জাতীয় ভিটামিন 'এ' পস্নাস ক্যাম্পেইন

শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত হোক

প্রকাশ | ২২ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ একটি জনসংখ্যাবহুল দেশ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিপুল জনগোষ্ঠীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের বিষয়। এ ক্ষেত্রে বলা দরকার যে, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, সঙ্গত কারণেই শিশুর সুরক্ষায় বিষয়টিও আন্তরিকভাবে আমলে নিতে হবে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, যদি বিভিন্ন ধরনের ব্যাধি দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার বিষয় সামনে আসে তবে তা সন্দেহাতীতভাবেই উদ্বেগজনক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করবে যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। ফলে রোগের চিকিৎসার বিষয় যেমন প্রাধান্য দিতে হবে, তেমনিভাবে রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও সামগ্রিক সচেতনতা ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখা দরকার, যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধে যথাযথ কার্যক্রম হাতে নেয়া হলে তা ইতিবাচক। আমরা মনে করি, যখন জাতীয় ভিটামিন 'এ' পস্নাস ক্যাম্পেইন উদযাপনের বিষয়টি সামনে এলো, তখন তা অত্যন্ত সুখকর বাস্তবতাকেই স্পষ্ট করে। কেননা এই কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ। এ ছাড়া আমরা বলতে চাই যে, ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে জন্মের পরপর (১ ঘণ্টার মধ্যে) শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ৬ মাস শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো এবং শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিমাণ মতো সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। যা খুবই আশাব্যঞ্জক। প্রসঙ্গত উলেস্নখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যখন এই কার্যক্রম গ্রহণ করেন, তখন ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে রাতকানা রোগের হার ছিল ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখার ফলে বর্তমানে রাতকানা রোগের হার শতকরা ১ ভাগের নিচেই রয়েছে। আগামীতে এই হার শূন্যে নামিয়ে আনতে পারার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। আমরা বলতে চাই, শিশুদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ তৈরিতে যে কোনো ধরনের ইতিবাচক কার্যক্রম গ্রহণ সাধুবাদযোগ্য, ফলে শিশুর সুরক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এমনটি জরুরি। আমরা মনে করি, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে পারলে এর ইতিবাচক প্রভাব সর্বত্রই পড়বে। ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে শিশুর সুরক্ষায় ইতিবাচক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা জরুরি। আর এ কথা মনে রাখা দরকার- যে কোনো ধরনের লক্ষ্যপূরণের ক্ষেত্রে সচেতনতার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গত কারণেই শিশুর সার্বিক সুরক্ষায় অভিভাবক সচেতনতা অপরিহার্য। আর যেহেতু প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অসচেতনতার বিষয় বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় এসেছে, ফলে এটা বিবেচনায় নিতে হবে। কেননা যথাযথ সচেতনতা সৃষ্টি না হলে অনেক ক্ষেত্রেই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। ফলে জন্মের পরপর (১ ঘণ্টার মধ্যে) শিশুকে শাল দুধ খাওয়ানোসহ প্রথম ৬ মাস শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো এবং শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিমাণ মতো সুষম খাবার খাওয়ানোর বিষয়ে যে প্রচারাভিযান চালানোর বিষয়টি জানা গেল তা যথাযথ বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে সন্তোষজনক ফলাফল আসবে বলেই আমরা প্রত্যাশা করি। সর্বোপরি বলতে চাই, জাতীয় ভিটামিন 'এ' পস্নাস ক্যাম্পেইন উদযাপনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাস্তবায়নের পাশাপাশি শিশুর সার্বিক সুরক্ষায় সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা জারি রাখুক। কেননা ভুলে যাওয়া যাবে না আজকের শিশুরাই রচনা করবে আগামীর ভবিষ্যৎ- ফলে শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সব ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।