বন্দুকযুদ্ধ ও হত্যা

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
অপরাধ বিজ্ঞানের ভাষ্যমতে কোন অপরাধী অপরাধ করার পর সে যে কোনো প্রমাণ ফেলে যায়ই যদিও সে তা চায় না। তাই তো ওই প্রমাণকে হাতে নিয়ে সহজেই অপরাধীর নিকট পৌঁছিয়ে তার শাস্তি কার্যকর করা সম্ভব। কোন রাষ্ট্রের বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারহীন এরকম হত্যাকান্ড দেখলেই সে রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে একটা সম্যক ধারণা ঠিকই পাওয়া যায়। যেখানে সাধারণ মানুষের বিচারব্যবস্থার ওপর থেকে আস্থা উঠে গেলেই কেবল এরকম হত্যাকান্ডও হাসিমুখে বরণ করতে একটুমাত্র টুঁ শব্দও করে না। কেন এরকম পরিকল্পিত বন্দুকযুদ্ধ? অপরাধীকে শাস্তি দেয়াই কি এর লক্ষ্য নাকি অপরাধের মূলে রয়েছে যেসব ব্যক্তিরা তাদের পাদপ্রদীপের আড়ালেই রেখে দেয়া? এরকম একের পর একটা প্রশ্ন আসতেই থাকবে তবে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নাম করে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বন্ধ হওয়ার নয়। গতবছরের মে মাসের একটা রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত শুধু মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছে প্রায় ৪০ জন। আর অন্যান্য কারণে যে কতজনের এরকম বিচারহীনভাবে বলি হতে হয়েছে তা কেউ জানে না। একটা স্বাধীন দেশে স্বাধীন প্রশাসন থাকবে, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা থাকবে এরকমটাই চাওয়া থাকে সব নাগরিকের। তাহলে বিচারব্যবস্থার এই কলকাঠি কে নাড়াচ্ছে? প্রশ্ন থেকে যায়। মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাতে বলেছে, গত ছয় মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ২০৪ জন নিহত হয়েছে। সংস্থাটি আরও বলেছে, বন্দুকযুদ্ধ আসলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাজানো নাটক ছাড়া আর কিছুই নয়। মূলত বিভিন্ন চক্রের স্বার্থ জড়িয়ে আছে এই হত্যাকান্ডের পিছনে যার ফলে লাভবান হচ্ছে তারা হয়তো নিজেদের অপরাধটাকেও চাপিয়ে দিতে পারছেন অন্যের কাঁধে কিংবা মূল রহস্য যেন বের হতে না পারে সে জন্যই সংগঠন করে চলেছে বন্দুকযুদ্ধের নাম করে এরকম হত্যাকান্ড। এরকম বিচারহীন বন্ধুকযুদ্ধ কখনো আইনের প্রয়োগ হতে পারে না বরং আইনের খেলাপ। স্বাধীনতার ৪৭ বসন্ত পার করে এসে এরকম বিচারহীন হত্যাকান্ডকে আমরা কখনই মানতে পারি না। রাতুল মাহমুদ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়