পাঠক মত

প্রকাশ | ২১ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা করা দরকার আমাদের দেশের জ্বালানির মূল উৎস প্রাকৃতিক গ্যাস। এ গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে বিদু্যৎ উৎপাদনে, সার কারখানায়, বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় এবং গৃহস্থালি কাজে। গ্যাসের মজুদ ফুরিয়ে আসছে দ্রম্নতগতিতে। এ অবস্থায় গ্যাসের বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে না পারলে অদূর ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হবে আমাদের। সারা পৃথিবীতেই এখন নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ছে। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা বা ল্যাটিন আমেরিকার মতো দেশগুলোয় এখনই বেশ বড় আকারে শক্তি উৎপাদনের উৎস হচ্ছে বায়ুপ্রবাহ, সৌরশক্তি এবং বায়োগ্যাস। আমাদের দেশে সৌরশক্তির কিছুটা ব্যবহার থাকলেও বায়ুপ্রবাহ, বায়োগ্যাস, হাইড্রোজেনসহ অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নেই বললেই চলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পৃথিবীতে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছাবে আগামী ১০-২০ বছরের মধ্যে। এর ফলে খুব দ্রম্নতই মজুদ জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। জ্বালানি ও মজুদ কমে আসার ফলে আগামী এক যুগের মধ্যেই আমাদের ব্যাপকভাবে নবায়নযোগ্য ও বিকল্প শক্তির ওপর নির্ভর করতে হবে। এ পরিস্থিতিতে নবায়নযোগ্য বিকল্প শক্তির সন্ধান এবং এর ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। এ ব্যাপারে সরকার এখনই সচেতন না হলে আগামীতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বাংলাদেশকে। জাহেদুর রহমান ইকবাল বাগমারা, রাজশাহী \হ পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প প্রয়োজন \হ পর্যটনই একমাত্র শিল্প যেটা কি না জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা সরাসরি বিপর্যস্ত। পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য চাই সুন্দর, দূষণমুক্ত, গুণগত মানসম্পন্ন প্রাকৃতিক পরিবেশ। দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন রক্ষা ও সৃষ্টি দু-ই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। অন্যদিকে সুন্দর ও দূষণমুক্ত জলবায়ু পর্যটন শিল্পের অন্যতম উপাদান। যেমন- সমুদ্র সৈকত, ঋতু এবং সবুজ অরণ্য প্রভৃতি। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়টি পর্যটকদের ভ্রমণস্থান, গমন ও গমনের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পর্যটকদের ব্যাপক আনাগোনা যখন পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয় ঘটতে সাহায্য করে তখন পর্যটন-নির্ভর ছোট-বড় দেশগুলো অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতায় পড়ে। জলবায়ু পরিবর্তনে পর্যটন নির্ভর যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার মধ্যে চীন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মিসর, কেনিয়া ও শ্রীলংকা অন্যতম। পর্যটনের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে বিশ্ব পর্যটন সংস্থা এক সম্মেলনের আয়োজন করে। ওই সম্মেলনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার জন্য এক আন্তর্জাতিক খসড়া প্রস্তাব অনুমোদিত হয় যা এজেন্ডা ২১ নামে পরিচিত। এ এজেন্ডায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের অবদানের কথা গুরুত্বসহকারে দেখানো হয়েছে। পরিবেশ বিপর্যয়ে সারাবিশ্বে দারিদ্র্যতা, ক্ষুধা, রোগ, অশিক্ষা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজেন্ডা ২১ বাস্তবায়নে উলেস্নখিত সমস্যার তড়িৎ সমাধান হবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা। উলেস্নখ্য, সুইজারল্যান্ডের ডেভোস সম্মেলনে শ্রীলংকা নিজেদের 'পৃথিবীর ফুসফুস' বলে ঘোষণা দিয়েয়ছিল। এ ঘোষণা বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অন্যান্য জলবায়ু বিপর্যস্ত দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দারুণভাবে উৎসাহিত করবে বলে প্রতীয়মান হয়। বাংলাদেশও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার জন্য আরো বেশি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও প্রণয়ন করা জরুরি বলেই আমাদের বিশ্বাস। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে। জলবায়ু ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি বিভাগকে একসঙ্গে এ বিষয়ে উদার হয়ে কাজ করতে হবে। জ্বালানি, রাষ্ট্রীয় কাঠামো, শিল্প, যানবাহন, নির্মাণ, গৃহস্থালি কাজকর্ম, পানি নিষ্কাশন, কৃষি, সর্বোপরি আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় সর্বত্রই জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। শহীদুল ইসলাম ঢাকা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আশু করণীয় ১. চলন্ত গাড়িতে মোবাইল ফোনে ড্রাইভারের কথা বলা নিষিদ্ধ করতে হবে। বাস চালানোর সময় চালকদের সঙ্গে সুপারভাইজার ও হেলপারের গল্প-গুজব করা চলবে না। ২. দূরপালস্নার বাসচালকদের অধিক জর্দা দিয়ে একের পর এক পান খাওয়ার বদাভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এটা ড্রাইভারের মাথা ঘুরিয়ে যখন-তখন দুর্ঘটনা ঘটায়। ৩. রাস্তায় গাড়ি বা দূরপালস্নার বাস-ট্রাক বের করার আগে ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে। ৪. হাইওয়েগুলোতে রিকশা, গরু-বাছুরের চলাচল বন্ধ করতে হবে। ৫. বিশেষ করে হাইওয়েগুলো প্রশস্ত করা দরকার এবং মাঝে অবশ্যই 'ডিভাইডার' দিতে হবে। ৬. হাইওয়েগুলোতে রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। ৭. প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ চালক দিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ৮. রাস্তার ওপর থেকে হাটবাজার তুলে দিতে হবে। ৯. নিরাপত্তা ও ত্বরিৎ চিকিৎসাসেবার স্বার্থে পর্যাপ্ত হাইওয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ব্যবস্থা করতে হবে। ১০. সড়কগুলো নিখুঁত হতে হবে। ১১. বিআরটিএ ও পুলিশের সহযোগিতায় ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স বন্ধ করতে হবে। এসব বিষয়ে সরকার ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাস-ট্রাকচালক সমিতি, এনজিও, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও সচেতন নাগরিক ও মিডিয়া এগিয়ে এলে সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা অনেকটা কমে আসবে। মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা