকার হয়। এর ফলস্বরূপ, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে অনেকেই মানসিক চাপ, হতাশা এবং বিচ্ছিন্নতার শিকার হন। ২০২৩ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় শুধু সৌন্দর্য বা চেহারাজনিত কারণে সামাজিক অবহেলা ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন ১৩,৯৭৮ জন মানুষ, যা দেশের জন্য একটি ভয়াবহ সংকেত। কর্মক্ষেত্রে অগ্রগতি না পাওয়া, সামাজিকভাবে মূল্যায়িত না হওয়া এবং বিবাহের মতো ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রেও প্রত্যাখ্যাত হওয়া তাদের জীবনে নরকতুল্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এই নির্মম বাস্তবতা কেবল আর্থিক দুর্বলতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সমাজের গভীরে নিহিত সৌন্দর্যকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির ফল। মানুষকে তার মেধা, যোগ্যতা বা মানবিক গুণাবলির চেয়ে বাহ্যিক সৌন্দর্যের ভিত্তিতে বিচার করার এই প্রবণতা কোরিয়ান সমাজকে একটি কঠোর এবং অমানবিক পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বাংলাদেশেও সৌন্দর্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। সৌন্দর্যকেন্দ্রিক এই প্রবণতা এখন কেবল সমাজের উচ্চবিত্ত বা শহরকেন্দ্রিক মানুষদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি দেশের প্রায় সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। চিকন গড়ন, উজ্জ্বল ত্বক এবং নির্দিষ্ট সৌন্দর্যের মানদন্ডকে আকর্ষণীয় হিসেবে ধরা হচ্ছে। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশের অনেক মেয়েই নিজের ত্বক এবং শরীরকে এই আদর্শে মানিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট, ফেয়ারনেস ক্রিম এবং ডায়েট সাপিস্নমেন্ট সহজলভ্য। বেশিরভাগ মেয়েই বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পড়ে বা সমাজের চাপের কারণে এসব পণ্য ব্যবহার করে। অনেক সময় তারা এসব পণ্যের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান সম্পর্কে সচেতন থাকে না। ফলে ত্বকের অ্যালার্জি, ব্রণ, দাগছোপ, ত্বকের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের স্থায়ী ক্ষতির শিকার হয়। সামাজিক মাধ্যমে 'পারফেক্ট বিউটি' ধারণার প্রচারণা এবং ছেলেদের মধ্যে চিকন ও সুন্দরী মেয়েদের প্রতি বিশেষ আগ্রহের কারণে মেয়েদের ওপর সৌন্দর্যের চাপ আরও বেড়েছে। অনেকেই সঠিক যত্ন বা পরামর্শ ছাড়াই সস্তা বা নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার করে, যা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এই চাপ তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ পরিস্থিতি থেকে বের হতে হলে সৌন্দর্যের একমুখী মানদন্ড বদলাতে হবে। মেধা, ব্যক্তিত্ব এবং মানবিক গুণাবলিকে গুরুত্ব দিয়ে সমাজে সৌন্দর্যের প্রকৃত অর্থ তুলে ধরা উচিত। পাশাপাশি, মেয়েদের ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক পদ্ধতি ও সঠিক পণ্য ব্যবহারের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। সৌন্দর্যের নামে ত্বক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি নয়, বরং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা এবং আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্বই হওয়া উচিত সমাজের আসল আদর্শ। আমাদের সমাজে সৌন্দর্যের প্রতি অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়ে মেধা ও যোগ্যতাকে উপেক্ষা করা একটি ভয়াবহ প্রবণতা। সৌন্দর্যকেন্দ্রিক মানদন্ড একটি জাতির উন্নয়নের পথে বড় বাধা সৃষ্টি করতে পারে। আমরা যদি সৌন্দর্যের পুজারি হয়ে ওঠি, তবে মানুষের আসল গুণাবলি, যেমন মেধা, পরিশ্রম এবং নৈতিকতা অবহেলিত হবে। এর বিপরীতে মেধার পুজারি হলে সবাই নিজের কাজ এবং উন্নতিতে মনোযোগ দেবে, যা দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য অত্যন্ত জরুরি। সৌন্দর্য নয়, বরং মেধা এবং ব্যক্তিত্বের বৈচিত্র্যকে গুরুত্ব দেওয়া আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারে। সমাজের প্রতিটি মানুষ যদি তার নিজস্বতা নিয়ে গর্ব করতে পারে এবং পরিশ্রম ও দক্ষতায় মনোনিবেশ করে, তবে তা ব্যক্তি ও দেশের জন্যই কল্যাণকর হবে। হালিমা আক্তার হানি : শিক্ষার্থী, রাজশাহী কলেজ