পশুর হাটে জালনোট শনাক্ত বুথ

কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত হোক

প্রকাশ | ০১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কোরবানির পশুর হাটে জালনোট কারবারিদের অপতৎপরতা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সঙ্গত কারণেই এ বিষয়ে সতর্কতা অপরিহার্য। আর সম্প্রতি যখন জানা যাচ্ছে যে, এবারে রাজধানীর পশুর হাটে থাকবে ২৪টি জালনোট শনাক্ত বুথ- তখন তা অত্যন্ত ইতিবাচক বলেই প্রতীয়মান হয়। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার, কেউ যেন প্রতারণার শিকার না হয় সেটি নিশ্চিত করা। তথ্য মতে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাটে ২৪টি জালনোট শনাক্তকরণ বুথ বসানো হবে। একই সঙ্গে সারাদেশের সরকার অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটেও জালনোট শনাক্তকরণ বুথ বসানো হবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে কোরবানির পশুর হাটে জালনোট শনাক্তকরণ বুথ বসানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মকর্তারা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নোট যাচাইকরণ সেবা দেবেন। এ ছাড়া জালনোট শনাক্তকারী মেশিনের সহায়তায় অভিজ্ঞ ক্যাশ কর্মকর্তাদের দ্বারা হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পশু ব্যবসায়ীদের বিনা খরচে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দিতে হবে। আমরা বলতে চাই, সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা এবং কার্যকর মনিটরিংয়ের মধ্য দিয়ে সেবার বিষয়টি যেন সফল হয় সেই দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে। উলেস্নখ্য যে, ঢাকার বাইরে যেসব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে স্থানীয় বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে গৃহীত অনুরূপ ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়ার জন্যও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস নেই এমন জেলাগুলোতে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও থানা-উপজেলার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের এতদসংক্রান্ত দায়িত্ব বণ্টনের জন্য সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখাগুলোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখার বণ্টিত দায়িত্ব অনুযায়ী অন্যান্য ব্যাংকের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শাখাগুলোও যাতে পশুর হাটগুলোতে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দেয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, সামগ্রিকভাবে জালনোট থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন রক্ষা পায় সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নির্দেশনার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন জরুরি। এ ক্ষেত্রে কঠোরভাবে জালনোট কেন্দ্রিক প্রতারণা ঠেকাতে সংশ্লিষ্টরা সোচ্চার থাকবেন এমনটি কাম্য। বলাই বাহুল্য যে, বিভিন্ন সময়েই জালনোট ধরা পড়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, জাল কারবারিদের তৎপরতা থেমে থাকেনি। চলতি বছরেও উলেস্নখযোগ্যসংখ্যক জালনোট ধরা পড়ার বিষয়টি সামনে এসেছে। মনে রাখা দরকার, জালনোটের কারণে শুধু ক্রেতা বিক্রেতারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয় তা নয়, এটি দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এ ছাড়া জালনোটের বিস্তার ঘটলে তার প্রভাব ভীতিপ্রদ। সঙ্গত কারণেই, পশুর হাট থেকে শুরু করে সর্বত্রই জালনোট রোধ করতে হবে এবং এর জন্য জালনোট কারবারিদের শক্ত হাতে দমন করার বিকল্প নেই। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, বিভিন্ন স্থানের কোরবানির পশুর হাটে জালনোট শনাক্তকরণ ও শণাক্ত হলে তার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। কোরবানির পশুর হাটে এসে কেউ প্রতারণা শিকার হবেন- এটি গ্রহণযোগ্য নয়। জালনোট তৈরি চক্রের অপতৎপরতা এবং অবৈধ কারবারিদের হাত থেকে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে হবে। এ ছাড়া এটিও আমলে নেয়া দরকার যে, এর আগে এমন বিষয় সামনে এসেছে, জালনোট কারবারিরা নোট জাল করতে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে জালনোট রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত হোক এমনটি প্রত্যাশিত।