পাঠক মত
মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া জরুরি
প্রকাশ | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
মরিয়ম খানম সেতু শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ
শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে আমরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই, ঔষধ সেবন করি এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্রম্নত সুস্থ হয়ে উঠি। কোনো হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে দেখা যাবে, অনেকেই শারীরিক অসুস্থতায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। কিন্তু কোনো মানসিক হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে একজন রোগী পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে, যে কিনা মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। অর্থাৎ মানসিক সুস্থতা লাভ করা শারীরিক সুস্থতার মতো সহজ বিষয় নয়। একবার মানসিক স্বাস্থ্যে চির ধরলে তা ভালো হতে দীর্ঘ সময় লাগে- অনেক ক্ষেত্রে তা অসম্ভব হয়ে পড়ে। মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি একদিনের ঘটনা নয়। এটি ক্রমাগত মানসিক চাপ, অপমানজনক আচরণ এবং সংবেদনশীলতার অভাবে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির প্রভাব। তাই প্রথমত, আমাদের নিজেদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এর জন্য নিয়মিত বিশ্রাম, স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখা, ভালো অভ্যাসের চর্চা করা প্রয়োজন। নিজের মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রে, যারা মানসিকভাবে আঘাত করে তাদের সঙ্গ থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। নিজের পছন্দের কাজগুলোতে মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। পছন্দনীয় কাজ করলে মন প্রফুলস্ন থাকে। এছাড়া প্রতিদিন কিছুক্ষণ প্রকৃতির কাছাকাছি থাকলে মন সতেজ থাকে, যা মানসিক সুস্থতার জন্য উপকারী।
নিজের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অন্যকে মানসিক আঘাত করা থেকে বিরত থাকা আমাদের মানবিক দায়িত্ব। আমরা প্রায়শ এমন আচরণ করে থাকি যা অন্যকে মানসিকভাবে আঘাত দেয়। অন্যের প্রতি আচরণে সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন। একটি ক্ষুদ্র কথাও কারো জন্য দীর্ঘমেয়াদি মানসিক কষ্টের কারণ হতে পারে। তাই কটু কথা এবং বাজে শব্দ চয়ন থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার করলে এবং সহানুভূতি প্রদর্শন করলে, অন্যের মানসিকভাবে ভালো থাকতে সাহায্য করার পাশাপাশি অন্যের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এতে করে অন্যের মনে প্রতি ভালো ধারণার সৃষ্টি হবে। তাই আমাদের উচিত নিজের মানসিক সুস্বাস্থ্য রক্ষায় যত্নশীল হওয়া এবং অন্যের মানসিক অসুস্থতার কারণ হওয়া থেকে বিরত থাকা।
মরিয়ম খানম সেতু
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ