নারীর এগিয়ে চলা

নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ যেমন এগিয়ে যাবে তেমনি দেশের উন্নয়নে নারীদের অবদান বাড়বে, রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও নারীর ক্ষমতায়ন ঘটবে। কাজেই নারী শিক্ষা ও নারীর অগ্রগতিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

মোহাম্মদ নজাবত আলী
স্বাধীনতার ৪৮ বছরের নারীরা পিছিয়ে নেই। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, চাকরি, সাংবাদিকতা, কৃষি, এমন কি নারীর ক্ষমতায়নসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে নারীর অগ্রগতি এগিয়ে চলা দৃশ্যমান। নারী নির্যাতন, হত্যা, খুন, ধর্ষণ বন্ধকল্পে নারীর পথচলা নিশ্চিত করা গেলে বাংলাদেশের নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষা, মেধা, দক্ষতা ও কর্মের দ্বারা দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে যথেষ্ঠ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। \হশিক্ষা জাতি গঠনের শুধু মূল স্তম্ভই নয়, শিক্ষার মাধ্যমে একটি জাতি উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়। একটি রাষ্ট্রে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি ও নারী-পুরুষের মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়লে দেশ অগ্রগতি, উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এক সময় বাঙালি নারী সমাজ শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে পড়েছিল। শিক্ষাদীক্ষা বাইরের পরিবর্তিত দুনিয়ার সঙ্গে তাদের কোনো পরিচয় ছিল না। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া তাদের অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসার পথ দেখালেন। তিনি যে, নারী শিক্ষার আলো প্রজ্বলিত করেন সেই আলোয় আলোকিত হলেন নারী সমাজ। সমস্ত বাধাবিপত্তিকে অতিক্রম করে নারী সমাজ শিক্ষাগ্রহণে ব্রতী হয়ে এক নতুন যুগের সূচনা করেন। তাই বর্তমান নারী সমাজ শিক্ষাগ্রহণের মাধ্যমে নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছে। আজ নারী সমাজ অন্ধ অনুকরণ থেকে মুক্ত। সব ধরনের জড়তা, কুসংস্কার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন সত্তা ও একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠার নিরন্তন সংগ্রাম করে যাচ্ছে। এ সংগ্রামে তারা অনেকটাই জয়ী। শিক্ষার আলোই তাদের এই পথ দেখিয়েছে। শিক্ষাই তাদের পৌঁছে দিচ্ছে সাফল্যের সুউচ্চ শিখরে। আজ নারী বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে আপন মহিমায় ভাস্বর। তাই নারী আজ ঘরের কোণে সেকালের মতো বন্দি থেকে অন্ধ অনুকরণ ও বিশ্বাসকে আঁকড়ে না ধরে শিক্ষা তাদের অন্তর-বাহিরকে জাগরিত করেছে। তাই এ কথা আজ বলতে দ্বিধা নেই যে, শিক্ষা ছাড়া নারী সমাজের পরিবর্তন সম্ভপর ছিল না। কারণ শিক্ষা শুধু একটি জাতি গঠনের মূল স্তম্ভই নয়, বরং জাতির বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে জাগ্রত করে। দেশ উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়। যুগে যুগে নারী পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে গেছে সমৃদ্ধির পথে। আজকে আমাদের নারীর অগ্রগতি আমাদের আশান্বিত করে। একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শুধু পুরুষ নয়, নারীর অগ্রগতি এগিয়ে চলা দৃশ্যমান। এ পথে নারীর নানা বাধাবিপত্তি থাকলেও শিক্ষা চাকরি নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা ধরনের চ্যালেঞ্জিং পেশায় থেকে দেশ জাতির উন্নতি, অগ্রগতিতে কাজ করে যাচ্ছে। \হবেগম রোকেয়া যে, নারী জাতির অগ্রগতি উন্নয়নের কথা বেভেছিলেন তা আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। এগিয়ে চলেছে নারী, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, বর্তমান সমাজে নারী সেকালের বৃত্তের মধ্যে বন্দি নেই। সমাজ ব্যবস্থার আরোপিত শৃঙ্খল ভেঙে আত্মবিশ্বাসে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই নারী শুধু ঘরেই নয়, এমন সব কর্মকান্ডে নিয়োজিত থেকে তাদের আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ় মনোবলের পরিচয় দিয়ে অগ্রগতি উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তা শুধু নারীর অগ্রগতি নয়, দেশের অর্থনীতির ভীত শক্ত ও মজবুত হচ্ছে। জন শক্তি রপ্তানিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। এক তথ্যে জানা গেছে, বর্তমান প্রায় ৩ লাখ নারী শ্রমিক সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, কাতার, কুয়েত, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। জনশক্তি রপ্তানিকরণ প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, নারী শ্রমিকদের বিদেশ যাওয়া ইতিবাচক। তবে এ ক্ষেত্রে তারা হয়রানি ও নির্যাতনও হচ্ছে। নারী অভিবাসন সংগঠনগুলো তাই সচেতন হয়ে ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার কথা বলছেন। বিদেশে কর্মরত নারী শ্রমিকদের উপার্জিত অর্থ দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে। তা ছাড়া নারী আজ নিজ বাসাবাড়িতে কাঁথা সেলাই, বিভিন্ন রঙবেরঙের কুঠির শিল্প তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাংলার গরিব অর্ধশিক্ষিত নারীরা। নিজ এলাকায় নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। বেগম রোকেয়ার যদি জন্ম না হতো তাহলে ভারত উপমহাদেশে বাংলার নারী এখনও সে অন্ধাকার যুগেই পড়ে থাকতো। তাই তিনি অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে বাংলার নারীদের মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছেন। সেই শিক্ষার আলোই আজ বাঙলার নারী আলোকিত জীবন পেয়েছে। তাই তারা অগ্রগতির পথে উন্নয়নের পথে ধাবমান। তাদের চিন্তাচেতনার পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। নারী শুধুমাত্র রান্না ঘরে সীমাবদ্ধ নয়, একজন পুরুষের সঙ্গে তারাও সমানভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে। উপযুক্ত শিক্ষা ও অনুকূল পরিবেশে বিস্তৃতি ঘটলে নিজের মেধা ও মননে নারী নিজেদের মেলে ধরতে সক্ষম; বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি তা প্রমাণ করে। \হযে কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনীতির মাধ্যমেই রাষ্ট্র পরিচালিত হয়। কারণ রাজনীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত ও বাস্তবায়িত হয়। রাজনীতি ও ক্ষমতা কাঠামো থেকে অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীকে বাদ দিয়ে সত্যিকার অর্থে কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণ কর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর। কবি নজরুলের এ মহান বাণীটির অর্থ হলো- জেন্ডার বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে নারীর অগ্রগতি দেশের উন্নয়ন। মোটা দাগে বলা যায়, নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি দেশের উন্নয়ন ঘটে। বর্তমান বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাই নারী পুরুষের যৌথভাবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফলে দেশে গণতন্ত্র উন্নয়ন, সুসংহত হবে তেমনি সুশাসন দৃঢ় হবে। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় নারী আর পিছিয়ে নেই, নারীর অগ্রগতির পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। এক সময় বাংলাদেশের প্রশাসনে নারীর পদচারণা তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। দীর্ঘ ২১ বছর পর নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (১৯৯৬) ক্ষমতায় আসার পর তিনিই প্রথম সচিব, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পদে নারী নিয়োগ দেন। সে থেকে বর্তমান পর্যন্ত নারীর অগ্রগতি ক্ষমতায়নের দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। দেশের রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যাযে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন। জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধি আইন তৈরিসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী গুরুত্ব্‌পূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। অপরদিকে স্থানীয় পর্যায়ে নারী এলাকার উন্নয়নে, যথেষ্ট অবদান রাখছেন। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পরিষদে সরাসরি গণভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত নারী সদস্যের সরব উপস্থিতিই প্রমাণ করে পুরুষের মতো নারীর অগ্রগতি হয়েছে। এটা শুধু কথার কথা নয়। বাস্তব ও দৃশ্যমান। আমাদের সংবিধানে শুধু নারীর ক্ষমতায়ন প্রশ্নে ২৮(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র ও জনজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবে। তাই কোনো অনুগ্রসর জনগোষ্ঠীর মাঝে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগাতে গেলে নারী পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার। যে কথা বেগম রোকেয়া, কবি নজরুল অনেক আগেই অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। সমাজ বিজ্ঞানীদের মতে, কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিকসহ সর্বক্ষেত্রেই নারীর ক্ষমতায়ন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশে। ইউপি নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নারী প্রতিনিধি নির্বাচনের ঘটনা প্রায় সর্বক্ষেত্রে; নারী যে অগ্রসরমাণ সে চিত্রই ফুটে উঠে। বিশেষ করে এক দশকে নারীর সামাজিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। নারী শিক্ষাই দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ শিক্ষা, তথ্য ও পরিসংখ্যান বু্যরো (ব্যানবেইস) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ নারী। মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রীর সংখ্যা ৫৩ শতাংশ। মাধ্যমিক পর্যায়ের নারীর অংশগ্রহণের সূচকে এ অঞ্চলের প্রথম সারির যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। সরকারি-বেসরকারি চাকরির পাশাপাশি কৃষি শিল্পসহ সামরিক, বেসামরিক প্রশাসনে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। সাংবাদিকতা হিসেবেও নারী সাহসী ভূমিকা পালন করছেন। তা ছাড়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিচারপতি, পাইলটসহ রাষ্ট্রের ঝুঁকিপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীর উপস্থিতি লক্ষণীয়। আবার অনেক নারী বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করে। প্রশংসা অর্জন করেছেন। এমনকি আমাদের নারী এভারেস্টও জয় করেছেন। আজ নারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদেও অধিষ্ঠিত। উপরন্ত নারী, জজ, ব্যারিস্টার, বিচারকসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে অধিষ্ঠিত থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রের সেবার মধ্যে দিয়ে তাদের অগ্রগতি জানান দিয়ে যাচ্ছেন। সুতরাং নারী অগ্রগতি বিষয়টি এখন বহুল আলোচিত। বর্তমান আমাদের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি আবার দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। এ বিপুল জনগোষ্ঠীকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে নিরক্ষর অবহেলিত অদক্ষ রেখে দেশের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাই সংবিধানে নারী-পুরুষের সমধিকার নিশ্চিত করেছে। নারীর অগ্রগতি শিক্ষা অর্জন ও উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের জন্য সরকার শিক্ষাকে অগ্রধিকার দিয়ে নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। ফলে নারী শিক্ষা আজ নবযুগের সূচনা হয়েছে। তাই নারী সচেতনতা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক অগ্রগতি, সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। শিক্ষার আলো থেকে তাদের বঞ্চিত করে নারীর অগ্রগতি সম্ভব নয়। আবার শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করে পুরুষের সমকক্ষতা অর্জন কখনো সম্ভব নয়। তাই আমাদের সংবিধান মোতাবেক শিক্ষা গ্রহণ করে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর অগ্রগতি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। তবে নারীর অগ্রগতির ক্ষেত্রে কিছু বাধা ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এখনও নারী নির্যাতন বন্ধ হয়নি। তাদের পথচলা সুগম হয়নি। ঘরে বাইরে তারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার। অথচ নারীরা আজ ঘরে বাইরে সর্বত্র কাজ করছে পুরুষের চেয়ে বেশি। নারীর এ অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে হবে। বাল্যবিয়ে, ঝরেপড়া নারীর শিক্ষা অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় বাধা। তবুও শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। ফলে অনেক নারী নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষমতা অর্জন করছে। সুতরাং প্রকৃত শিক্ষার আলো প্রবেশ করাতে হবে নারীর সুকমল অন্তর মানসপটে। যাতে করে একজন নারী সামাজিকভাবে সামলম্বী হয়ে বেড়ে উঠতে পারে। তবে এ বেড়ে উঠার পথে নারী নির্যাতনসহ সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। কেননা, নারী সমাজেরই অংশ। তাই নারীকে বাদ দিয়ে কোনো সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ যেমন এগিয়ে যাবে দেশের উন্নয়নে নারীদের অবদান বাড়বে, তেমনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও নারীর ক্ষমতায়ন ঘটবে। কাজেই নারী শিক্ষা ও নারীর অগ্রগতিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। মোহাম্মদ নজাবত আলী: শিক্ষক ও কলাম লেখক