মানব পাচার বাড়ছে

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

টিএন তাজুল ইসলাম শিক্ষার্থী, কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয়
সামাজিকতা আর অসামাজিকতার ব্যবধান দিন দিন যেন মহামারী হয়ে সমাজের সুষ্ঠু গতি করে দিচ্ছে মন্থর। ফলে সমাজে বেড়ে যাচ্ছে নানাবিধ অপরাধ। যার মধ্যে মানব পাচার অন্যতম। কোনো মানুষকে প্রতারিত ভাবে- কারণ গোপন করে, হয়তো বা কাউকে জিম্মি করে, কাউকে লোভে ফেলে, কাউকে বা চুরি করে, জোরপূর্বক ভিনদেশে কিংবা ভিন্ন পরিবেশে অসামাজিক কর্ম বা সামাজিক কঠোর পরিশ্রম করানোর লক্ষ্যে.. প্রতিনিয়ত কিছু অসাধু ব্যক্তি মানব পাচার চক্রের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। পাচারের মধ্যে রয়েছে-নারী, পুরুষ এবং শিশু। অসাধু ব্যক্তিগুলো বিভিন্ন উপায়ে এই অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের শরীরের দামি অরগান বিক্রি করে সম্পদ পুঞ্জীভূত করছে। বেশির ভাগ নারীকে তারা বিক্রি করছে বাইরের দেশের পতিতালয়ে। পিসিটিএসসিএন নামক সংস্থাটি সার্বজনীন শিশু দিবস ২১ নভেম্বর২০১৮ যে তথ্য প্রকাশ করেছিল, তাতে মানব পাচারের ভয়াবহ রূপ স্পষ্ট হয়ে যায়। বলা হয়- 'স্বাধীনতার পর ১০ লাখ নারী ও শিশু পাচার হয়েছে এ দেশ থেকে। আরও বলা হয়- বাংলাদেশ থেকে প্রতিমাসে ১০০ শিশু এবং ৪০০ নারী প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচার হচ্ছে। এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্র দপ্তরের 'মানব পাচার ২০১৯' প্রতিবেদনে, বাংলাদেশ অংশে বলা হয়েছে- প্রতিবছর ৭ লাখ নারী ও পুরুষ, অবৈধ উপায়ে- মানব পাচার চক্রের সাহায্যে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। নারীদের গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে কর্মস্থলে যৌন হয়রানি করা হচ্ছে। কোমলমতি শিশুদের ওপর চালানো হচ্ছে পাশবিক নির্যাতন ও ধর্ষণ। বাংলাদেশ সরকার- 'মানব পাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২' করে সর্বোচ্চ-৫ বছরের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা রাখলেও পাচারকারী আটক না হওয়ায়, পাচারচক্র নির্ভয়ে কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারকে খুব বলিষ্ঠ উদ্যোগ নিতে হবে। সমাজে মানব পাচার কমাতে সাধারণ জনগণের মধ্যে আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে।