অকৃতকার্য হলেই সবকিছু শেষ নয়

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আলস্নাহর সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। কালে কালে এই মানুষ এমনকিছু উলেস্নখযোগ্য কাজ করেছে যার কারণে তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠ হিসেবে ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে পত্রিকার পাতা খুললেই যেন আত্মহত্যার খবর প্রতিনিয়ত চোখে ভাসে! যেটা এখন অত্যন্ত উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আধুনিক সভ্যতায় বসবাস করে এমন কর্মকান্ড আমরা কেউ আর দেখতে চাই না। জীবন যেহেতু আছে সমস্যাও আসবে তাই বলে নিজের মূল্যবান জীবনটা এভাবে শেষ করে দিতে পারি না। আসলে, সবকিছুর মূলে আমাদের একটাই সমস্যা, আমরা দুঃসময়ে ধৈর্যধারণ করতে পারি না; যার পরিণাম একসময় অত্যন্ত ভয়াবহরূপ ধারণ করে। অনেকসময় পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া বা প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল না পাওয়া, পারিবারিক কলহ, প্রেমে ব্যর্থ হওয়া এমনকি বেকারত্বের কষাঘাত, বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশনজট, যৌন হয়রানি প্রভৃতি কারণে অনেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন! যারা এমনকাজ করার চিন্তা করেন তাদের কাছে আমার একটা প্রশ্ন, আত্মহত্যা করলেই কি আপনার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? বিভিন্ন সময়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা এরকম খারাপ মুহূর্তের মুখোমুখি হলেই ভাবতে থাকে, 'আমার জীবন শেষ! এ জীবন রেখে আর কী হবে, তার থেকে আত্মহত্যা করাই ভালো। নিজেও মুক্তি পাই পরিবারকেও মুক্তি দিই!' সত্যিই কি তাই? আপনি ওই নোংরা চিন্তার জগৎ থেকে একটু বের হয়ে এসে সেই কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরার চেষ্টা করুন। নিজের প্রতি সম্মানবোধ বজায় রেখে সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে নেয়ার চেষ্টা করুণ। তাহলে দেখবেন জীবনটা সত্যিই অনেক সুন্দর। তথ্য মতে, বাংলাদেশে গড়ে প্রতিবছর ১০০০০-১১০০০ মানুষ আত্মহত্যা করে, যার অধিকাংশই নারী! এটা খুবই দুঃখজনক। আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে, যে কোনো কঠিন পরিস্থিতিই আসুক না কেন, তার অবশ্যই সমাধান আছে। সমস্যা তৈরিই হয় সমাধানের জন্য। তাই অহেতুক হতাশাগ্রস্ত হয়ে নিজের মূল্যবান জীবনটা অন্ধকারে বিলিয়ে দেয়ার কোনো মানে হয় না। দেশের জন্য অভিশাপ না হয়ে বরঞ্চ আমরা দেশের উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার হব। প্রেমিক/প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে না পেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় চান্স না পেলে অথবা এসএসসি/এইসএসসি পরীক্ষায় এ পস্নাস না পেলে আমার জীবন শেষ, এমন মনমানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সবসময় প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখলে জীবনযুদ্ধে অবশ্যই আমরা জয়লাভ করব। সোহেল দ্বিরেফ শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়