পাঠক মত
বেড়েছে নওগাঁ শহরের যানজট
প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২৫, ০০:০০
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
বাস্তবে দেখলে সত্যিই মনে হয় এ যেন গুলিস্তান কিংবা বাংলামোটর কিংবা বিজয় সরণির দীর্ঘ জ্যামের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি। কোথাও পা ফেলানোর জো নেই। ভয়াবহ হর্নের শব্দে চারিদিকে এক অসস্তিকর পরিস্থিতি। ঘনবসতিপূর্ণ এক ছোট শহর নওগাঁ। শহরের ভেতর দিয়ে সর্পিল সরু এক রাস্তাকে কেন্দ্র করে দুপাশে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় দালানকোটা- লোকালয়। অলিগলির ঘিঞ্জিতা বলে দেয় এটা দীর্ঘদিনের অপরিকল্পিত এক নগরী। ছোট্ট এই শহরে বাস করেন ২৫ হাজার মানুষ। শহরের মূল পয়েন্ট তথা প্রয়োজন কেন্দ্র হলো শহরের বড় কাঁচা বাজার গোস্তহাটির মোড় এলাকা এবং নওগাঁ সরকারি কলেজ, সরকারি বিএসসি মহিলা কলেজ, নওগাঁ কেডি স্কুল ও নওগাঁ জিলা স্কুল। শহরের প্রবেশ মুখ তথা ঢাকা বাসট্যান্ড থেকে তাজের মোড় হয়ে লিটন ব্রিজের মোড় পর্যন্ত ৩ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে ২০ মিনিট। তারপর ব্রিজের মোড় থেকে সামনে দয়ালের মোড় হয়ে বালুডাঙা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ভীষণ যানজটে নাকাল হয়ে পড়তে হচ্ছে। এছাড়া, বাটার মোড়ে, মুক্তির মোড়ে, কাজীর মোড়ে তীব্র যানজট নিত্যদিনের দৃশ্য। শুধু তাই নয়, ব্রিজের মোড় থেকে নওগাঁ সরকারি কলেজে যেতে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। তীব্র যানজটের কারণে ঠিক সময়ে ক্লাস এবং পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারেন না অনেকেই। এতে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে সঙ্গে পড়াশোনাও। বিশেষ করে এসব যানজটের প্রধান কারণ হলো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মারাত্মক দৌরাত্ম্য। এই শহরের মানুষের চাইতে দিগুণ অটোরিকশার সংখ্যা। ফুটপাত নেই বললেই চলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ফুটপাত দখল করে নিয়েছে তাদের নিজেদের প্রয়োজনে। আর শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তাটা ও খুবই ছোট্ট। দিনকে দিন যেন জ্যামিতিক হারে বাড়ছে অটোরিকশার সংখ্যা। তবুও নেই প্রসাশনের কোনো পদক্ষেপ কিংবা তদারকি। বহুবছর ধরে এভাবেই চলছে এতে করে নওগাঁ শহরের যানজটে অতিষ্ঠ হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের জনজীবন। বেড়েছে এক্সিডেন্ট হওয়ার তীব্র আশঙ্কা। চাকরিজীবী, ডেলিভারি ম্যান কিংবা সেলসম্যানরা পড়েছে বিপাকে। ছোট্ট এই শহরে যানজটের প্রধান কারণ অটোরিকশা বলে উলেস্নখ করেন সাধারণ মানুষ। তাই নওগাঁ শহর থেকে অটোরিকশার দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিন। নয়তো নওগাঁ শহর পরিণত হবে আস্ত এক গো-ভাগাড়ে।
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়
তরুণ কলাম লেখক
শিক্ষার্থী, নওগাঁ সরকারি কলেজ