প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা: প্রতিকার কী?

তুচ্ছ ঘটনার জের ধরেই একের পর এক ঘটছে প্রাণসংহারের মতো ঘটনা। দুর্বৃত্ত বা সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি পরিবারের আপন মানুষটির কাছেই আরেকজন সদস্য ক্রমেই নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে, প্রাণ হারাচ্ছে। সামাজিক অপরাধের লাগামহীন বৃদ্ধিতে দেশের মানুষ আজ উদ্বিগ ও আতঙ্কিত।

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

মীর আব্দুল আলীম
সকালে ঘুম থেকে উঠে যুবকের রক্তাক্ত বীভৎস লাশ কে দেখতে চায়? খুনিরা কি ভয়ঙ্কর! দেশটার হায়েনাদের কামনা আরও ভয়ঙ্কর। পৃথিবীতে আর কোনো প্রাণী এমন আছে কি? আমি দেখতে চাইনা ওসব। প্রতিবাদের ভাষা নেই আমার, আমি বিদ্রোহী নই, ভীতু-কাপুরুষ! আমি দেখতে চাই না; তাই অন্ধত্ব চাই! মহান হৃদয়বান কেউ আছেন আমায় অন্ধ করে দেবেন। পিস্নজ, পিস্নজ বন্ধ করে দুটি চোখ আমায় অন্ধ করে দিন। আমি আজ ভীত-সন্ত্রস্ত। আমি আর দেখতে চাই না। কী দেখলাম বরগুনায়। সরকারি কলেজে পশুরূপী ক'টা মানুষ তাদের পশুত্ব প্রকাশ করছে। প্রকাশ্যে এক যুবককে তার স্ত্রীর সামনেই কুপিয়ে হত্যা করেছে কয়েকজন যুবক। শত শত মানুষের সামনে এলোপাথাড়ি কোপাচ্ছে। আর সবাই চেয়ে চেয়ে কেবল তামাশা দেখছে। এ ঘটনায় আক্রান্ত যুবক পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। নিহত যুবকের নাম রিফাত শরীফ (২২)। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের মাইঠা-লবণগোলা এলাকার দুলাল শরীফের ছেলে। স্ত্রী মুন্নির সে কী আকুতি! তিনি স্বামী রিফাতের দুর্বৃত্তদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছেন। স্বামীকে বাঁচাতে হামলাকারীদের হাতে-পায়ে ধরেও শেষ রক্ষা হয়নি। কিছুতেই হামলাকারীদের থামালো না। তারা রিফাতকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে চলে গেল। এসব দেখছি ভিডিওতে আমরা। এমন দৃশ্য দেখে সুস্থ থাকা কি যায়? প্রতিনিয়তই তো এমন হচ্ছে। ওসব দেখতে দেখতে আমরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। এসব আর দেখতে চাই না। সুস্থ থাকতে চাই। তাই স্বেচ্ছায় অন্ধত্ব বরণের বড় ইচ্ছা আমার। বরিশালের বরগুনা পৌরসভার ধানসিঁড়ি সড়কের আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে নয়ন বন্ড ও তার প্রতিবেশী দুলাল ফরাজীর দুই ছেলে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী এবং রাব্বি আকন স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মুন্নির স্বামীর ওপর নিষ্ঠুর হামলা চালায়। ২৬ জুন বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রিফাতকে কোপায় দুর্বৃত্তরা। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৪টার দিকে তার মৃতু্য হয়। এটা তো দেখি বিস্ময়ের বাংলাদেশ! কী না ঘটছে এ দেশে? কত কিছুই তো দেখছি আমরা। দিন দিন যেন, বিস্ময়ের মাত্রা বাড়ছে। দেশে মনুষ্যত্বের অপমৃতু্য হচ্ছে। মানুষের ভেতরকার বিবেক বোধ হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ কেমন যেন দয়া-মায়াহীন হয়ে পড়েছে। নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছে। মন চায় প্রিয় দেশটা ছেড়ে দৌড়ে পালাই। এ দেশে তো অসংখ্য পশুরা থাকে। প্রকাশ্যে ওসব পশু মানুষ বদ করে। তা দেখে দিনদিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি আমরা। সমাজে যেসব অপরাধ হচ্ছে তা খুবই মর্মান্তিক, বিভীষিকাময়, নারকীয় ও ভয়ঙ্কর। এ অপরাধ সভ্যসমাজের মানুষের কাছে কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। অপরাধ বর্বতা ও সভ্যতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এসব বর্বরোচিত ঘটনায় আসামিরা মামলার দন্ড প্রদানের ক্ষেত্রে আইনত বা ন্যায়ত কোনো সুযোগ বা আদালত থেকে আসামি কোনো প্রকার অনুকম্পা বা দয়া পেতে পারে না। তবুও আইনের নানা ফাঁক-ফোকরে আসামিরা পার পেয়ে যাচ্ছে। বলতেই হয়, বিশ্বজিতের রক্তের দাম দিতে হয়েছে রিফাতের প্রাণের বিনিময়ে! বিচারহীনতার সংস্কৃতির এই দেশে এভাবেই রিফাতদের চলে যেতে হয় অকালে অতৃপ্তি নিয়ে। আর আমাদের বেঁচে থাকতে হয় তাদের অভিশাপের বোঝা নিয়ে। এই তো বাংলাদেশ! শাবাশ বাংলাদেশ! কখনো বিবেক-বুদ্ধি, পরকীয়া; কখনো অর্থের তাড়নায় অহমিকাচ্ছন্ন মানুষ কেমন যেন পাল্টে যাচ্ছে। মানুষকে প্রকাশ্যে ঠান্ডা মাথায় কোপানো, খুনের পর লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলা, নিজ সন্তানকে পুড়িয়ে মারা, নিজ সন্তানের হাতে মা-বাবা খুন হওয়া, শিশু ধর্ষণ, ধর্ষণের পর খুন এমন ঘটনা ঘটছে অহরহ। পরকীয়ার জেরে গর্ভধারিণী মায়ের হাতে প্রিয় সন্তান খুনের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধও বেড়েই চলেছে। প্রেম ও পরকীয়ার মোহে নিজ শিশুকে পুড়িয়ে মারতেও দ্বিধা করছে না গর্ভধারিণী মা। এদিকে দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামী খুন করছে স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরেই একের পর এক ঘটছে প্রাণসংহারের মতো ঘটনা। দুর্বৃত্ত বা সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি পরিবারের আপন মানুষটির কাছেই আরেকজন সদস্য ক্রমেই নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে, প্রাণ হারাচ্ছে। সামাজিক অপরাধের লাগামহীন বৃদ্ধিতে দেশের মানুষ আজ উদ্বিগ ও আতঙ্কিত। প্রকাশ্যে শতশত মানুষের উপস্থিতিতে বরগুনায় ঘটে যাওয়া হত্যাকান্ড কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না আমরা। রাজধানী ঢাকায় নিহত দর্জি দোকানের কর্মী বিশ্বজিৎ দাস হত্যার চেয়েও বরগুনার ঘটনাটি বর্বরচিত বলে আখ্যা দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। শতশত মানুষের সামনে এ ঘটনা ঘটলেও কেবল এসময় স্বামীকে বাঁচাতে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিই দুই যুবককে বারবার প্রতিহতের চেষ্টা করেন। বাকিরা নীরব দর্শক। তার পাশেই দাঁড়িয়ে অন্যরা এ দৃশ্য দেখলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। বরং এ নিষ্ঠুর ঘটনার ভিটিও চিত্রধারণে মত্য ছিলেন অনেকে। চোখের সামনে ঘটছে এ ঘটনা কিন্তু একজন মানুষকেও পাওয়া যায়নি যিনি ঘটনার প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করে ঠেকাতে গেছেন। চোখের সামনে অন্যায় দেখেও নীরব থাকার এমন প্রবণতা একটা জাতি ধ্বংস হওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাদের বিবেক বলে কি কিছু নেই? বরগুনায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের 'নীরব দর্শক হয়ে ওঠারও একটা ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। এই ব্যাকগ্রাউন্ড সৃষ্টির দায় কিন্তু আপনি-আমি এড়াতে পারি না। আমরা এখন ইমোশনাল হয়ে আহ্‌ উহ্‌ করছি ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছি। আমরা কিন্তু ভেলারাম বাঙালি। দুদিন পর সব ভুলে যাবো। এটাই বাস্তবতা। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ সারা দেশের মানুষের কাছে এখন প্রশ্নবিদ্ধ। যদি বিচার বিভাগ কিছুটা হলেও স্বাধীন থেকে থাকে, তাহলে নিশ্চয় এর বিচার হবে। আর যদি সঠিক আইনের প্রয়োগ হয়ে থাকতো তাহলে এরকম নির্মম ঘটনা আর ঘটত না। আমরা মনে করি, বর্বতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও সমাজকে আরও সচেতন হতে হবে। যখনই আইনের শাসন একটু ঢিলে-ঢালা হবে তখনই সমাজে বর্বরতা বাড়বে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে বর্বরতা বাড়ছে। এ জন্য সামাজিকভাবে পরিবারকে ছোট থেকে শিশুদের নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে। যারা অপরাধী তাদের কঠোরভাবে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তা নাহলে অপরাধীরা বেপরোয়া ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে, সামাজিক অবক্ষয়ের ভয়াবহতা বাড়বে। রাজধানীর কাছে ধামরাইয়ে মিথ্যে অপবাদে নাসিমাকে পুড়িয়ে মারে কজন সমাজপতি। কি নিষ্ঠুরই না ঘটনার বিবরণ। যৌতুকলোভী স্বামী বহু আগে ছেড়ে চলে গেছে। তবুও বাঁচতে চেয়েছিল নাসিমা। কিন্তু তাকে বাঁচতে দিল না কতিপয় সমাজপতি। তাদের কু-নজর পড়ে তার গতরে। ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নাসিমা। পরে চরিত্রহীনা অপবাদ দিয়ে নাসিমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ধামরাই থানার জয়পুর গ্রামের সমাজপতি পাষন্ড শহীদুল ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা প্রকাশ্যে নৃশংস এ ঘটনা ঘটিয়ে উলস্নাস করেছিল। সেদিন নাসিমার রক্তমাংসের শরীর ছাই হয়ে গিয়েছিল। প্রাণটা কোনোমতে আটকে ছিল দেহে। পুলিশ খবর পেয়ে নাসিমার দগ্ধ বীভৎস দেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। মৃতু্যর আগে নাসিমা পুলিশকে জানিয়েছেন, 'আমি চরিত্রহীনা নই। ওরা আমাকে চরিত্রহীনার অপবাদ দিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমার শত আকুতি-মিনতিতে ওদের পাষাণ হৃদয় গলেনি। আমি ওদের বিচার চাই।' প্রশ্ন হচ্ছে, সমাজের আইন ও নৈতিকতার কোনো গভীর অসুখের আলামত এসব? নিষ্ঠুরতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা-অস্থিতিশীলতা, সমাজবিরোধী শক্তির দাপাদাপি সব মিলিয়ে যে চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা অবশ্যই গভীর অসুখের আলামত। এ অসুখ টোটকা-দাওয়াইয়ে সারবে বলে মনে হয় না। পেশাদার অপরাধী থেকে শুরু করে গৃহস্থ মানুষ, সরকারি সংস্থার কোনো উচ্চপদের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মজীবীদের মধ্যেও নিষ্ঠুরতা প্রকাশ পাচ্ছে ক্রমবর্ধমান হারে। সরকারে, রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক-পরিচালকদের নিশ্চয়ই এসব বিষয় অজানা নয়। তাদের এরপরও তাহলে নির্বিকারত্বের কারণ কী? শান্তিকামী মানুষ এরপর তাদের ওপর অন্তত নিরাপত্তার ভরসাটা রাখবে কী করে? একের পর এক বীভৎস ঘটনার মধ্যদিয়ে সমাজের যে কদর্য চিত্র ফুটে উঠছে, তা তাদের টনক এখনো নাড়াতে পারছে বলে বিদ্যমান পরিস্থিতি সাক্ষ্য দেয় না। বিস্ময়টা এখানেই। যে সমাজে নৃশংসতা-বর্বরতা অপরাধীদের নিত্যকর্মে পরিণত হয়, সে সমাজ যে কোনোভাবেই মনুষ্য বসবাসের উপযোগী সমাজ নয় এবং তা নির্ণয় করতে রাষ্ট্র কিংবা সমাজবিজ্ঞানের আশ্রয় নেয়ার কোনো দরকার নেই। পত্রপত্রিকান্তে প্রকাশিত খবরের বৈশিষ্ট্য দেখে অনুমিত হয় বাঙালির পারিবারিক জীবন কতটা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। এ কথা সত্য যে, খানিকটা অসাবধানতা, খানিকটা অবহেলা আর কোনো কোনো ক্ষেত্রে খানিকটা অমানবিক আচরণের মধ্যদিয়ে এসব মানবিক বিপর্যয়গুলো আমরাই কোনো না কোনোভাবে ডেকে আনছি। মানুষ কত না বদলে গেছে। মানুষের এরূপ নিষ্ঠুরতা দেখে ভয়ে শিউরে উঠতে হয়। এসব বন্ধ হওয়া দরকার। এই নৃশংস ঘটনার কঠিন ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়। এখন আমাদের সমাজ একটা পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। সমাজ যত আধুনিক হবে, মানুষের মধ্যে তত দ্বন্দ্ব বেড়ে যাবে। আমাদের ট্র্যাডিশনাল সমাজ আধুনিকায়নের দিকে যাচ্ছে। আধুনিক বিশ্বের সব ধরনের উপাদান প্রভাব বিস্তার করছে সমাজে। যার কারণে সামাজিক অপরাধ বাড়ছে। আমাদের বিচারব্যবস্থা ওইভাবে অগ্রসর হচ্ছে না। পুলিশ, আদালতসহ ক্রিমিনাল জাস্টিস সিস্টেম একটা আরেকটার সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এখন সময় এসেছে পুরো প্রক্রিয়াটাই ঢেলে সাজানোর। না হলে এ ধরনের অপরাধ বাড়তেই থাকবে। এটা খুবই উদ্বেগজনক ব্যাপার যে, দেশে এসব নিষ্ঠুর কর্মকান্ড বন্ধ হচ্ছে না। বর্তমান সময়ে চারপাশে যেসব ঘটনা ঘটছে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়। এমনও ঘটনা ঘটছে যা আদিম বর্বরতাকেও হার মানায়। ক্রমাগত এমন ঘটনাগুলো বিশ্বাসযোগ্য না হলেও অবলীলায় তা সংঘটিত হচ্ছে। একজন মানুষের বিবেকবোধ, মনুষ্যত্ব কত নিচু হলে এমন ঘৃণ্য হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়। বর্তমান সময়ে নানা ইস্যুতেই যেভাবে হত্যাকান্ড সংঘটিত হচ্ছে, তা কোনো সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। সমাজ থেকে ঘৃণ্যরূপী এ মানুষকে যথাযথ শাস্তির আওতায় না আনা গেলে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে দেশ। দেশজুড়ে কেবল গুম, খুন, হুঙ্কার আর অশান্তির দাবানল। জনগণ ধন-দৌলত চায় না। একটু শান্তি চায়। চুরি, ছিনতাই, গুম, হত্যা, দুর্নীতি চায় না; দেশের প্রতিটা মানুষের সম্পদ আর স্বজনদের জীবনের নিরাপত্তা চায়, চায় একটু স্বস্তি। ঘুমানোর সময় নিশ্চিন্তে ঘুমোতে চায়। সকালে সংবাদপত্র খুলে ভালো খবর পড়তে চায়। কিন্তু যেভাবে দুর্বৃত্তদের অপরাধপ্রবণতা বেড়েই চলেছে, এরকম পরিস্থিতি পুরো জাতির জন্যই দুর্ভাগ্যের। আমরা মনে করি দেশের যে কোনো হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করতে ও তার শাস্তি প্রদানে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে সরকারকেই। মীর আব্দুল আলীম: সাংবাদিক, কলামিস্ট, গবেষক হবংিংঃড়ৎব১৩@মসধরষ.পড়স